Articles by "Daily life Tips"

 

জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। এ নামাজ মুসল্লিদের জন্য সওয়াব বর্ধন এবং মৃত ব্যক্তির জন্য ক্ষমার সুপারিশ। জানাজায় লোক সংখ্যা বেশি হওয়া মুস্তাহাব এবং মুসল্লি সংখ্যা যত বাড়তে ততই ভালো। তবে কাতার বেজোড় হওয়া উত্তম। জানাজার নামাজ মূলত মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া ও ইস্তেগফার। জানাজার নামাজ পড়ার নিয়ম, রীতি ও দোয়াগুলো তুলে ধরা হলো-

১. জানাজার নামাজে ইমাম মৃতের বুক বরাবর দাঁড়াবে। (বুখারি, হাদিস: ১২৪৬)

২. ইমামের পেছনে মুক্তাদিদের কাতার হবে। (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৩১০২)

৩. সবাই আল্লাহর ইবাদত হিসেবে জানাজার ফরজ আদায়ের নিয়ত করবে। (বুখারি, হাদিস: ১)

৪. নিয়ত : মনে মনে নিয়ত করা ফরজ। মুখে পড়া ফরজ নয়। তাই মনে মনে শুধু এতটুকু নিয়ত করলেই হবে যে-

‘জানাজার নামাজ ফরজে কেফায়াহ, চার তাকবিরের সহিত এই ইমামের পেছনে আদায় করছি। নামাজ আল্লাহর জন্য দোয়া মাইয়্যেতের জন্য।

৫. এরপর তাকবিরে তাহরিমা (اَللهُ اَكْبَر) বলবে এবং কান পর্যন্ত হাত ওঠাবে।

৬.  এরপর ছানা পড়বে-

سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَجَلَّ ثَنَاءُكَ وَلاَ اِلَهَ غَيْرُكَ-

উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা ঝাদ্দুকা ওয়া ঝাল্লা ছানাউকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।


অর্থ : হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা আপনার। আপনি সব ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি হতে পবিত্র। আপনার নাম মঙ্গল ও বরকতপূর্ণ, আপনার মহত্ত্ব অতি বিরাট, আপনার প্রশংসা অতি মহত্ত্বপূর্ণ এবং একমাত্র আপনি ছাড়া আর কোনো প্রভু নেই।

৭. এরপর (দ্বিতীয়) তাকবির বলে দরুদ পাঠ করবে। এই তাকবিরে হাত ওঠাবে না–

اَللّهُمَّ صَلِّ عَلى مُحَمَّدٍ وَّعَلى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدُ، اَللّهُمَّ بَارِكْ عَلى مُحَمَّدٍ وَّعَلى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ।

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিউঁ ওয়া আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা ছাল্লাইতা আলা ইবরা-হিমা ওয়া আলা আ-লি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিউঁ ওয়া আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা বা-রাকতা আলা ইবরা-হিমা ওয়া আলা আ-লি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।


অর্থ : হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর শান্তি বর্ষণ কর, যেভাবে ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর শান্তি বর্ষণ করেছিলে। নিশ্চয়ই তুমি অতি প্রশংসিত মহিমান্বিত। হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর বরকত দান কর, যেভাবে ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর বরকত দান করেছিলে। নিশ্চয়ই তুমি অতি প্রশংসিত মহিমান্বিত।’ (নাসাঈ ১২৯১)

৮. তারপর তৃতীয় তাকবির বলে মৃত ব্যক্তি ও মুসলমানদের জন্য দোয়া করবে। তখনো হাত ওঠাবে না।

৯. তারপর চতুর্থ তাকবির বলবে। তখনো হাত ওঠাবে না। (দারাকুতনী ১৮৫৩, ইবনে আবি শায়বা  ৩/২৯৫)।

১০. এরপর ডান ও বাম দিকে সালাম ফেরাবে। (সুনানে কুবরা ৭২৩৮)

১১. ইমাম তাকবির উচ্চ স্বরে বলবে এবং বাকি দোয়া-দরুদ অনুচ্চ স্বরে পড়বে। মুক্তাদিরা সবই অনুচ্চ স্বরে তাকবির ও দোয়া-দরুদ পড়বে। (আবু দাউদ ২৭৮৪, সুনানে কুবরা ৭৪৩৩)


১২. মৃত ব্যক্তি যদি বালেগ পুরুষ বা নারী হয় তবে এই দোয়া পড়া—

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا، وَمَيِّتِنَا، وَصَغِيرِنَا، وَكَبِيرِنَا، وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا، اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِيمَانِ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِسْلَامِ، اللَّهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ، وَلَا تُضِلَّنَا بَعْدَهُ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাগফির লি হাইয়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গায়েবিনা ওয়া ছগিরিনা ওয়া কাবিরিনা ওয়া জাকারিনা ওয়া উংছানা, আল্লাহুম্মা মান আহয়াইতাহু মিন্না ফাআহয়িহি আলাল ইসলাম ওয়া মান তাওয়াফফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু আলাল ইমান। আল্লাহুম্মা লা তাহরিমনা আঝরাহু ওয়া লা তুদিল্লানা বাদাহু।’


অর্থ : হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত এবং মৃতদের, উপস্থিত এবং গায়েবদের, ছোট ও বড়দের এবং আমাদের নারী-পুরুষ সবাইকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাকে জীবিত রাখবেন তাকে ইসলামের ওপরই জীবিত রাখুন। যাকে মৃত্যু দান করবেন তাকে ইমানের সাঙ্গেই মৃত্যু দিন। হে আল্লাহ! এর সাওয়াব থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করবেন না এবং এর পর আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করবেন না।’ (আবু দাউদ ৩২০১, তিরমিজি ১০২৪)

মৃত যদি ছেলে শিশু হয় তবে এই দোয়া পড়া-

اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرَطًاً , وَّاجْعَلْهُ لَنَا أَجْرًا وَّذُخْرًا , اَللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا شَفِيْعًا وَّمُشَفَّعًا

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাজআলহু লানা ফারাতঁও ওয়াজআলহু লানা আজরাঁও ওয়া জুখরাঁও ওয়াজআলহু লানা শা-ফিআও ওয়া মুশাফ্ফাআ।


অর্থ : হে আল্লাহ! এ বাচ্চাকে আমাদের নাজাত ও আরামের জন্য আগে পাঠিয়ে দাও, তার জন্য যে দুঃখ তা আমাদের প্রতিদান ও সম্পদের কারণ বানিয়ে দাও, তাকে আমাদের জন্য সুপারিশকারী বানাও, যা তোমার দরবারে কবুল হয়।

আর মেয়েশিশু হলে এই দোয়া পড়া-

اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا لَنَا فَرَطًاً , وَّاجْعَلْهَا لَنَا أَجْرًا وَّذُخْرًا , اَللَّهُمَّ اجْعَلْهَا لَنَا شَفِيْعَةً وَّمُشَفَّعَة

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাজআলহা লানা ফারাতঁও ওয়াজআলহা লানা আজরাঁও ওয়া জুখরাঁও ওয়াজআলহা লানা শা-ফিআতাঁও ওয়া মুশাফ্ফাআহ।


অর্থ : হে আল্লাহ! এ বাচ্চাকে আমাদের নাজাত ও আরামের জন্য আগে পাঠিয়ে দাও, তার জন্য যে দুঃখ তা আমাদের প্রতিদান ও সম্পদের কারণ বানিয়ে দাও, তাকে আমাদের জন্য সুপারিশকারী বানাও, যা তোমার দরবারে কবুল হয়।

শিশুদের জন্য দোয়া

اللَّهُمَّ أَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْر

উচ্চারণ
 : ‘আল্লাহুম্মা আইযহু মিন আযাবিল কবরি।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি এ ছেলেটিকে কবর আজাব থেকে রক্ষা করো।’ (মিশকাত ১৬৮৯)

اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا سلفا وفرطا وذخرا وَأَجرا

উচ্চারণ
 :আল্ল-হুম্মাজআলহু লানা সালাফান ওয়া ফারাত্বান ওয়া যুখরান ওয়া আজরান’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! এ ছেলেটিকে (কেয়ামতের দিন) আমাদের অগ্রবর্তী ব্যবস্থাপক, রক্ষিত ভান্ডার ও সওয়াবের কারণ বানাও)।’ (মিশকাত ১৬৯০)

দোয়া দুইটি কারো জানা না থাকলে-

اَللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَات

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগফির লিলমু'মিনিনা ওয়াল মু'মিনাত।


অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি মুমিন নারী-পুরুষ উভয়কে ক্ষমা করে দিন।

১৩. চতুর্থ তাকবিরের পর সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা। প্রথম তাকবির ছাড়া হাত না ওঠানো। নামাজিদের কাতার তিন, পাঁচ, সাত এভাবে বেজোড় হওয়া।

(সুনানে কুবরা, হাদিস: ৭২৩৮, দারাকুতনী, হাদিস: ১৮৫৩)


