কুঁকড়ে যাওয়া চুলের যত্নে
চুলের মধ্যে আঙুল চালিয়ে আগের মতো মসৃণ ভাবটা টের পাচ্ছেন না! বরং জট বেঁধে যাচ্ছে, ব্যথাও লাগছে। আগের ঝলমলে চুলগুলো কুঁকড়ে প্রাণহীন হয়ে গেছে যেন। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, অতিরিক্ত সূর্যের তাপ ও চুলে রাসায়নিক উপাদানের অতিরিক্ত ব্যবহার হলে চুল অনেক সময় কুঁকড়ে যায়। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবেও চুল কুঁকড়ে যেতে পারে।
কুঁকড়ে যাওয়া চুলকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা একটু মুশকিল বটে। তবে নিয়মিত যত্নে চুলের এই ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে আনা যায়। রূপবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কীভাবে এই ধরনের চুলের যত্ন নিতে হবে।
রূপবিশেষজ্ঞ আমিনা হক বলেন, এখন যেমন আবহাওয়া চলছে, তাতে চুল তেল চিটচিটে ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। তাই চুল সব সময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে। তিনি জানিয়েছেন কুঁকড়ে যাওয়া চুল মসৃণ করার কয়েকটি উপায়।
* সমপরিমাণ মধু ও বেসনের সঙ্গে সামান্য পানি এবং একটি ডিমের পুরো অংশ লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
* এক কাপ টক দই, একটি ডিম, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, চায়ের লিকার এবং স্পা ট্রিটমেন্টে যে কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয়, তা মিশিয়ে চুলে ২০-২৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। খুব ভালো ফল পাবেন। এই প্যাক তৈরিতে নিয়মিত ব্যবহারের কন্ডিশনার না নিয়ে স্পা ট্রিটমেন্টের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এটি যেকোনো সুপার শপ বা প্রসাধনীর দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
* সমপরিমাণ মসুর ডাল, লেবুর খোসা একসঙ্গে বেটে নিন। এর সঙ্গে মধু ও ডিম মিশিয়েও চুলে লাগাতে পারেন।
* চুল বেশি রুক্ষ মনে হলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করার আগে চুলের গোড়া ও পুরো চুলে তেল লাগাতে হবে এবং চুল ধোয়ার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
* লাল জবা ফুল বেটে তার সঙ্গে সমপরিমাণ তিলের তেল, সরিষার তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করে নিন। নিয়মিত তেলের বদলে এটি চুলে ম্যাসাজ করুন।
* চুলে কোনো প্যাক ব্যবহারের আগে স্পা ট্রিটমেন্টের কন্ডিশনার অল্প একটু পানির সঙ্গে মিশিয়ে শুকনো চুলেই লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট রেখে তার ওপর হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। এরপর আরও ২০ মিনিট হেয়ার প্যাক রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার পরেও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন চুল মসৃণ করার প্যাকটি ব্যবহার করতে হবে।
* মাসে দুবার অবশ্যই হেয়ার স্পা ট্রিটমেন্ট করাতে হবে এবং হট অয়েল ম্যাসাজ নিতে হবে সপ্তাহে দুবার। তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত চুলে প্রাণ ফিরিয়ে আনা মুশকিল।
রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিনও বাতলে দিয়েছেন এ ধরনের চুলের যত্নের কিছু উপায়। তাঁর মতে, মাথার ত্বক পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখা খুব জরুরি। বাইরে ধুলাবালি ও রোদ থেকে রক্ষা পেতে মাথা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেন তিনি। ফিরে এসে অবশ্যই শ্যাম্পু করতে হবে। রোজ ব্যবহারের জন্য চুলের ধরন জেনে বেছে নিতে হবে মৃদু কোনো শ্যাম্পু। এরপরে প্রোটিনসমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। তোয়ালে দিয়ে চুল ঘষে ঘষে না শুকিয়ে চেপে চুলের পানি নিংড়ে বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে। ভেজা চুলে হেয়ার সেরাম ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুলগুলোকে ভাগ ভাগ করে শুকিয়ে নিন।