সহজে এবং দ্রুত জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের জন্য শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে একটি সরকারি গেটওয়ে। সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহার করে সহজেই পরিচয় নিশ্চিত হতে পারবে। আগের মতো ৩ থেকে ৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে না।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার বেলা তিনটায় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে porichoy.gov.bd-গেটওয়েটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রসঙ্গত, ‘পরিচয়’ হচ্ছে গেটওয়ে সার্ভারটি নির্বাচন কমিশনের জাতীয় ডেটাবেসের সঙ্গে সংযুক্ত। এটি এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং, যা সরকারি, বেসরকারি বা ব্যক্তিগত যেকোনো সংস্থার গ্রাহককে মুহূর্তেই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাই করে দিতে পারবে। আগের মতো এনআইডি যাচাইয়ের জন্য এখন থেকে আর অপেক্ষা করতে হবে না।

বর্তমান প্রক্রিয়ায়, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে লগ ইন করে সংস্থাগুলো জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ম্যানুয়ালি যাচাই করে থাকে। আবার অনেক সংস্থা এনআইডি যাচাইও করে না, কারণ নির্বাচন কমিশনের এনআইডি ডেটাবেসে তাদের ঢোকার সুযোগ নেই।

কিন্তু ‘পরিচয় গেটওয়ে’ ব্যবহার করলে জাতীয় আইডি যাচাই করার জন্য কোনো মানুষের প্রয়োজন নেই। যেকোনো প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যারের মাধ্যমে ‘পরিচয় গেটওয়ে’ সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করলে জাতীয় আইডি শনাক্তের ফলাফল সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেয়ে যাবে। এখন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট খোলার মতো যেসব কাজে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের প্রয়োজন হয়, সেসব কাজ সহজসাধ্য হবে। এতে করে সময়ও বাঁচবে। নিজের নাম নিবন্ধন করে যাচাইয়ের জন্য ভোগান্তিও পোহাতে হবে না। এটি সঙ্গে সঙ্গেই জাল আইডি শনাক্ত করে জালিয়াতি প্রতিরোধ করবে। ‘পরিচয় গেটওয়ে’ গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বজায় রাখবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের খরচ কমিয়ে কাজকে দ্রুত করবে।



হাতে যদি থাকে একটা দিন, আর থাকে ইতিহাসের প্রতি টান, তা হলে আর দেরি না করে বেরিয়ে পড়ুন মোগলমারি আর কুরুম্বীরা ফোর্ট দেখতে।
হাওড়া থেকে প্রথমে লোকাল কিংবা এক্সপ্রেস ধরে খড়্গপুর।খড়্গপুর স্টেশন থেকে বের হলেই বাসস্ট্যান্ড। সেখান থেকে দাঁতনের বাসে চেপে মোগলমারি। খড়্গপুর থেকে মোগলমারি ঘণ্টা দেড়েকের পথ।সরাসরি দাঁতনের বাস না মিললে একটা ব্রেক জার্নি বেলদা অবধি। বেলদা থেকে মোগলমারি।
***মোগলমারি


হাইওয়েতে বাসস্টপের নাম মোগলমারি।একটু পথ হাঁটতেই চোখে পড়ল মোগলমারির দিক নির্দেশ করে হাইওয়েতে একটি বোর্ড দেওয়া রয়েছে।একটি বোর্ড ভেঙে পড়েছে অবশ্য, তাতে কুছ পরোয়া নেই।হাইওয়ে থেকে ডানদিকের সিমেন্ট বাঁধানো রাস্তা।মিনিট দুইয়ের হাঁটা পথ।যেতে যেতে বাঁদিকে চোখে পড়ল বড় হরফে লেখা রয়েছে ‘মোগলমারি বৌদ্ধবিহার’।গেট খুলে প্রবেশ করলাম। অপেক্ষা করছিল ষষ্ঠ শতকের একাধিক বিস্ময়।কয়েকটা সিঁড়ি উঠতে হল। দু’পাশ পাতাবাহারের কেয়ারি করা।উঠতেই ডানদিকে বোর্ড, ‘মোগলমারি এক্সক্যাভেশন সাইট’। বোর্ডের ঠিক পিছনে খড়ের চালা দেওয়া ছোট্ট অফিসঘর।
সিঁড়ির শেষ মাথায় একটা বড় মঞ্চের মতো ঘর, বড় বড় করে লেখা রয়েছে ‘মোগলমারী তরুণ সেবা সংঘ ও পাঠাগার’।শুনেছিলাম এই পাঠাগারের হাতেই এইবৌদ্ধ বিহারের রক্ষণাবেক্ষণের ভার রয়েছে!
সেখানেই গেলাম প্রথমে।বসলাম। আগে ফোনে কথা হয়েছিল মোগলমারির দায়িত্বে থাকা কিউরেটর গৌরগোপাল দে-র সঙ্গে।আলাপ-পরিচয় হল।কিউরেটরের সঙ্গেই শুরু হল ষষ্ঠ শতকের বিশাল বৌদ্ধবিহার পরিক্রমা।
পুরাতাত্ত্বিকদের মতে, মোগলমারি পশ্চিমবঙ্গের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধবিহার। নালন্দার সমসাময়িক।হিউ-এন-সাং এসেছিলেন এখানে, তিনি তার ‘সি-ইউ-কি’ভ্রমণ বৃত্তান্তে উল্লেখ করেছেন এই বৌদ্ধবিহারের কথা। ন’দফায় এখানে খননকার্য চালায় পুরাতত্ত্ব বিভাগ।কিউরেটর গৌরবাবু স্থানীয় বাসিন্দা। মাঝবয়সী,বেশ প্রাণবন্ত।প্রথম দফার খননকার্য থেকেই তিনি যুক্ত আছেন পুরাতত্ত্ব বিভাগের সঙ্গে।জানেন অনেক অজানা কথা।শুরু করলেন মোগলমারির অজানা ইতিহাস বলতে।
সালটা ১৯৯৯। প্রাচীন বাংলায় নদী বাণিজ্য সংক্রান্ত পুরাতাত্ত্বিক খোঁজে সুবর্ণরেখার গতিপথ ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে আসেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক অশোক দত্ত। তাঁর সঙ্গে ঘটনাসূত্রে আলাপ হয় দাঁতনেরই এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের।তিনিই অশোকবাবুকে এই জায়গার সন্ধান দেন।তখন এই জায়গার নাম ছিল ‘সখিসেনা ঢিবি’।