চুলের কুঁকড়ে যাওয়া রোধ করতে অতিরিক্ত আয়রন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। রিবন্ডিং, রং করার আগে অবশ্যই একজন রূপবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিন।
কুঁকড়ে যাওয়া চুলকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা একটু মুশকিল বটে। তবে নিয়মিত যত্নে চুলের এই ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে আনা যায়। রূপবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কীভাবে এই ধরনের চুলের যত্ন নিতে হবে।
রূপবিশেষজ্ঞ আমিনা হক বলেন, এখন যেমন আবহাওয়া চলছে, তাতে চুল তেল চিটচিটে ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। তাই চুল সব সময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে। তিনি জানিয়েছেন কুঁকড়ে যাওয়া চুল মসৃণ করার কয়েকটি উপায়।
* সমপরিমাণ মধু ও বেসনের সঙ্গে সামান্য পানি এবং একটি ডিমের পুরো অংশ লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
* এক কাপ টক দই, একটি ডিম, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, চায়ের লিকার এবং স্পা ট্রিটমেন্টে যে কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয়, তা মিশিয়ে চুলে ২০-২৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। খুব ভালো ফল পাবেন। এই প্যাক তৈরিতে নিয়মিত ব্যবহারের কন্ডিশনার না নিয়ে স্পা ট্রিটমেন্টের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এটি যেকোনো সুপার শপ বা প্রসাধনীর দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
* সমপরিমাণ মসুর ডাল, লেবুর খোসা একসঙ্গে বেটে নিন। এর সঙ্গে মধু ও ডিম মিশিয়েও চুলে লাগাতে পারেন।
* চুল বেশি রুক্ষ মনে হলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করার আগে চুলের গোড়া ও পুরো চুলে তেল লাগাতে হবে এবং চুল ধোয়ার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
* লাল জবা ফুল বেটে তার সঙ্গে সমপরিমাণ তিলের তেল, সরিষার তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করে নিন। নিয়মিত তেলের বদলে এটি চুলে ম্যাসাজ করুন।
* চুলে কোনো প্যাক ব্যবহারের আগে স্পা ট্রিটমেন্টের কন্ডিশনার অল্প একটু পানির সঙ্গে মিশিয়ে শুকনো চুলেই লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট রেখে তার ওপর হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। এরপর আরও ২০ মিনিট হেয়ার প্যাক রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার পরেও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন চুল মসৃণ করার প্যাকটি ব্যবহার করতে হবে।
* মাসে দুবার অবশ্যই হেয়ার স্পা ট্রিটমেন্ট করাতে হবে এবং হট অয়েল ম্যাসাজ নিতে হবে সপ্তাহে দুবার। তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত চুলে প্রাণ ফিরিয়ে আনা মুশকিল।
রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিনও বাতলে দিয়েছেন এ ধরনের চুলের যত্নের কিছু উপায়। তাঁর মতে, মাথার ত্বক পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখা খুব জরুরি। বাইরে ধুলাবালি ও রোদ থেকে রক্ষা পেতে মাথা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেন তিনি। ফিরে এসে অবশ্যই শ্যাম্পু করতে হবে। রোজ ব্যবহারের জন্য চুলের ধরন জেনে বেছে নিতে হবে মৃদু কোনো শ্যাম্পু। এরপরে প্রোটিনসমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। তোয়ালে দিয়ে চুল ঘষে ঘষে না শুকিয়ে চেপে চুলের পানি নিংড়ে বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে। ভেজা চুলে হেয়ার সেরাম ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুলগুলোকে ভাগ ভাগ করে শুকিয়ে নিন।
চুলের কুঁকড়ে যাওয়া রোধ করতে অতিরিক্ত আয়রন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। রিবন্ডিং, রং করার আগে অবশ্যই একজন রূপবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিন।
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.
EmoticonClick to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.