মোগলমারি বৌদ্ধ বিহার

সখিসেনা ঢিবির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অতীত ইতিহাসের এক রোমান্টিক প্রেম কাহিনি।ঐতিহাসিক ও গবেষকদের মতে, এই অঞ্চলের প্রাচীন নাম ছিল অমরাবতী। আর এই অমরাবতীর রাজা বিক্রমকেশরীর ছিল এক বিদূষী সুন্দরী মেয়ে। নাম ‘সখিসেনা’।রাজকন্যা সখিসেনা অমরাবতীর পাঠশালায় যান জ্ঞানার্জনের জন্য।সে সময় রাজা বিক্রমকেশরীর মন্ত্রীর পালিত পুত্র আহিমানিকও সেই পাঠশালায় যান বিদ্যার্জনের জন্য। উভয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়,ঘনিষ্ঠতা থেকে শুরু হয় প্রণয়।
প্রায় তিনশো বছর আগে এই প্রণয়কথা নিয়ে বর্ধমানের লোককবি ফকিররাম লিখেছিলেন ‘সখিসেনা’বলে একখানি কাব্য।এই সখিসেনাকে নিয়ে সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ এক সময় লিখেছিলেন ‘কিংবদন্তীর দেশে’। অনুমান, অতীতের এই সখিসেনার পাঠশালা আজকের মোগলমারি।যদিও এ বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। মোগলমারির অতীত ইতিহাস অনুসন্ধান করে জানা গেল যে এক সময় মোগলরা এই পথ ‘মাড়িয়ে’যেত।‘মাড়ি’,অর্থাৎ পথ।সে কারণেই নাকি নাম হয় ‘মোগলমারি’।আবার কারও মতে, তুকারুই নামে এক জায়গায় মোগল-পাঠানদের মধ্যেযুদ্ধ হয়েছিল, তাতে মারা গিয়েছিলেন বহু মোগল সৈন্য, তারপর থেকেই নাম হয় ‘মোগলমারি’।
তবে মোগলদের অনেক আগেই যে এখানে সমৃদ্ধ জনপদের অস্তিত্ব ছিল, সে বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই।কারণ, দাঁতনের প্রাচীন নাম দন্তভূক্তি।কেউ কেউ বলেন, এখানে বৌদ্ধ জনপদ ছিল।আর এই মোগলমারি বৌদ্ধবিহারে ছিল বুদ্ধদেবের দাঁত।এখানকার বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বুদ্ধের দাঁতের আরাধনা করতেন।সেই থেকে জায়গার নাম হয় ‘দাঁতন’।তবে বৈষ্ণবরা মনে করেন, চৈতন্যদেবের ফেলে যাওয়া দাঁতন থেকেই জায়গার নাম হয় দাঁতন।
প্রাচীন দণ্ডভুক্তি ছিল এক সময়ে শশাঙ্কের রাজ্য।তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, শশাঙ্ককে যাঁরা ‘বৌদ্ধ বিদ্বেষী রাজা’বলেন তাঁরা এই মোগলমারি বৌদ্ধবিহারের অস্ত্বিত্ব নিয়ে কী বলবেন? গবেষকদের মতে, এই মহাবিহারেও কিন্তু হিন্দু প্রভাব পড়েছিল, যার একাধিক প্রমাণ মিলেছে।
কিউরেটর গৌরবাবুর সঙ্গে মোগলমারি বৌদ্ধবিহার ঘোরা চলছে। চারপাশে অজস্র ঢিবি।খোঁড়া রয়েছে।গাছ-পাতা ও সংরক্ষণের অভাবে বেশ দৈন্যদশা।নামমাত্র বাঁশ দিয়ে ঘেরা।কেউ কেউ তো ষষ্ঠ শতকের ইঁটের টুকরো ‘স্মৃতিচিহ্ন’হিসেবে ঘর অবধি নিয়ে চলে গিয়েছেন নিজের মনে করে! ছাগল নির্বিঘ্নে ঘাস খাচ্ছে বৌদ্ধবিহারের ভেতরে।
কিউরেটরের কাছ থেকে জানা গেল, ২০০৪ সালে প্রথম খোঁড়ার কাজ শুরু হয়।তখন এখান থেকে পাওয়া যায় একখানি সিলমোহর যেখানে লেখা ছিল,‘শ্রীবন্দক মহাবিহার আর্য ভিক্ষু’।পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধীনে ন’দফায় এখানে ব্যাপক ভাবে খননকার্য চলে।ধীরেধীরে মেলে মঠের প্রধান প্রবেশদ্বার,উপাসনা ক্ষেত্র। প্রমাণিত হয় যে, বিহার নয়, এখানে ছিল এক বিরাট মহাবিহার।
দেশবিদেশের বৌদ্ধ ভিক্ষু, লামারা এখানে আসতেন।এই মহাবিহারে থাকতেন একাধিক লামা ও বৌদ্ধভিক্ষু। ছোটছোট কুঠুরিগুলি তার প্রমাণ। যার ওপরের অংশ এবং ভেন্টিলেটর পর্যন্ত খোঁড়ার কাজ হয়েছে।কেবলমাত্র শিক্ষা নয়, এখানে বহু মানুষ আসতেন দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসার জন্যও।কেউ কেউ বহু দূর থেকে আসতেন বুদ্ধের পায়ে অর্ঘ্য নিবেদনের জন্যও। যে অর্ঘ্যের নমুনা রয়েছে মিউজিয়ামে।বিশেষ অনুমতি থাকার কারণে সেই অর্ঘ্য হাতে নিয়ে দেখার সৌভাগ্য হল।
মহাবিহারের একটি অংশে বিশেষভাবে গ্রিন হাউসের মতো ঢাকা দেওয়া রয়েছে দেখলাম।সেখানে একটু নীচে নামতে হল।নেমে শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকা।বিহারের নীচের কারুকাজ করা অংশে বিভিন্ন মুদ্রায় পরপর একাধিক বৌদ্ধমূর্তি।অসাধারণ তার নির্মাণ কৌশল।সবই নামমাত্র সংরক্ষিত।কিউরেটরের কথায়, হীন যান ও মহাযান সম্প্রদায়ের প্রভাব পড়েছিল এই বিহারে।মহিলাদেরও প্রবেশ ছিল এই বিহারে যার প্রমাণ হিসেবে দেখতে পাওয়া গেল দেওয়াল গাত্রের কিছু মূর্তি।
ধ্বংসের চিহ্ন দেখেই বোঝা যায়, বারে বারে বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়েছে এই বিহারে। খননের একেবারে প্রথম দিকে তিব্বতের লামারা এসেছিলেন।পরে চিন,নেপাল, জাপান-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এসেছেন এই মোগলমারিতে।একবার বৌদ্ধ ফেস্টিভ্যালও হয়েছে এখানে।
মোগলমারিতে প্রাপ্ত ক্যাটালগের ভিত্তিতে জানা যায় ন’দফা খননে কী কী মিলেছে।বৌদ্ধমূর্তি, স্ট্যাকো মূর্তি, মাটির নকশা করা পাত্রের পাশাপাশি সে সময় ব্যবহৃত এসেন্স বা আতরের বোতলের নল অংশগুলি উদ্ধার হয়েছে।যেগুলি সত্যিই খুব আকর্ষণীয়।
ভারতীয় পুরাতত্ত্বের ইতিহাসে এটি একমাত্র মহাবিহার যেখানে একই দিনে প্রায় ৯৫টি বৌদ্ধমূর্তি উদ্ধারের নজির রয়েছে। প্রায় ৫৪ রকমের নকশা করা ইট মিলেছে মোগলমারিতে। মিউজিয়মে এসবের একাধিক নমুনা দেখতে পাওয়া যায়। তবে অযত্নে রক্ষিত। সিকিউরিটি, সিসিটিভি চোখে পড়েনি!
ইতিপূর্বে ইংরেজ আমলেও নাকি এক বার খনন হয়েছিল।তবে তারা খননে বিশেষ আগ্রহ দেখাননি।ফলে এই ঢিবি চাপাই ছিল।
***কুরুম্বীরা ফোর্ট

কুরুম্বিরা ফোর্ট


মোগলমারি বাসস্টপ হাইওয়ের ধারে। সেখান থেকে বাস ধরে এবার কুকাইয়ের পথে।সরাসরি কুকাইয়ের বাস পাওয়া যায় মোগলমারি থেকে। না হলে বেলদা কিংবা কেশিয়ারির বাস ধরতে হবে।সেখান থেকে কুকাই বা হাজিপুর।মোগলমারি থেকে কুকাই আধঘণ্টার পথ। ভাড়া ১০ টাকা।
কুকাই বাসস্টপেনেমেই বাঁদিকে একটি মোরামের রাস্তা দেখতে পেলাম।স্থানীয়দের কথায়, এই রাস্তা ধরে ২ কিমি গেলেই গগনেশ্বর। সেখানেই কুরুম্বীরা ফোর্ট। কুকাই বাসস্টপ থেকে কুরুম্বীরা ফোর্ট টোটো ভাড়া ১০টাকা।
দুর্গের প্রধান দরজায় টোটো নামিয়ে দিল।দুর্গের প্রধান দরজায় দাঁড়িয়ে আপনি কিছুক্ষণের জন্য ভুলে যাবেন যে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোথাও রয়েছেন। লোকচক্ষুর আড়ালে ইতিহাসের এক অজানা অধ্যায়। মাকড়া পাথরের দুর্গ, বিরাট অংশ জুড়ে।রাজস্থান, গুজরাত, দিল্লি, হিমাচল, দক্ষিণের বিভিন্ন দুর্গ দেখার অভিজ্ঞতা থেকে মনে হল, একে দুর্গ বললেও দুর্গ ঠিক নয়।
কারণ পরিখা, ওয়াচ টাওয়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কোনও কিছুই নেই এখানে।চারপাশের আকৃতি দিল্লির দেওয়ান-ই-আম, দেওয়ান-ই-খাস-এর মতো। আর একপাশে একটি বিরাট ইমারত। মাথায় তিনটি গম্বুজ। এই দুর্গের কোনও লিখিত ইতিহাস পাওয়া যায়নি। যেটুকু জানা যায় তা লোকবিশ্বাস ও জনশ্রুতির ওপর ভিত্তি করে।
ওড়িশা গেজেটিয়ার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চতুর্দশ শতকে ওড়িশার রাজা গজপতি কপিলেন্দ্রদেবের আমলে এই দুর্গ গড়ে ওঠে।পরে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে দুর্গ অভ্যন্তরের জগন্নাথ মন্দির ভেঙে মসজিদ বানানো হয়।বর্তমানে মসজিদের তিনটি গম্বুজ এখনও দেখতে পাওয়া যায়।


স্থানীয়দের কাছ থেকে ইতিহাসের আরও এক ভাষ্য উঠে আসে। রামচন্দ্র নাকি বনবাসের সময় ভাই লক্ষ্মণ ও স্ত্রী সীতার সঙ্গে এখানে আসেন।ঘন জঙ্গল, অতএব, থাকার জন্য বানান দুর্গ।আর একরাতে নাকি এই দুর্গ বানানো হয়েছিল!
মিথ হোক কিংবা ইতিহাস— কুরুম্বীরা ফোর্টের স্থাপত্য কিন্তু নজর কাড়বে আপনার।এর স্তম্ভ এবং ভেতরের কিছু নকশা চোখে পড়ার মতো।ঘুরে দেখতে ঘণ্টাখানেক। অনেক মুহূর্ত ক্যামেরবন্দি করে দিনের শেষে ঘরে ফেরার পালা।
ফিরতি পথে মনে হল, এই দুই জায়গা নিয়ে অসাধারণ পর্যটনকেন্দ্র তৈরি হতে পারে।কারণ, দিঘা এবং ওড়িশা ফেরত পর্যটকেরা হাইওয়ের ধারে মোগলমারি এবং কিছুটা দূরে কুরুম্বীরা ফোর্ট অনায়াসে দেখে নিতে পারেন।শুধু গাড়ি কিংবা বাসের পর্যটকরাই নন, ট্রেনের যাত্রীরাও খড়্গপুরে নেমে এই জায়গাদু’টি দেখে নিতে পারেন।তবে সেক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার সামান্য উন্নতি ও প্রচার প্রয়োজন।প্রশাসন ও পর্যটন বিভাগেরও বিষয়টি নিয়ে একটু ভাবা উচিত।যেভাবে নালন্দা কিংবা দক্ষিণের মহাবলীপুরম সেজে উঠেছে, ঠিক সে ভাবে মোগলমারি ও কুরুম্বীরাও সেজে উঠতে পারে।




রাজভবনে রয়াল কোট অব আর্মস[/caption] রাজভবন শুধু আমাদের ঐতিহ্য নয়, আমাদের গর্বও বটে। বিশাল এই বাড়িটির প্রতিটা কোণ দেশ এবং রাজ্যের রাজনৈতিক উত্থান-পতনের সাক্ষী। শুধু তাই নয়, সংস্কৃতিগত দিক দিয়েও বাড়িটির গুরুত্ব অসীম। ১৮৫৮-তে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর ভাইসরয় অব ইন্ডিয়ার বাসভবন হিসাবে ব্যবহৃত হতে থাকে বাড়িটি। অনেকে মনে করেন ডার্বিশায়ারে রবার্ট অ্যাডামস-এর কেডলেসটন হলের প্রভাব রয়েছে বাড়িটির স্থাপত্যে। এই বাড়ির বিরাট অলিন্দ ও জাঁকজমকপূর্ণ অন্দরসজ্জা সম্পর্কে অনেকে জানলেও এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনের কথা আমাদের দীর্ঘ দিন অজানা ছিল। রয়্যাল কোট অব আর্মস এমনই এক বৈশিষ্ট্যের উদাহরণ। মহারানি ভিক্টোরিয়া এবং ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রতীকস্বরূপ কোট অব আর্মস ব্যবহার করা হত। রাজভবনের চারটি কোণে এবং মূল দরজার ওপর যে ত্রিভূজাকৃতি অংশ, এখন যেখানে অশোকচক্র শোভা পাচ্ছে সেখানেই একসময় শোভা পেত কোট অব আর্মস। স্বাধীনতার পর সি গোপালাচারী গভর্নর জেনারেল হয়ে আসার আগে রাজভবন সজ্জায় কিছু কিছু পরিবর্তন আনা হয়। মনে করা হয় সেই সময় রাজভবন থেকে এগুলি খুলে ফেলা হয়েছিল। ইংল্যান্ড এবং তৎকালীন ভারতের ইতিহাসে এই রয়্যাল কোট অব আর্মস-এর গুরুত্ব অপরিসীম। রানির নামে ব্যবহৃত এই প্রতীকটি আদালতে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথিতে দূতাবাসে ব্যবহার করা হয়। ইংল্যান্ডের চার্চগুলিও রাজতন্ত্রের প্রতি আনুগত্য দেখাতে রয়্যাল কোট অব আর্মস ব্যবহার করে। মনে করা হয় এই সব কারণেই ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতে ভাইসরয় অব ইন্ডিয়ার বাসস্থানে কোট অব আর্মস বসানো হয়েছিল। কোট অব আর্মস দেখতে অনেকটা শিল্ডের মতো, যা চার ভাগে বিভক্ত। আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড আর ওপরের বাঁ দিক এবং নীচের ডান দিকে ইংল্যান্ডের প্রতীক থাকে। ওপরের ডান দিক আর নীচের বাঁ দিকে থাকে ইংল্যান্ডের গার্ডিয়ান লায়ন। ওপরে একটি বড় সিংহ থাকে যেটি স্কটল্যান্ডের রাজকীয় প্রতীক। নীচে থাকে একটি হার্প। যেটি আয়ারল্যান্ডের রাজকীয় প্রতীক। শিল্ডের চারিদিকে রয়েছে একটি বেষ্টনী। যেখানে খোদিত আছে ‘অনি সওই কুই মাল ইয়া পেনস’। এর অর্থ, যারা মন্দ চিন্তা করে তাদের ধিক্কার।





মূল কোট অব আর্মসের ডিজাইন[/caption] শিল্ডের মাথায় রয়েছে সোনার মুকুট পরা সিংহ। শিল্ডের ডেক্সটার এবং সিনস্টার সাইডে রয়েছে যথাক্রমে সিংহ এবং ইউনিকর্ন। ইউনিকর্ন চেন দিয়ে বাঁধা অবস্থায় রয়েছে কারণ মুক্ত ইউনিকর্নকে বিপজ্জনক মনে করা হয়। সিংহ আর ইউনিকর্ন একটা ছোট ফ্রেমের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে যার নীচে রয়েছে তিন রকমের ফুল পাতা। থিসল, টিউডর রোস আর সামরক। এরা যথাক্রমে স্কটল্যান্ড ইংলন্ড আর আয়ারল্যান্ডের প্রতীক। এর নীচে রয়েছে আর একটি নীতিবাক্য, ‘দিউ ই মঁ দোঁয়া’ যার অর্থ ঈশ্বর এবং আমার অধিকার। বর্তমান রাজপরিবার এই নীতিবাক্যই অনুসরণ করে। কোট অব আর্মস পুনরুদ্ধারের ইতিহাসটিও বেশ চিত্তাকর্ষক। প্রাক্তন গভর্নর গোপালকৃষ্ণ গাঁধী রাজ্যপাল থাকাকালীন অবসর পেলেই সুপ্রাচীন এই বাড়িটির বিভিন্ন অংশ ঘুরে ঘুরে দেখতেন। এক দিন রাজভবনের প্রশস্ত বাগানে পায়চারী করার সময় তিনি দেখতে পান মাটির নীচ থেকে ভাঙা লোহার বেশ কিছু টুকরো উঁকি দিচ্ছে। সেই রকমই একাধিক টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে আশপাশে। এর মধ্যে একটা বড় সিংহের মাথাও ছিল। কৌতূহলী হয়ে সেইখানে খননের নির্দেশ দেন তিনি। এর পরই মাটির তলা থেকে বেরিয়ে আসে লোহা দিয়ে তৈরি এমন কিছু জিনিস যা দেখলেই বোঝা যায় যে কোনও এক সময় এগুলির সঙ্গে রাজভবনের ঐতিহ্যের যোগ ছিল। এগুলিকে পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু তত দিনে গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। রাজভবনের দক্ষিণের বাগানে জিনিসগুলিকে জড়ো করে রাখা হয়।





পুনর্নিমার্ণের আগে রাজভবন চত্বরে কোট অব আর্মস এর অংশবিশেষ[/caption] পরবর্তী রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন পুরো ব্যাপারটি জেনে পুনর্গঠনের কাজটি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ বা সংক্ষেপে ইনটাক নামে একটি সংস্থাকে দেন। ভাঙা টুকরোগুলি দেখে সংস্থাটি ধারণা করে যে টুকরোগুলি আসলে রয়্যাল কোট অব আর্মস-এর অংশবিশেষ। রাজভবনের নথিপত্র এবং পুরনো ইতিহাস ঘেঁটে এইটুকু বোঝা যায় যে ১৮০৩-এর আগে এটি তৈরি করা হয়েছিল। লোহার এই সুবিশাল টুকরোগুলিকে জোড়া লাগিয়ে সেগুলিকে ঠিক আকার দেওয়ার কাজটা খুব সহজ ছিল না। ১০০ টনের মতো ওজনও ছিল সবকটা আর্মসের। দীর্ঘ দিন মাটিতে থাকার ফলে বেশ কিছু অংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, এ ছাড়াও বেশ কিছু অংশের কোনও হদিশ পায়নি সংস্থাটি। ফলে টুকরো জোড়া দেওয়ার কাজটি আরও কঠিন হয়ে যায়। কাজটি করার জন্য টুকরোগুলি জোড়া লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে নতুন টুকরো তৈরি করা দরকার ছিল। মেসার্স ম্যাকফারলেন্স গ্লাসগো বলে একটি কোম্পানি সেই সময় রয়্যাল কোট অব আর্মটি তৈরি করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বহু দিন বন্ধ হয়ে গিয়েছে কোম্পানিটি। এর পর যোগাযোগ করা হয় গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির সঙ্গে। এখানে সমস্ত স্কটিশ কোম্পানির তৈরি প্রতীকের প্রতিকৃতি রাখা ছিল। শুধু তাই নয়, ভারতবর্ষকে যথাযথ ভাবে ঔপনিবেশিক চেহারা দেওয়ার জন্য ইংল্যান্ডে যা যা প্রতীক তৈরি হয়েছিল সেগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এখান থেকে বিষয়টি সম্পর্কে খানিকটা ধারণা তৈরি হয়। এই বিষয়ে বিশদে জানার জন্য এর পর যোগাযোগ করা হয় ব্রিটিশ হেরিটেজ-এর সঙ্গে, যারা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ব্রিটেন-এর অংশ। এদের কাছ থেকেও বেশ কিছু সাহায্য পাওয়া যায়।






ভিক্টোরিয়াতে রয়াল কোট অব আর্মস[/caption] ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে মোট চারটি কোট অব আর্মস ছিল। দু’টি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এবং দু’টি মহারানি ভিক্টোরিয়ার। ১৮৫৭-র পরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিরগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়, চারটি রানি ভিক্টোরিয়ার কোট বসানো হয়। এর পর পঞ্চম কোট অব আর্মসটি রাজভবনের সামনের ত্রিকোণাকৃতি জায়গায় বসানো হয়। কোনও কোনও ইতিহাসবেত্তা মনে করেন, লর্ড কার্জন পঞ্চম কোট অব আর্মসটা বসান। ইনটাক-এর আহ্বায়ক জিএম কপূর জানান, এই টুকরোগুলিকে যথাস্থানে বসানো রীতিমতো কঠিন ব্যাপার ছিল। প্রায় জিগস পাজ়লের মতো কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, দু’টি গুরুত্বপূর্ণ টুকরো নিখোঁজ। সেই দু’টিকে ছাড়াই কাজ সম্পূর্ণ করা হয়। এর পর রাজভবনের সামনের খোলা জায়গায় একটি উঁচু বেদীর মতো করে বসানো হয় রয়াল কোট অব আর্মস। রাজভবন ছাড়াও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে রয়্যাল কোট অব আর্মস রয়েছে। যদিও দু’টির ডিজাইনে সামান্য তফাৎ আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাধীনতার পর সরকারি ভবন বলে রাজভবনেরটি খুলে ফেলা হলেও ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিতে তৈরি করা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কোট অব আর্মসটি খোলা হয়নি।


মাইগ্রেনের ব্যথা: কী খাবেন, কী খাবেন না

মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকের কোনো কোনো দিনকে অসহ্য করে তোলে। মাথার কোনো এক পাশে প্রচণ্ড ব্যথা, বমি ভাব বা বমি, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি সমস্যা এ সময় মানুষকে প্রায় শয্যাশায়ী করে ফেলে। মাইগ্রেনের ব্যথার আকস্মিক আক্রমণের জন্য কিছু বিষয় কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু খাবারদাবার, যা এই ব্যথাকে বাড়িয়ে দেয়।
অপর্যাপ্ত পানি পানের কারণে সৃষ্ট ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা এবং দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে রক্তে শর্করা কমে যাওয়া মাইগ্রেনের ব্যথাকে আমন্ত্রণ জানায়। এ ছাড়া নিয়াসিন ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাব ঘটলে এবং রক্তস্বল্পতার কারণেও মাথাব্যথা বাড়ে।
ব্যথার তীব্রতা কমাতে ট্রিপটোফেন-জাতীয় খাবার বেশ সুফল বয়ে আনে। লাল চাল, খেজুর, কিশমিশ, দুধ, দই, ডিম, শিম, বাদাম, ডুমুর, সবুজ ও কমলা রঙের সবজি, কলাসহ নানা ধরনের ফল নিয়মিত খাওয়া উচিত তাঁদের। ভেষজ চা, বিশেষ করে আদা-চা ও পুদিনা-চা মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
কিছু খাবার মাইগ্রেনের রোগীদের জন্য পরিত্যাজ্য। যেমন: চকলেট, পাউরুটি, কেক পেস্ট্রি, রং দেওয়া খাবার, সংরক্ষিত খাবার, আচার বা সস ও ময়দা-চিনির খাবার। মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা টেস্টিং সল্ট ব্যথা বাড়ায়।


বরফ দেবেন না সেঁক দেবেন?

শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণায় ভোগেন না, এমন মানুষ নেই। কখনো মেরুদণ্ডের ব্যথা, কখনো কোমরের ব্যথা, কখনোবা পায়ের ব্যথা চরম ভোগায়। এসব ব্যথা থেকে স্বস্তি পেতে গরম ও ঠান্ডা পানির টোটকা ব্যবহার করা যায়। কোন ধরনের ব্যথায় কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে, সে সম্পর্কে জানিয়েছে এনডিটিভি অনলাইন।
পিঠের ব্যথা
অনেক দিনের পিঠব্যথায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা ভাবেন গরম পানিতে একটু গোসল করলে আরাম লাগবে। গরম পানির সেঁক দিলে স্বস্তি পাওয়া যাবে। তবে বিষয়টি এমন নয়। বরং বরফের ঠান্ডা প্যাক ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ব্যথার জায়গায় দু-তিন দিন আইসপ্যাক দিলে পিঠের ব্যথা কমে যায়। তবে যদি ধারাবাহিকভাবে পিঠে ব্যথা করে, সে ক্ষেত্রে গরম সেঁক ভালো ফল দিতে পারে।
ব্যথা
কাজ শুরুর আগে সবারই উচিত গা গরম করে নেওয়া। হাঁটু আর কনুইটা একটু নড়াচড়া করে নেওয়া। এমনটা না করে কাজ শুরু করলে ব্যথা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বরফ-থেরাপি নেওয়া যেতে পারে। তবে কাজ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে নয়, অন্তত ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে। এতে আরাম পাওয়া যাবে।
গোড়ালির ব্যথা
একটু বেশি হাঁটাহাঁটি করলে বা জুতাটা কায়দামতো না হলে গোড়ালির ব্যথা হয় অনেকেরই। এই ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য লোকজন গরম সেঁক দিতে বলে। সেটা ঠিক উপদেশ নয়। বরং ঠান্ডা পানি ব্যবহারে গোড়ালির ব্যথা প্রশমিত হয়।
গেঁটে বাত
গেঁটে বাতের ব্যথা কী যে যন্ত্রণার, যার আছে সে-ই বোঝে। এখন প্রশ্ন হলো, এই ব্যথা কমানোর উপায় কী? ঠান্ডা, গরম, নাকি উভয়ের ব্যবহার? বিশেষজ্ঞরা বলেন, গরম সেঁক দিলে ব্যথার স্থানের মাংসপেশিগুলো শিথিল হয়। এতে করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। আবার বরফ ব্যবহারে প্রদাহ কমে। ফলে একবার গরম, আরেকবার ঠান্ডা ব্যবহারে গেঁটে বাতে আরাম পাওয়া যায়।


কমলার খোসায় রূপচর্চা

ফলটুকুই তো মূল। খোসা আর বিচি ফেলে দিলেই না ফলের স্বাদ পাওয়া যাবে। তবে ফেলে দেওয়া জিনিসও যে রূপচর্চায় বেশ কাজে লাগতে পারে, প্রমাণ পাওয়া গেছে অনেকবার। এখন কমলার সময়। স্বাদে তো কমলা দারুণ, এর খোসাও কিন্তু কম যায় না।

যেভাবে উপকার পাবেন—
 ভিটামিন সি কমলার খোসার মধ্যেও আছে। খোসা ভালো করে জ্বাল দিয়ে রস বের করে নিন। যেকোনো তেলের সঙ্গে মিশিয়ে গোসল করার আগে গায়ে মালিশ করে নিন। ত্বকে মসৃণ ভাব চলে আসবে। ঠিক একইভাবে কমলার খোসা শুকিয়ে পাউডার করে সেটা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
 যেকোনো মিষ্টান্নতেও কমলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। চোখের দেখা আর মুখের স্বাদ দুটোর জন্যই ভালো কাজ করবে।
 চালের গুঁড়া, দই ও কমলার খোসা তিনটি জিনিস মিশিয়ে আলতোভাবে মালিশ করলে ব্ল্যাকহেডস দূর হবে।
 ব্রণের সমস্যা কমাতে কমলার খোসার পেস্ট ব্যবহার করুন।
 স্ক্রাবার হিসেবে কমলার খোসা ব্যবহার করে দেখুন, মরা চামড়া সরে যাবে, ত্বক নরম হবে।
 খোলা লোমকূপের সমস্যা ধীরে ধীরে সমাধান হবে।
 ত্বকে অমসৃণভাবে কালো দাগের সমস্যা থাকলে ময়দা, কমলার রস, কমলার খোসা মিশিয়ে মালিশ করুন কিছুক্ষণ। চলে যাবে। যত সাধারণভাবে কম উপকরণ মিশিয়ে করবেন, তত ভালো ফলাফল পাবেন।
 যেকোনো প্যাকের সঙ্গেও কমলার খোসা মিলিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক উজ্জ্বল হবে।
 রোদে পোড়া ভাব দূর করতে দুধ অথবা দইয়ের সঙ্গে কমলার খোসা মিশিয়ে নিতে পারেন।
 চকচকে ভাব আনতে নখে ঘষুন।
 সারা রাত কমলার খোসা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তিনটি কাজ হবে—চুল পরিষ্কার, খুশকি দূর ও চুল নরম করা।
 বলিরেখা কমিয়ে আনতেও এর জুরি মেলা ভার।
যেটা করবেন না
 কমলার খোসা ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করার পরিকল্পনা থাকলে বাদ দিন। গুণাগুণ কমে যাবে।
 কমলার খোসা বেশি দিন শুকিয়ে রেখে দেবেন না। ছত্রাক জন্মাতে পারে।
 কমলার খোসা বা প্যাক ব্যবহার করার পর বেশ কিছুক্ষণ রোদে যাওয়া যাবে না। ত্বক রোদে পুড়ে যাবে।
 যাদের ত্বক সংবেদনশীল, কমলার খোসাকে দূরেই রাখুন। কারণ অ্যালার্জি হতে পারে। যদি ব্যবহার করতেই হয় তাহলে কমলার খোসা কম থাকবে। প্যাকের পরিমাণ বেশি থাকবে।


আঙুর ফল এর উপকারিতা

সারা বিশ্বে যত রকম গাছের চাষ করা হয়, সেগুলোর মধ্যে আঙুর সবচেয়ে পুরনো। আঙুর শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, খেতেও সুস্বাদু ফল। আজকাল বেশিরভাগ আঙুর আসে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে। প্রাচীন গ্রিকদের কাছে পাঁচ হাজার বছর আগে থেকে আঙুরের তৈরি ওয়াইনকে ‘দেবতার রক্ত’ বলা হতো, যা আজও প্রতীকি চিহ্ন বহন করে। তবে হালকা সবুজ রংয়ের আঙুর থেকে লাল বা গাঢ় সবুজ রংয়ের আঙুরে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। আঙুরে ‘ভিটামিন সি’ তেমন না থাকলেও আঙুর ইনফেকশন থেকেও রক্ষা করতে সাহায্য করে। ওজন কমাতেও এটি ব্যাপক ভূমিকা রাখে। গরমকালে যথেষ্ট আঙুর খেলে শীতকালেও সুস্থ থাকা যায়।
১. সপ্তাহ দুয়েক প্রতিদিন খোসাসহ দু’কেজি আঙুর আর সাথে যথেষ্ট পরিমাণে জল বা গ্রিন চা পান করলে কয়েক কেজি ওজন কমানো সম্ভব। তবে সে আঙুর হতে হবে অবশ্যই কোনো রকম কেমিকেল ছাড়া পুরোপুরি অর্গানিক উপায়ে চাষ করা। আঙুরের বড় গুণ হল – এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়৷
২. আঙুরে রয়েছে প্রচুর ফাইবার আঙুরের খোসাতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা মানুষের ইমিউন সিস্টেমকে (রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা) শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। আঙুরে অনেক বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় যা শরীরের বাড়তি জল কমিয়ে প্রয়োজনীয় জলের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
৩. অ্যান্টি এজিং (বার্ধক্য প্রতিরোধী) শুধু গ্রিন টি নয়, আঙুরও তারুণ্য ধরে রাখতে এবং রূপ লাবণ্য বাড়তে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় আঙুর ক্যানসার সেলগুলোর বৃদ্ধি কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
তাই, আঙুর খান, সুন্দর থাকুন।


তুলসী পাতায় সমাধান করুন নানাবিধ শারীরিক সমস্যা

প্রাচীনকাল হতেই নানা শারীরিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহার হয়ে আসছে তুলসী পাতা। তুলসী পাতার ঔষধি গুণের কারণে এটি বহুকাল ধরেই সমাদৃত ঘরোয়া চিকিৎসায়। ছোটোখাটো নানা শারীরিক সমস্যা থেকে শুরু করে মারাত্মক দৈহিক সমস্যাও দূর করতে কার্যকরী এই তুলসী পাতা।  জেনে নিন শুধুমাত্র তুলসী পাতার ব্যবহারে নানা শারীরিক সমস্যা সমাধানের  উপায়গুলো।
১। গলাব্যথা ও সর্দি কাশি দূর করতে
ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠাণ্ডা লেগে সর্দি কাশি হয়ে যায় এবং গলা ব্যথার সমস্যাও দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করবে শুধুমাত্র তুলসীপাতা। নিয়মিত তুলসী পাতার রস পান করলে ও তুলসী পাতা ফোটানো পানি দিয়ে গার্গল করলে দ্রুত সমস্যার সমাধান পাবেন।
২। মাথাব্যথা উপশম করতে
অনেক সময় মানসিক চাপ, মাইগ্রেন বা অন্যান্য অনেক কারণেই মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। মাথাব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে শুকনো তুলসী পাতা পানিতে ফুটিয়ে এই পানির ভাপ নিন। খুব ভালো ফলাফল পাবেন।
৩। জ্বর নিরাময়ে
১ মুঠো তুলসী পাতা ২ কাপ পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করলে নানা ধরণের জ্বর যেমন ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। এছাড়াও সাধারণ ঠাণ্ডা জ্বর হলে তুলসী পাতার চা তা দ্রুত নিরাময়ে সহায়তা করে।
৪। দাঁতের সমস্যা দূর করতে
দাঁতের জীবাণু দূর করতে তুলসী পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জুড়ি নেই। এছাড়াও মাড়ির ইনফেকশন জনিত সমস্যা দূর করে তুলসী পাতা। সমস্যা দূর করতে শুধুমাত্র তুলসী পাতা চিবিয়ে রস শুষে নিন।
৫। কিডনির সমস্যা দূরে করতে
তুলসী পাতার রস দেহ থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করার ক্ষমতা রাখে। নিয়মিত তুলসী পাতার রস পান করলে কিডনির সমস্যা, কিডনি ড্যামেজ এমনকি কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যায়।
৬। কানের ইনফেকশন দূর করতে
অনেক সময় কানের বিভিন্ন কারণে কানের ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয়। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করতে চান তাহলে কানে কয়েক ফোঁটা তুলসী পাতার রস ফেলে দিন। তুলসী পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটোরি উপাদান কানের ইনফেকশন ও প্রদাহ দূর করবে।


যাত্রাপথে বমিভাব হলে করণীয়…

বাস বা ট্রেনের ঝাঁকুনি, লঞ্চের দুলুনি এবং বিমানের শূন্যতার কারণেই মূলত এই সমস্যায় পড়েন অনেকে। পেটে অসস্তিকর অনুভূতি, মাথা ঘোরানো, কানে ভোঁ ভোঁ করতে থাকা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। আজকে জেনে নিন এই মোশন সিকনেস থেকে বাঁচতে অর্থাৎ বাস বা ট্রেন ধরণের বাহনে উঠলে বমিভাব দূর করার খুবই সাধারণ কিন্তু কার্যকরী উপায়গুলো…
১) বাহনে উঠার আগে কি খাওয়া উচিত এবং উচিত নয় সেদিকে নজর দিন। অতিরিক্ত সফট ড্রিংকস, ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার একেবারেই খাবেন না। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তারা প্রয়োজনে কিছু না খেয়েই বাহনে উঠুন। অনেক দূরের পথ হলে হালকা শুকনো কিছু খেয়ে নিন।
২) অতিরিক্ত ঘ্রাণ বা সুগন্ধযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বাহন চলাকালীন সময়ে কিছু খেতে চাইলে শুকনো চিপস ধরণের খাবার অল্প পরিমাণে খাবেন। পানি পান করবেন।
৩) বাহন যেদিক মুখ করে সামনে এগুচ্ছে তার উলটো দিকে কখনোই বসবেন না। এতে উলটো মোশনের কারণে বমিভাব প্রবল হয়। বাহন যেদিকে এগুচ্ছেন সেদিক মুখ করে বসুন।
৪) বাসে বসার ক্ষেত্রে পেছনের দিকের সিটে বসার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। পেছনের দিকে ঝাঁকুনি বেশী লাগে যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৫) যতোটা সম্ভব চলার পথের সমতলে নজর রাখুন। বাইরের দৃশ্য দেখায় মনোযোগ দিন। নিচের দিকে বা উপরের দিকে তাকিয়ে বসে থাকলেও বমিভাব ও অস্বস্তি হয়।
৬) যাদের মোশন সিকনেস রয়েছে তারা বাহনে উঠে চলার সময় কোনো বই পড়া বা মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে কিছু দেখার চেষ্টা করবেন না। এতে আরও অস্বস্তি হতে থাকবে।
৭) বদ্ধ স্থানে আরও বেশী সমস্যা হয়। তাই বাস বা ট্রেনে উঠলে জানালার পাশে বসে তাজা বাতাস গ্রহন করতে পারলে এই বমিভাব আপনা থেকেই কেটে যায়। বিমানের জন্য বা বড় ফিক্সড জানালার এসি বাসের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।
৮) চলার পথে অন্যান্য যাত্রীদের কাউকে অসুস্থ হয়ে বমি করতে দেখলে অবস্থা আরও বেশী খারাপ হয়ে যায়, তাই যাত্রীদের দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে বাইরের দিকে মনোযোগ দিন অথবা চোখ বন্ধ করে গান শুনতে থাকুন।
৯) ঘুমিয়ে পড়া হচ্ছে সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ। ঘুমিয়ে পড়তে পারেন এই অস্বস্তিকর অনুভূতি থেকে বাঁচতে। ভালো কাজে দেবে।
১০) বমিভাব দূর করার জন্য বাহনে উঠার আগেই এই জাতীয় ঔষধ খেয়ে নিতে পারেন। যদি আপনার খুব অল্প দূরত্বের জন্য এবং ঘন ঘন এই সমস্যা হতে থাকে তাহলে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাবেন।


হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগ উপশমের কিছু উপায়

নিউজ ডেস্ক: হাঁপানি বা অ্যাজমা বলতে সাধারণত শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্টকেই বোঝানো হয়৷ ছোট-বড় অনেকেই কষ্ট পায় এ রোগে৷ তবে আঁশযুক্ত খাবার শ্বাসনালীর এই সংক্রমণকে দূরে রেখে শ্বাসকষ্ট কমাতে সহায়তা করে৷ সেই খাবারগুলি কী?আঁশযুক্ত খাবারপশুর উৎপাদিত কোনো কিছুতেই বলতে গেলে আঁশ নেই৷ বিশেষজ্ঞদের মতে একজন সাধারণ মানুষের জন্য দিনে কম পক্ষে ৩০ গ্রাম আঁশ প্রয়োজন৷ দানা বা বীজযুক্ত খাবার এবং বিভিন্ন ফল ও সবজিতে রয়েছে প্রচুর আঁশ৷


রুটি
রুটি কম-বেশি সব বাড়িতেই খাওয়া হয়৷ তবে আজকাল আটাকে মেশিনে ঘষে-মেজে দেখতে সুন্দর, সাদা করে তোলার ফলে আটার আসল গুণ বা আঁশ রয়ে যায় মেশিনেই৷ বলা বাহুল্য, দানাযুক্ত খাবারে বেশি আঁশ থাকে৷ তাই লাল আটা বা ভূষিসহ বাদামি আটার রুটি খেয়ে শ্বাসনালীর সংক্রমণকে দূরে রাখার পরমর্শ দেন হাঁপানি বিশেষজ্ঞরা৷
চাল
আতপ চালের চেয়ে সেদ্ধ চালে পুষ্টিগুণ বেশি৷ তাই লাল চাল বা সেদ্ধ চালের ভাত খাওয়াই ভালো৷ সেদ্ধ চালে ভিটামিন বি-১ এবং খনিজ পদার্থ কিছুটা বেশি থাকে৷ লাল আটা, লাল চালের ভাত অথবা রুটি গ্যাস্ট্রিক ও ডায়বেটিসকেও দূরে রাখতে সহায়তা করে৷
ফল ও সবজি
বিভিন্ন ফলে রয়েছে প্রচুর আঁশ৷ বিশেষ করে আপেল, এপ্রিকট, পাকা, আম, কাঁঠাল, আমলকির মতো নানা ফলে যথেষ্ট আঁশ বা ফাইবার রয়েছে৷ এছাড়া গাজর, শিম, পটল, ঢ্যাঁড়স, বাঁধাকপি, টমেটো, মটরশুটি বা ব্রকোলি ইত্যাদি সবজিতেও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ আঁশ৷
দেশি খাবার
মুগ, ছোলা ও অন্যান্য ডালেও আঁশ আছে৷ অনেকের ধারণা যে, ফল বা ভালো খাবার বলতে শুধু বিদেশি ফল বা খাবার বোঝায়৷ এটা মোটেই ঠিক নয়৷ আমাদের দেশেই রয়েছে আঁশ ও ভিটামিনযুক্ত প্রচুর খাবার, যা দামের দিক থেকে সস্তা তো বটেই, তুলনামূলকভাবে টাটকাও৷
শুকনো ফল ও বাদাম
অনেকের ধারণা শুকনো ফল মানেই ভালো নয়- এটা আসলে ঠিক নয়৷ সব সময় হয়ত সব ফল ঘরে থাকে না৷ তাই কম চিনি দেওয়া বা চিনি ছাড়া শুকনো ফল, কাঠ বাদাম বা অন্যান্য বাদাম ঘরে রেখে দেওয়া যায়, যা প্রয়োজন হলেই খাওয়া যেতে পারে৷ তাছাড়া বাজারে পাওয়া যায় সূর্যমুখী ফুলের বিচি, তরমুজের বিচি, কুমড়োর বিচির মতো নানা ফল ও সবজির বিচি, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী৷
বিশেষ পরামর্শ
অবশ্য যারা আঁশযুক্ত খাবার আগে তেমন খাননি, নতুন করে খাওয়া শুরু করছেন, তাঁদের জন্য অ্যাজমা-বিশেষজ্ঞ ডা. বেনইয়ামিন মার্সলান্ড-এর দেওয়া টিপস: ‘‘প্রথমেই বেশি বেশি না খেয়ে আস্তে আস্তে শুরু করতে হবে৷ তা না হলে পেটে বায়ু হওয়া, পেটে ভরা ভরা ভাব বা পেট ব্যথাও হতে পারে৷ সবচেয়ে জরুরি, এ সব খাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করা, যাতে তা হজম হয়৷ তবেই কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাবে৷’’


শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবেন যেভাবে


শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে এলেই নানা রোগ বাসা বাঁধে আমাদের দেহে। এরপর তা বড় আকার ধারণ করলে চিকিৎসক দেখিয়ে, ওষুধ না খেয়ে তা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায় থাকে না।
আমাদের প্রত্যেকের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আলাদা হয়। অনেকে খুব অল্পেতেই কাবু হয়ে পড়েন, অনেকের ক্ষেত্রে তা হয় না। শরীরে ‘ইম্যুনিটি’ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি, বিভিন্নরকম শাক-সবজি, আদা-রসুন ইত্যাদি দারুণ কাজে দেয়। এরকমই কয়েকটি খাবার খাওয়া অভ্যাসে পরিণত করলে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারি আমরা।
দই 
দইয়ে রয়েছে এমন উপাদান যা আমাদের হজম ক্ষমতাকে অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। যা আখেরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ত্বরান্বিত করে।
গ্রিন টি
সকাল-সন্ধ্যায় প্রতিদিন এক কাপ গ্রিন টি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
পানি
কথায় বলে ‘পানির আরেক নাম জীবন’। পরিমিত পানি খেলে শরীর থেকে নানাধরনের দূষিত টক্সিন বের হয়ে যায় যা শরীরকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
সবুজ শাক-সবজি
শাক-সবজি ও ফল আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। সুস্থভাবে বাঁচতে সবুজ শাক-সবজি খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
কুমড়া
কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, আয়রন ও তামা রয়েছে। এগুলি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
রসুন
রসুনে রয়েছে এমন উপাদান যা বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের সাথে শরীরকে লড়তে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি
আমরা সবাই জানি যে, শরীরকে রোগ-ভোগ থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন ধরনের লেবু ও ভিটামিন সি রয়েছে এমন খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
শুকনো ফল
কাজু, পেস্তা, আখরোটের মতো শুকনো ফল একমুঠো করে খেলে শরীরের এনার্জি লেভেল তো বাড়েই, একইসাথে রোগের হাত থেকেও বাঁচে শরীর।
বিভিন্ন ফলের ভিতরের অংশ
কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, আলুবোখরা সহ নানা ফলের বীজ বা ভিতরের অংশ এনার্জি লেভেল বাড়ায় ও রোগের হাত থেকে শরীরকে বাঁচায়।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম
শরীর সুস্থ রাখতে উপযুক্ত বিশ্রাম নেওয়া সবসময়ই খুব প্রয়োজন। ভালো খাওয়া-দাওয়ার সাথে পরিমিত ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।


দুধ থেকে দই কেমন করে হয়?

দুধই একমাত্র প্রতৃতিদত্ত খাদ্য যাতে মানব শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সকল উপাদান বর্তমান। দুধ হল পানি, চর্বি, প্রোটিন, শর্করা এবং অজৈব লবনের এক মিশ্রণ। পৃথিবীতে দধের প্রধান উৎস হল গরু। তবে অনেক দেশে মোষ, ভেড়া, ছাগল, বল্গা হরিণ ও উঠ থেকে দুধ পাওয়া যায়। ভারতে ব্যয়িত দুধের অর্ধেকটাই পাওয়া যায় মোষ থেকে
দুধে সামান্য পরিমাণ দই মিশালে সমস্ত দুধটাই-গরমের দিনে হলে ৪ ঘন্টায় আর শীতের দিনে ১২ ঘন্টায় দই-এ রুপান্তরিত হয়। তালে আসুন জানি, কি করে দুধ থেকে দই-এ রুপান্তরিত হয়?
দুধে ননী (Casein) নামক প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিনের জন্যই দুধের বৈশিষ্ট্যমূলক সাদা রংটি হয়। দুধের পুষ্টিগুণ খুব বেশী। কারণ, মানব-শরীরের জন্য দরকারী সকল এমিনো এসিড দধে বিদ্যমান।
ল্যাকটিক এসিডের ব্যাক্টেরিয়া ও ননীর মধ্যে রাসাযনিক বিক্রিয়ার ফলে দই জমে। দাই য়খন দধে মিশানো হয় তখন দইয়ের মধ্যে যে ল্যকটিক এসিডের ব্যাক্টেরিয়া থাকে তা ননীকে ঘনীভূত করে তোলে। তার ফলে সমস্ত দুধটা দই-এ পরিণত হয়।
মানুষ বহুদিন ধরে দই ব্যবহার করে আসছে। পেটোর পীড়ায় দিই খুব উপকারী। দই হজম প্রক্রিয়াকে ভাল রাখে। প্রাচীনকালে দই ওষুধ হিসাবে বিক্রি হত। এর ব্যাক্টেরিয়া অন্ত্রকে পরিস্কার করে। কোন কোন বিশেষজ্ঞের মতে, নিয়মিত দই খেলে পাকস্থলী পীড়ামুক্ত থাকে। বাংলায়(Bengal) দুধের সাথে চিনি মিশানো হয় দই জনানোর আগে। একে বলা হয়, মিষ্টি দই।


আপেল এর বহুমুখী উপকারিতা

ছোট-বড় সবার পরিচিত ফল আপেল। নিয়মিত তাজা এবং বিষমুক্ত আপেল খাওয়া দারুণ উপকারী। ওজন কমাতে আমাদের চেষ্টার শেষ নেই। আবার মরণব্যাধি ক্যান্সারের কথাও আমরা জানি। ক্যান্সার মানেই তো মৃত্যুর কাছে পৌঁছে যাওয়া। এমনই মরণঘাতী রোগ যে, রোগাক্রান্ত শরীরের অংশ কেটে ফেলেও রেহাই নেই। অথচ ক্যান্সার প্রতিরোধেও দারুণ উপকারী আপেল। নিয়মিত আপেল খেলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতেও আপেল উপকারী।
সবল হার্টের জন্য : হার্টের জন্য আপেলকে কার্যকরী ওষুধ বলা যায়। তা ছাড়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখতে আপেল যথেষ্ট উপকারী। যারা প্রতিদিন দুটি আপেল খায় তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা অন্যদের চেয়ে কম থাকে।
ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ : ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধেও আপেল যথেষ্ট কার্যকরী। যারা বেশি বেশি আপেল খায় তাদের ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অর্ধেক কমে যায়।
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধক : আপেল ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক। এক গবেষণা দেখা যায়, যেসব মহিলা প্রতিদিন একটি আপেল খায় অন্যদের থেকে তাদের এ রোগটি হওয়ার আশঙ্কা ১৭ শতাংশ কমে যায়। আপেলের সংখ্যা যত বাড়বে স্তন ক্যান্সার হওয়ার শঙ্কাও তত কমবে। প্রতিদিন তিনটি আপেল খেলে এই আশঙ্কা ৩৯ শতাংশ কমে যায়। সংখ্যাটা যদি ছয় হয় তাহলে সেই শঙ্কাটা নেমে আসে ৪৪ শতাংশে।
ওজন কমানো : ওজন কমাতে অনেকেই খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দেয়। কিন্তু আপেল তাদের জন্য একটু হলেও স্বস্তির বিষয় হয়ে আসতে পারে। কেননা আপেল ওজন কমানোর লড়াইয়ে দারুণ কার্যকরী। বিশেষ করে যেসব মহিলা ওজন কমাতে চায় তারা দৈনিক তিনটি আপেল খেলে ডায়েট করার চেয়ে ভালো ফল পাবে।
অ্যাজমা প্রতিরোধে : এক গবেষণায় দেখা যায়, যেসব শিশু প্রতিদিন আপেলের রস খায় অন্যদের থেকে তাদের এই রোগটি হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। একই গবেষণা দেখা যায়, যেসব মা সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় আপেল খায়, সেই মায়ের সন্তানেরও এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।



Stop Junk Food

We here at Skinny Vitamins have done tons of research on what causes bodily ailments. In our research, we’ve found out most people are still unable to maintain healthy eating habits. With disease and cancer scares at an all-time high, you'd imagine people would put down the fried foods, cigarettes and booze.


Although people are having more discussions about changing the food they eat, they are finding it hard to do so. When is the last time you said you were changing your eating habits and actually did it? The number one excuse I hear over and over again is, “I’m so busy, fast food is a much quicker option.”
If you don't have time to eat right, do you at least have time to exercise! You guessed it the answer is no! Majority of studies have proven that over half of America isn’t very good at making healthy decisions. Whether it is spending 30 minutes a day exercising, or skipping the long line at your favorite fast food spot to eat a sandwich or the lunch you brought from home! We just won't do it!
And what's sad is that even though Mexico just recently surpassed the U.S. as the most obese country, we don’t fall far behind. What this tells me is that half of Americans have gotten complacent with the infamous, “I wish I had more time.” Very rarely do I watch television, but when I do, I still come across all of these commercials advertising fast food as your best option for lunch.
They never include the 1500 calories associated with that meal! That’s why we here at Skinny Vitamins created our all natural weight loss gummies. Not only does it help you maintain your weight loss goals but it also gives your body the essential nutrients needed to keep you going throughout the day.
If we don’t feel well, we can’t do well. How can you expect to get the absolute most out of life if your energy levels are below average, carrying around excess fat, and feeling like complete crap? You can’t! Looking good is just a benefit. It is so much deeper than simply reaping the exterior rewards. The true benefit is what happens within us when we give our bodies the proper love it needs. So next time you’re on lunch break, do yourself a favor and skip the line over at your favorite fast food spot!


ডাবের পানির উপকারীতা

ডাবের পানি উপকারী সব সময়ই। শরীরের ভেতরের সুস্থতা তো বটেই, ত্বকচর্চাতেও দারুণ কার্যকর। মুখের দাগ দূর করতে ডাবের পানি হতে পারে সহজ সমাধান।
 ডাবের পানি ত্বকের জন্য খুবই ভালো। তবে সেটা ব্যবহারের আগে ত্বকের ধরন বুঝে ফেসপ্যাক লাগানো উচিত।
ত্বকের জন্য কিছু প্যাক
সব ধরনের ত্বকের জন্যই ডাবের পানি বেশ কাজের। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মটরের ডাল ডাবের পানিতে ভিজিয়ে রেখে বেটে নিয়ে পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে। এতে তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে ত্বকে উজ্জ্বলতা আসবে, সঙ্গে দূর হবে নানা দাগ।
শুষ্ক ত্বকের জন্য কাঠবাদাম ডাবের পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরে সেটা পেস্ট করে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে। এতে করে শুষ্কতা দূর হয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
ডাবের পানিতে পুদিনা পাতা ও তুলসী পাতার রস সমপরিমাণ মিশিয়ে আইসকিউব করে রাখতে পারেন। বাইরে থেকে ফিরে আইসকিউব ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও সতেজতা বৃদ্ধি পাবে।
ডাবের পানি দিয়ে বডি স্ক্র্যাব তৈরি করতে পারেন। ডাবের পানিতে গম ভিজিয়ে রেখে সেটা পিষে নিন। পুরো শরীরে লাগালে শরীরের মরা কোষগুলো দূর হবে।
একটা ডাবের পানিতে গোলাপ পাপড়ি, পুদিনা পাতা আর তুলসী পাতা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। পরে সেটা ব্লেন্ড করে নিন। এটা তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। যখন প্রয়োজন হবে তার সঙ্গে একটু ওটস গুঁড়া করে মিশিয়ে মুখে আস্তে আস্তে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। যেকোনো ধরনের দাগ দূর করতে এই স্ক্র্যাবার খুবই কার্যকর।
ত্বকে ব্যবহারের পাশাপাশি ডাবের পানি পান করলে উপকার পাওয়া যায়। যাঁরা ডায়েট করতে চান তাঁদের জন্য ডাব অনেক উপকারী। কারণ ডাবে রয়েছে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম। ডাবের পানি পানে অনেকক্ষণ ক্ষুধা লাগে না। মিষ্টি ডাবের পানি নিম্ন রক্তচাপে আক্রান্তদের জন্য খুবই ভালো। ডাবের পানি শরীরকে ভেতর থেকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে।
পুষ্টিতে ভরা
ডাবের পানি প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণসম্পন্ন। শরীরের বাইরে থেকে ভেতরের পুষ্টিটা ঠিক রাখা জরুরি। ডাবের পানিতে আছে হাই পটাশিয়াম। সেটাও ত্বকের জন্য উপকারী। রোদে গেলে আমরা অনেক ঘামি, সে সময় ডাবের পানি খেলে ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালান্স হয় আবার শরীর বিষমুক্তও (ডিটক্সিফিকেশন) হয়।
আমাদের শরীরের কোষে ভেতরে ও বাইরে দুই ধরনের মিনারেল থাকে। ভেতরে পটাশিয়াম ও বাইরে থাকে সোডিয়াম। সোডিয়ামের মাত্রা বাড়লে উচ্চ রক্তচাপ হয়। রক্তে সোডিয়ামের প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। ডাবের পানি পানে রক্তচাপের ভারসাম্য ঠিক থাকে। তবে অবশ্যই কচি ডাবের পানি পান করতে হবে। ডাব যত বড় হবে, চিনি ও ক্যালোরি তত বাড়তে থাকবে।
ডাবের পানি মাংসপেশি তৈরিতে কাজে আসে। ফলে পেশিতে টান (মাসল ক্র্যাম্প) পড়ে না। রোদে শরীরের তরলের ঘাটতি হয়, আর্দ্রতা হারায়। তাই এই সময় ডাব পান করা ভালো। আর ডাবের পানিতে মুখ ধুলে ত্বক তো ভালো থাকবেই।

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget