February 2019


সেরা কয়েকটি Video Editing Software এর Full Version ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিন


আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ সবার জন্য সেরা কয়েকটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর Full Version শেয়ার করবো। যা আপনারা ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। যারা ইউটিউবে প্রফেশনাল কাজ করেন তাদের জন্য এই সফটওয়্যারগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ন।

১. Camtasia Studio 9

ভিডিও এডিটিং এর জন্য Camtasia Studio 9 এর কোন তুলনা নাই। যারা ভিডিও এডিটিং এর কাজ তেমন জানেন না তাদের জন্য এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। এই সফটওয়্যারটি খুবই সহজে এডিটিং করা যায়। নিচে ডাউনলোড লিংক দেওয়া আছে ফ্রিতে Full Version সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন যাদের লাগবে।
Camtasia Studio 9 (Full Version) Download – Click Hare
Camtasia Studio 8.6 (Full Version) Download – Click Here

২. Sony Vegas Pro 13

ভিডিও  এডিটিং এর জন্য আরেকটি সফটওয়্যার হল Sony Vegas Pro 13 যা খুবই প্রফেশনাল মানের। তবে এই সফওয়্যারটি দিয়ে অনেক প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিট করতে পারেন।
Sony Vegas Pro 13  (Full Version) Download – Click Here

৩. Wondershare Filmora 8.1

অত্যন্ত সহজ এবং ভাল মানের একটি ভিডিও এডিটিং। এই সফটওয়্যারটি একেবারে সোজা সফটা। যারা ভিডিও এডিটিং এ একেবারেই নতুন তারা এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
Wondershare Filmora 8.1(Full Version) Download- Click Here


রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় বাঁধাকপি

শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি। বাঁধাকপিতে রয়েছে রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানো এবং ওজন কমানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সব উপাদান।পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে রয়েছে ১.৩ গ্রাম প্রোটিন, ৪.৭ গ্রাম
শর্করা, ০.০৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি১, দশমিক ০৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২ ও ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।পূরণ হয় ভিটামিনের অভাব শরীরে ভিটামিনের অভাব দূর করতে নিয়মিত মাল্টি ভিটামিন ট্যাবলেট খান অনেকেই। কিন্তু নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে আপনার আর মাল্টি ভিটামিন খেতে হবে না।কারণ বাঁধাকপিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব ভিটামিনই আছে। বাঁধাকপিতে আছে রিবোফ্লাবিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড এবং থিয়ামিন ।হাড় মজবুত করে বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও কে আছে। ভিটামিন সি হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এ ছাড়াও বাঁধাকপিতে বিদ্যমান ভিটামিন কে হারকে মজবুত রাখে।নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে বয়সজনিত হাড়ের সমস্যামুক্ত থাকা যায়। ওজন কমাতে সহায়ক বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ আছে। যারা ওজন কমাতে চাইছেন তারা প্রতিদিনের সালাদে রাখুন বাঁধাকপি। এতে অতিরিক্ত ক্যালরি বাড়ে না বললেই চলে। তাই ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে বাঁধাকপি রাখুন।
আলসার প্রতিরোধে বাঁধাকপি
যারা আলসারের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা নিয়মিত বাঁধাকপি খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, বাঁধাকপি আলসার প্রতিরোধ করে। পাকস্থলীর আলসার ও পেপটিক আলসার প্রতিরোধে বাঁধাকপির জুড়ি নেই। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাঁধাকপির রস আলসারের জন্য সবচেয়ে উপকারী প্রাকৃতিক ওষুধ।
রোগপ্রতিরোধ-ক্ষমতা বাড়ায়
বাঁধাকপি রোগপ্রতিরোধ-ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নিজেকে সুস্থ্ রাখতে চান, তাহলে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় বাঁধাকপি যোগ করুন।গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত বাঁধাকপি খান তাদের রোগপ্রতিরোধ-ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। বাঁধাকপিতে বিদ্যমান ভিটামিন সি রোগপ্রতিরোধ-ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
ত্বক ভালো রাখে
ত্বক ভালো রাখতে ভিটামিন ই-এর জুড়ি নেই। আর বাঁধাকপিতে আছে প্রচুর ভিটামিন ই। এ ছাড়াও নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। তাই যারা ত্বক ভালো রাখতে চান তাঁরা বেশি করে বাঁধাকপি খান।
টিপস:
• প্রতিদিন ৫০ গ্রাম বাঁধাকপির পাতা খেলে আপনার মাথায় চুল গজাবে৷
• বাঁধাকপির রস খেলে ঘা সেরে যায়।
• এক গ্লাস দইয়ের ঘোলের মধ্যে এক কাপ বাঁধাকপির রস, এক-চতুর্থাংশ পালং শাকের রস মিশিয়ে প্রতিদিন দুবার পান করলে খুব অল্প দিনের মধ্যে আপনার কোলাইটিস-সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে৷


কুঁকড়ে যাওয়া চুলের যত্নে

চুলের মধ্যে আঙুল চালিয়ে আগের মতো মসৃণ ভাবটা টের পাচ্ছেন না! বরং জট বেঁধে যাচ্ছে, ব্যথাও লাগছে। আগের ঝলমলে চুলগুলো কুঁকড়ে প্রাণহীন হয়ে গেছে যেন। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, অতিরিক্ত সূর্যের তাপ ও চুলে রাসায়নিক উপাদানের অতিরিক্ত ব্যবহার হলে চুল অনেক সময় কুঁকড়ে যায়। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবেও চুল কুঁকড়ে যেতে পারে।
কুঁকড়ে যাওয়া চুলকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা একটু মুশকিল বটে। তবে নিয়মিত যত্নে চুলের এই ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে আনা যায়। রূপবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কীভাবে এই ধরনের চুলের যত্ন নিতে হবে।
রূপবিশেষজ্ঞ আমিনা হক বলেন, এখন যেমন আবহাওয়া চলছে, তাতে চুল তেল চিটচিটে ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। তাই চুল সব সময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে। তিনি জানিয়েছেন কুঁকড়ে যাওয়া চুল মসৃণ করার কয়েকটি উপায়।
* সমপরিমাণ মধু ও বেসনের সঙ্গে সামান্য পানি এবং একটি ডিমের পুরো অংশ লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
* এক কাপ টক দই, একটি ডিম, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, চায়ের লিকার এবং স্পা ট্রিটমেন্টে যে কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয়, তা মিশিয়ে চুলে ২০-২৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। খুব ভালো ফল পাবেন। এই প্যাক তৈরিতে নিয়মিত ব্যবহারের কন্ডিশনার না নিয়ে স্পা ট্রিটমেন্টের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এটি যেকোনো সুপার শপ বা প্রসাধনীর দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
* সমপরিমাণ মসুর ডাল, লেবুর খোসা একসঙ্গে বেটে নিন। এর সঙ্গে মধু ও ডিম মিশিয়েও চুলে লাগাতে পারেন।
* চুল বেশি রুক্ষ মনে হলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করার আগে চুলের গোড়া ও পুরো চুলে তেল লাগাতে হবে এবং চুল ধোয়ার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
* লাল জবা ফুল বেটে তার সঙ্গে সমপরিমাণ তিলের তেল, সরিষার তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করে নিন। নিয়মিত তেলের বদলে এটি চুলে ম্যাসাজ করুন।
* চুলে কোনো প্যাক ব্যবহারের আগে স্পা ট্রিটমেন্টের কন্ডিশনার অল্প একটু পানির সঙ্গে মিশিয়ে শুকনো চুলেই লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট রেখে তার ওপর হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। এরপর আরও ২০ মিনিট হেয়ার প্যাক রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার পরেও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন চুল মসৃণ করার প্যাকটি ব্যবহার করতে হবে।
* মাসে দুবার অবশ্যই হেয়ার স্পা ট্রিটমেন্ট করাতে হবে এবং হট অয়েল ম্যাসাজ নিতে হবে সপ্তাহে দুবার। তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত চুলে প্রাণ ফিরিয়ে আনা মুশকিল।
রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিনও বাতলে দিয়েছেন এ ধরনের চুলের যত্নের কিছু উপায়। তাঁর মতে, মাথার ত্বক পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখা খুব জরুরি। বাইরে ধুলাবালি ও রোদ থেকে রক্ষা পেতে মাথা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেন তিনি। ফিরে এসে অবশ্যই শ্যাম্পু করতে হবে। রোজ ব্যবহারের জন্য চুলের ধরন জেনে বেছে নিতে হবে মৃদু কোনো শ্যাম্পু। এরপরে প্রোটিনসমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। তোয়ালে দিয়ে চুল ঘষে ঘষে না শুকিয়ে চেপে চুলের পানি নিংড়ে বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে। ভেজা চুলে হেয়ার সেরাম ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুলগুলোকে ভাগ ভাগ করে শুকিয়ে নিন।
চুলের কুঁকড়ে যাওয়া রোধ করতে অতিরিক্ত আয়রন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। রিবন্ডিং, রং করার আগে অবশ্যই একজন রূপবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিন।


পৃথিবীর যে দেশে বসে অদ্ভুত টাকার বাজার!


আমাদের দেশে টাকার বেশিরভাগ লেনদেন হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। এছাড়া আরও কিছু মাধ্যম রয়েছে। তা-ও অনেকটা ব্যাংকের মতোই। কিন্তু হাটে-বাজারে বিক্রি হয় টাকা- এমন হয়তো আগে শুনেছেন কিনা জানা নেই। তবে এখন শুনতে পারেন অদ্ভুত সেই টাকার বাজারের কথা।
দৈনন্দিন চাহিদার ভিত্তিতে দেশে দেশে মাছের বাজার, শাক-সবজির বাজার, বইয়ের বাজার, পোশাকের বাজার দেখেছেন। কিন্তু রাস্তার পাশে লাইন দিয়ে একেবারে বস্তা বস্তা টাকা নিয়ে লোক বসে আছে। মানুষ তার প্রয়োজনে টাকা কিনছে বাজার থেকে, এমন দৃশ্য দেখেছেন কখনো?
এমন বিচিত্র বাজারের সন্ধান পাওয়া গেছে পৃথিবীতে। আফ্রিকার সোমালিয়ার সোমালিল্যান্ডে বিক্রি হচ্ছে টাকা। তবে সেই টাকা জাল বা নকল নয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, সেখানে বিক্রি হচ্ছে একেবারে আসল টাকা। খোলা রাস্তায় দিন-দুপুরে সেখানকার মানুষ বিনিময় করে নিয়ে যায় বান্ডেল বান্ডেল নোট।
এ টাকার বাজারে অতিরিক্ত নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। তাই সেখানে কোনো বাড়তি পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবস্থা নেই। কারণ এমন অদ্ভুত বাজার গড়ে ওঠার পেছনে সোমালিল্যান্ডের আর্থিক কাঠামো সহায়ক বলে জানা যায়। সেই টাকাকে বলা হয় ‘শিলিং’। শিলিংয়ের দাম ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এক মার্কিন ডলারের দাম ১০ হাজার শিলিংয়ের কাছাকাছি। তাই মোট ১০ ডলার খরচ করলে পাওয়া যাবে কমপক্ষে ৫০ কেজি নোট! যা নিজের পকেটে নেওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে সেই টাকা নিতে কয়েকটি বস্তা বা একটি ঠেলাগাড়ির প্রয়োজন হয়। অথবা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী কিনতে গেলেও টাকার বস্তা নিয়ে বের হতে হয়।
মূল কথা হচ্ছে- শিলিংয়ের এমন মূল্যহীনতার কারণেই সোমালিল্যান্ডের টাকার গুরুত্ব ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। এমনকি সন্ত্রাসী-ছিনতাইকারী-চোর-ডাকাতও এই শিলিং চুরি করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে অনেক আগেই। তাই তো রাস্তার পাশে পথের ওপর ফেলে রেখে টাকা বিনিময়েও কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।


ফাংশন কি’র কাজ

আমরা অনেকেই জানি “ফাংশন কি” কাকে বলে, কিবোর্ডে এফ-১ থেকে এফ-১২ পর্যন্ত ১২টি চাবি বা কি দেখা যায়। এগুলোকে বলা হয় ফাংশন কি।
চলুন আজ জানা যাক এগুলোর কাজ সম্পর্কে…।।

০১। ফাংশন কি-১ (এফ-১)

কম্পিউটারে কাজ করতে গিয়ে কোনো সমস্যায় পড়লে এই কি এর দকার হয়। যেকোনো প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ফাংশন কি-১ চাপলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘হেল্প’ বা সাহায্য অপশনটি খুলে যাবে।

০২। ফাংশন কি-২ (এফ-২)

কোনো ফাইল বা ফোল্ডারকে ‘রিনেম’ করতে, অর্থাৎ পুনরায় নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে ফাংশন কি-২ এর ব্যবহার হয়।

০৩। ফাংশন কি-৩ (এফ-৩)

চালু থাকা অ্যাপ্লিকেশনের সার্চ ফিচার  খুঁজে দেওয়ার কাজ হলো ফাংশন কি-৩।

 ০৪। ফাংশন কি-৪ (এফ-৪)

কিবোর্ডের অল্টার কির সঙ্গে ফাংশন কি-৪ চাপলেই চালু থাকা উইন্ডোটি বন্ধ হয়ে যাবে।

০৫। ফাংশন কি-৫ (এফ-৫)

ডেস্কটপ বা ল্যাপটপকে রিফ্রেশ বা রিলোড করতে ফাংশন কি-৫ই যথেষ্ট।

০৬। ফাংশন কি-৬ (এফ-৬)

মাউসের কার্সরকে সরাসরি অ্যাড্রেস বারে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে ফাংশন কি-৬ ।

০৭। ফাংশন কি-৭ (এফ-৭)

কম্পিউটারে লিখতে গিয়ে বানান ভুল? ব্যাকরণগত সমস্যা?এই সমস্যা দূর করবে ফাংশন কি-৭।

০৮। ফাংশন কি-৮ (এফ-৮)

কম্পিউটার চালু করার সময় বুট মেন্যুতে ঢোকার মাধ্যম হলো ফাংশন কি-৮ ।

০৯। ফাংশন কি-৯ (এফ-৯)

ফাংশন কি-৯-এর কাজ ২ টি। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টেকে রিফ্রেশ করার জন্য এবং মাইক্রোসফট আউটলুকে ই-মেইল আদান-প্রদানের জন্যও ফাংশন কি-৯-এর ব্যবহার করা যায়।

১০। ফাংশন কি-১০ (এফ-১০)

কম্পিউটারে মেন্যুবার খোলার অন্যতম সহজ উপায় হচ্ছে ফাংশন কি-১০। শুধু ফাংশন কি-১০ চাপলেই মেন্যুবার খোলা যাবে না। কিবোর্ডের শিফট বাটন চেপে ফাংশন কি-১০ চাপতে হবে।

১১। ফাংশন কি-১১ (এফ-১১)

কম্পিউটারকে ফুলস্ক্রিন বা পূর্ণ পর্দায় রূপান্তরিত করার সহজ উপায় ফাংশন কি-১১।

১২। ফাংশন কি-১২ (এফ-১২)

অভ্র সফটওয়্যার দ্রুত চালু করতেই ফাংশন কি-১২ ব্যবহার করা হয় না। কম্পিউটারে ‘সেভ অ্যাজ’ ডায়লগ বক্স চালু করে ফাংশন কি-১২।


দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাসে হতে পারে মারাত্মক বিপদ!

দাঁত দিয়ে নখ কাটার বদঅভ্যাসটি আমাদের অনেকেরই আছে। এটি মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। এটি ত্বকের জন্য মারাত্মক সেপসিস রোগের কারণ। যার কারণে প্রতি বছর সারা বিশ্বে অন্তত ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গবেষকরা এমনটিই দাবি করেছেন।
ইংল্যান্ডের সাউথপোর্ট শহরের বাসিন্দা লুক হ্যানোম্যানেরও অভ্যাসটি (দাঁত দিয়ে নখ কাটা) ছিল। আর এই অভ্যাসই তাঁকে মারাত্মক বিপদে ফেলেছিল! কপাল জোরে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন লুক।
লুক জানান, দাঁত দিয়ে নখ কাটতে গিয়ে ভুলবশত ত্বকের কিছুটা অংশ কেটে ফেলেন তিনি। বিষয়টিকে তেমন আমল দেননি তিনি। কিন্তু ঘটনার পরের দিন থেকেই একটা জ্বর জ্বর ভাব, কাঁপুনি, দুর্বলতা অনুভব করেন তিনি। কিন্তু এই বিষয়গুলিকেও তেমন গুরুত্ব না দিয়ে নিয়মিত অফিস যাতায়াত করতে থাকেন তিনি। কিন্তু সমস্যা হল ঘটনার দিন তিনেক পর। রাতে নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে গেলেও পরের দিন ঘুম ভাঙল দুপুর ২টা নাগাদ। এত দীর্ঘ সময় এর আগে কখনোই ঘুমাননি লুক।
চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই চোখ কপালে উঠল তাঁর। চিকিত্সকরা পরীক্ষা করে জানান, আর একদিনও দেরি করলে তাঁকে বাঁচানোই যেত না। এর পর হাসপাতালে দিন চারেক চিকিত্সার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন লুক।
চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, দাঁত দিয়ে নখ কাটার সময় ত্বকের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সেপসিস হয়েগিয়েছিল তাঁর। চিকিত্সকদের মতে, যে কোনো ছোটখাট সংক্রমণ (ইনফেকশন) থেকেই সেপসিস হতে পারে। সাধারণত আমাদের শরীরে কোনো ইনফেকশন হলে তা এক জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকে এবং সারা শরীরে তা ছড়িয়ে পড়া থেকে তাকে আটকায় আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কিন্তু সংক্রমণের মাত্রা তীব্র হলে তা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে সারা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়।
এটিই হল সেপসিস। এটি মোটেই উপেক্ষা করার মতো বিষয় নয়। সেপসিস এবং সেপটিক শকের কারণে প্রতি বছর সারা বিশ্বে অন্তত ৬০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়।
সেপসিসের মূল উপসর্গ:
প্রচণ্ড দুর্বল ভাব
কথা জড়িয়ে আসা
শ্বাস কষ্ট হওয়া
প্রবল কাঁপুনি বা পেশিতে ব্যথা
সারাদিনে একবারও মুত্রত্যাগ না হওয়া
ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া
.


খুসখুসে কাশি?

খুসখুসে কাশি একটি বিরক্তিকর ও বিব্রতকর অসুখ। একবার কাশি শুরু হলে যেন থামতেই চায় না। যখন-তখন, যেখানে-সেখানে শুরু হয়ে যেতে পারে কাশি। জ্বর নেই, কফ বের হওয়া নেই, বুকে ঘড়ঘড় নেই কিন্তু খুকখুক কাশি বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক। যার অর্থ, কাশির সঙ্গে কখনো কফ বেরোয় না, কিন্তু একটা অস্বস্তি গলায়-বুকে লেগেই থাকে।
খুকখুক শুকনো কাশি যখন-তখন অনেককে ভোগায়, বিব্রতও করে। কারও সারা বছর খুসখুসে কাশি লেগেই থাকে। সব সময় কাশি সারাতে অ্যান্টিবায়োটিক বা কাশির ওষুধের দরকার নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই বারবার শুকনো কাশির কারণ ফুসফুসে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা ইত্যাদি নয়, বরং অন্য কিছু, যার কারণটা খুঁজে বের করে চিকিৎসা করা উচিত।
শ্বাসনালির সংক্রমণ
তীব্র কাশির জন্য সহজেই অনুমানযোগ্য বা সহজ কারণটি হলো, ঠান্ডা বা অন্য কোনো ভাইরাল ইনফেকশনের পরিণাম বা ফল। অনেক ঠান্ডার উপসর্গ কিছুদিন পরই চলে যেতে পারে। কিন্তু কাশি কয়েক সপ্তাহ, এমনকি কয়েক মাসের জন্যও থাকতে পারে। কারণ, ভাইরাসের কারণে শ্বাসনালি ফুলে ও অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে যেতে পারে। এই কারণে কাশির স্থায়িত্বকালও বাড়তে পারে, এমনকি ভাইরাস চলে যাওয়ার পরও। ঋতুবদলের সময় ভাইরাস সংক্রমণের কারণেই কাশির প্রকোপ বাড়ে। ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। কাশির সঙ্গে জ্বর, কফ ইত্যাদি থাকলে ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়া কি না, ভাবতে হবে। দীর্ঘদিনের (তিন সপ্তাহের বেশি) কাশি, ঘুসঘুসে জ্বর, ওজন হ্রাস, কাশির সঙ্গে রক্ত যক্ষ্মার লক্ষণ হতে পারে।
হাঁপানি ও অ্যালার্জি
শ্বাসকষ্ট নয়, কেবল কাশিও হতে পারে হাঁপানি বা অ্যাজমার লক্ষণ। অ্যালার্জি ও অ্যাজমা হচ্ছে কাশির সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। রাতে কাশি বেড়ে যাওয়া, বুকে শব্দ ও পরিবারে হাঁপানির ইতিহাস থাকলে এটি একধরনের অ্যাজমা হতে পারে। একে বলে কফভেরিয়েন্ট অ্যাজমা। লক্ষ করুন ধুলাবালু, ফুলের রেণু, এসির ঠান্ডা বাতাস ইত্যাদি কারণে কাশির প্রকোপ বেড়ে যায় কি না। তাহলে এটি অ্যালার্জিজনিত। কাজের দিন বেড়ে যায় আবার ছুটির দিনে কমে আসে, এমন হলে বুঝতে হবে আপনার কর্মস্থলের পরিবেশে কোনো সমস্যা রয়েছে।
অ্যাসিডিটি বা অম্লতা
ভারী বা চর্বিযুক্ত খাদ্য খাওয়ার পর বুকে জ্বালাপোড়া বা টক ঢেকুরের সঙ্গে খুকখুক কাশিও হতে পারে। পাকস্থলীর অম্ল খাদ্যনালিতে উঠে এসে এই কাশির সৃষ্টি করে। অনেক সময় ঠান্ডা সর্দি লাগা থেকে নাকের পেছন দিক থেকে গলায় নিঃসরণের জন্য ইরিটেশন ও শুষ্ক কাশি হয়।
ক্যানসার
বয়স্ক ও ধূমপায়ী ব্যক্তিদের দীর্ঘদিনের কাশি, জ্বর, পুরোনো কাশির নতুন ধরন, কফের সঙ্গে রক্ত—এসব উপসর্গ থাকলে সাবধান। ফুসফুসের ক্যানসার হবে না, এমন নিশ্চয়তা নেই। 
হৃদ্‌রোগ
হৃদ্‌রোগের কারণেও ক্রনিক কাশি হয়। শরীরে পানি জমা, দুর্বলতা, সামান্য পরিশ্রমেই ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট—এগুলো হৃদ্‌রোগের দিকেই নির্দেশ করে। 
পর্যাপ্ত তরল পান না করা
যখন ঠান্ডা অথবা ফ্লু হবে, তখন প্রচুর পরিমাণে তরল পান করতে হবে। পানি, জুস ও স্যুপ শ্বাসনালি থেকে কফ বা শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। কিন্তু ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়, যেমন চা বা কফি, শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে, যা বিপরীত কাজ করতে পারে। এ সময় শ্বাসনালিতে আর্দ্রতা যুক্ত করতে স্যালাইন ন্যাজাল স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
মানসিক চাপ
মানসিক চাপ, বিশেষ করে যখন এটি তীব্রতর হয়, তখন এটি ঠান্ডার স্থায়িত্বকালকে বাড়াতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী কাশির মোকাবিলা করতে, যখন আপনি অসুস্থ থাকবেন, তখন আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলুন। নিজের ওপর বেশি চাপ প্রয়োগ করলে আপনি হয়তোবা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। প্রশান্তিতে থাকার একটি উপায় হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম নিন; রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান।
ওষুধ
কোনো কিছুতেই কাশি না সারলে ও পরীক্ষায় কিছু না পাওয়া গেলে লক্ষ করুন কোনো ওষুধের জন্য এটি হচ্ছে কি না। যেমন উচ্চ রক্তচাপের জন্য কোনো ওষুধ সেবনের কারণেও কাশি এত দীর্ঘস্থায়ী হয়। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে তীব্র শুকনো কাশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যদি এ ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নিরাময়ের উপায়
ধূমপান ও বায়ুদূষণ কাশির একটি অন্যতম কারণ। তাই ধূমপান বর্জন করুন।
ধুলাবালিতে কাশি হলে ঘর ঝাড়ু, ঝুল ঝাড়া ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।
ঠান্ডায় সমস্যা হলে গোসলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। খুব ঠান্ডা পানি খাবেন না।
লিকার চা, কুসুম গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস, গরম স্যুপ ইত্যাদি কাশি সারাতে সাহায্য করে।
গরম পানির ভাপ নিতে পারেন, দীর্ঘদিন ধরে কাশিতে ভুগলে, বিশেষ করে ধূমপায়ীরা সতর্ক হোন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


দ্রুত টাইপ শিখুন টাইপিং মাস্টার সফটওয়্যার দিয়ে


আপনি কি এখনো কীবোর্ড দেখে টাইপ করেন? ধীর গতির কাজের জন্য সব সময় পিছনে পড়ে থাকেন? টাইপ স্পীড স্লো তাই অফিসিয়াল কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে? দ্রুত টাইপ করা কিংবা কিবোর্ড টাইপিং দ্রুত করার জন্য কিছু অভিনব কৌশল রয়েছে, যেটি আয়ত্ব করলে সহজেই আপনি আপনার টাইপিং গতি বাড়াতে সক্ষম হবেন । তবে দ্রুতটাইপ করতে হলে আপনাকে নিয়মিত টাইপ করতে হবে, অর্থাৎ টাইপিং অনুশীলনের বিকল্প নেই।
দেখে দেখে আপনি যদি এখনো টাইপ করেন তাহলে নিশ্চিত থাকেন আপনার টাইপ স্পীড বেশি হলে ২৫ wpm অর্থাৎ মিনিটে ২৫ টি শব্দ লিখতে পারেন। অথচ আপনি যদি না দেখে টাইপ করা শিখতে পারেন তাহলে অনায়াসেই ৫০ wpm গতিতে টাইপ করতে পারবেন অর্থাত দি্বগুন। ধীরে ধীরে এই গতি আরো বাড়বে। তাহলে শুরু করুন টাইপ বাড়ানোর অনুশীলন।
প্রথমে আগে আপনার টাইপ স্পীড মেপে নিন। অনলাইনে টাইপ স্পীড মাপার জন্য এক মিনিটের এই পরীক্ষা দিতে পারেন।
আপনি খুব সহজেই টাইপিং মাস্টার প্রো (TypingMaster pro) সফটওয়্যার দিয়ে এই কাজটি চালিয়ে যেতে পারেন। কিভাবে বাড়াবে স্পীড? এক নজরে দেখা যাক।
১২টি লেসন থেকে আপনি খুব সহজেই A-Z শিখতে পারবেন। এই সফটওয়্যারটির প্রিমিয়াম সংস্করণের পাশাপাশি বিনামুল্যের সংস্করণ রয়েছে ।


মধুর ৯ উপকার

মধুর কাছে যেন কিমিয়া শাস্ত্রও হার মানে। ছন্দোবদ্ধ কবিতার মতো ছন্দে ছন্দে, অনন্য শৃঙ্খলায়, পরম নিষ্ঠা আর অধ্যবসায়ে বুনোফুলের অমৃত আহরণ করে মৌমাছি এই অমিয় সুধা বানায়। রূপে-রঙে এ যেন তরল সোনা, স্বাদে-গন্ধে সম্মোহনী। তবে, মধুর প্রতি মানুষের আসক্তি কেবল খাওয়ার জন্যই নয়। এর অসাধারণ ঔষধি গুণের বলেই হাজার বছর ধরে পথ্য হিসেবে মধু সমাদৃত। মধুর অনন্য নয় স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা এখানে তুলে ধরা হলো।

১. ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগ

মধুতে এমন ফ্ল্যাভোনোয়েড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা কিছু ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। ফলে নিয়মিত মধু পানে ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে।

২. আলসার সারায়

সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, পথ্য হিসেবে নিয়মিত মধু সেবনের মধ্য দিয়ে আলসারসহ অন্ত্রের রোগ সারাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৩. ব্যাকটেরিয়া নিরোধী
মধু বানানোর প্রক্রিয়ায় মৌমাছি এমন একটা এনজাইম যুক্ত করে যা হাইড্রোজেন পার অক্সাইড তৈরি করে। ফলে মধু সব সময়ই ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক-নিরোধী।

৪. ক্রীড়া নৈপুণ্য বাড়ায়

প্রাচীন অলিম্পিকের খেলোয়াড়েরা ক্রীড়া নৈপুণ্য বাড়াতে শুকনো ডুমুর ও মধু খেতেন। আধুনিক গবেষকেরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে জেনেছেন, শরীরে গ্লাইকোজেনের মাত্রা ঠিকঠাক রাখা এবং চোট সারিয়ে তুলতে মধুর জুড়ি নেই। আর ক্রীড়াবিদদের জন্য এ দুটোই খুব জরুরি।

৫. সর্দি-কাশি সারাতে

কেউ নিয়মিত মধু সেবন করলে শরীরে বিশেষ কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বলে সহসা এমন সর্দি-কাশি ঘায়েল করতে পারে না। আর কাউকে সর্দি-কাশি পেয়ে বসলে তা সারিয়ে তুলতে মধুর জুড়ি নেই। নিয়মিত মধু খেলে ঘুমও ভালো হয়।

৬. আয়ুর্বেদিক মহৌষধ

অন্ততপক্ষে চার হাজার বছর ধরে ভারতীয় উপমহাদেশের চিকিৎসা শাস্ত্রে মধুর নানাবিধ ব্যবহার চালু আছে। দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে, ওজন কমাতে, পুরুষত্বহীনতা সারিয়ে তুলতে, প্রস্রাবে সংক্রমণ সারাতে, হাঁপানি দূর করতেও মধুকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

৭. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে

ফ্রুকটোজ আর গ্লুকোজের পরিমাণের যথাযথ সমন্বয় রক্তে শর্করার পরিমাণ বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে খুবই প্রয়োজনীয়। মধুতে শর্করা থাকলেও তা সাদা চিনি বা কৃত্রিম চিনির মতো নয়। কিছু মধু রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে।

৮. জখম ও ক্ষত সারাতে

হালকা কাটাছেঁড়ার জখম কিংবা ত্বকের পুড়ে যাওয়া সারাতেও মধু ব্যবহার করেন অনেকে। মধুর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক নিরোধী গুণের কারণেই বাহ্যিকভাবেও এটা ব্যবহার করা যায়।

৯. সুন্দর ত্বকের জন্য

মধুর ব্যাকটেরিয়া নিরোধী গুণের কারণে অনেকে সৌন্দর্য চর্চায় মধু ব্যবহার করেন। অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকের যত্নে এটা ব্যবহার করা হয়। সমপরিমাণ মধু ও লেবুর রস খুবই জনপ্রিয় ফেসপ্যাক। (জিনিউজ অবলম্বনে)


আগুন নেভানো হয় কেমন করে?

আগুন নেভানোর জন্য সাধারনত: জল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কোন বাড়ী কিংবা দোকানে আগুন লাগলে দমকরবাহিনী সেখানে গিয়ে জলের সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। যেখানে দমকলবাহিনী নেই সেখানে লোকেরা আগুন নিভাতে গিয়ে বালতি বা অন্য পাত্রে করে জল নিযে যায়। তোমরা কি জান—জল কেমন করে আগুনকে নেভায়?
ব্যাপরটা বুঝতে হলে প্রথমে আগুনের প্রকৃতি ও ধর্ম সম্বন্ধে জানা দরকার।আগুন হল এমন এক রাসায়নিক বিক্রিয়া যাতে তাপ ও আলো উৎপন্ন হয়। প্রজ্বলনের (combustion) তিনটি প্রয়োজনীয় শর্ত আছে। প্রথমত, কোন জ্বালানীর (fuel) উপস্থিতি অবশ্যই দরকার। কাঠ, কাগজ, কয়লা প্রভৃতি হল জ্বালানীর উদাহরণ। দ্বিতীয়ত অক্সিজেনের ভাল সরবরাহ থাকা প্রয়োজন। তৃতীয়ত জ্বালানীকে তাপ দিতে থাকতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার প্রজ্বলন তাপমাত্রা পৌছাতে পারে। কোন বস্তু জ্বালাবার ক্ষেত্রে তার একটা নিদির্ষ্ট তাপমাত্রা থাকে, যে তাপমাত্রায় পৌছালে বস্তুটি প্রজ্বলিত হয়ে উঠে। ঐ তাপমাত্রাকে বলে প্রজ্বলন তাপমাত্রা। জ্বালানী যখন প্রজ্বলন বিন্দুতে আসে তখন সে জ্বলা আরম্ভ করে। অবশ্য বায়ু মন্ডলের অক্সিজেনের সাহায্যেই তার জ্বলনটি সম্পাদিত হয়।
সুতরাং তিনটি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে আগুন নেভানো যেতে পারে । উপায়গুলিতে আগুন জ্বালাবার প্রয়োজনীয় তিনটি শতের্র যে কোন একটি অপসারণ করা হয়। প্রথমতঃ জ্বালানীকে সারয়ে ফেলা। দ্বিতীয়তঃ অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করা। তৃতীয়তঃ আগুনের তাপ কমিয়ে আনা যাতে তাপমাত্রা প্রজ্বলন তাপমাত্রার নিচে নেমে আসে। আগুনের উপর যখন জল ছিটাণো হয় তখন তাপমাত্রার হ্রাস ঘটে। জ্বলন্ত পদার্থ থেকে জল তাপমাত্রা শোষণ করে বলে তার তাপমাত্রা কমে যায়। তাপমাত্রা একবার প্রজ্বলন তাপমাত্রার নীচে এসে গেলে জ্বারানী আর জ্বলে না। ছিটিয়ে জল ঢালা আগুন নেভানোর জন্য বেশি কার্যকারী।
তেলের আগুনের ক্ষেত্রে তেল জলের চেয়ে হালকা হওয়ায় জলের উপর তা ভেসে ওঠে। সেক্ষেত্রে জল ছিটিয়ে আগুন নেভাতে গেলে আগুন আরও বেশী জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। জল দিয়ে বিজলীর আগুন নেভাতে গেলে তড়িতাহুত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এই ধরনের আগুন নেভাতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড অগ্নি-নির্বপক যন্ত্রের ব্যবহার করা হয়। কার্বন-ডাই-অক্সাইড অক্সিজেনর সরবরাহকে আটকে দেয়। তার ফলে আগুন ও আর জ্বলতে পারে না।


মোমবাতি যখন জ্বলে তখন তার মোম কোথায় যায়?

কাঠ,কয়লা অথবা তেল যখন জ্বলে,তখন মানুষ মনে করে ঐ সব পদার্থ জ্বলতে জ্বলতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।জ্বলন্ত মোমবাতির ক্ষেত্রেও সাধারণতঃ ঐ ধারণা পোষন করে।কিন্তু প্রকৃতপক্ষে,ঐ সব পদার্থ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় না।ওরা শুধু ওদের রূপ পরিবর্তন করে। প্রজ্বলন (com-bustion) হল একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া।অক্রিজেনের উপস্থিতিতেই তা সংঘটিত হয়।উক্ত প্রক্রিয়ায় পদার্থের সৃষ্টিও হয় না ধ্বংসও হয় না।শুধুমাত্র তার রূপের পরিবর্তন ঘটে।এটাই “পদার্থের অবিনশ্বরতা”সুত্র নামে পরিচিত।
মোমবাতি যখন জ্বলতে থাকে তখন তার মোম অন্য পদার্থ রূপান্তরিত হয়।যে মূহূর্তে আমরা মোম বাতির পোলতে জ্বালাই,সে মূহূর্তে তাপের প্রভাবে মোম গলতে আরম্ভ করে।পৃষ্ঠ টানের(surface tension)জন্য গলিত মোম পলতেয় উঠে আসে।পৃষ্ঠ টানে তরল পদার্থের একটি বিশেষ ধর্ম।ঐ ধর্মের জন্যই চোষ কাগজ (blotting paper)কালি চুষে নেয়।গলিত মোম পরে গ্যাসীয় পদার্থে পরিবর্তিত হয়।ঐ গ্যাস তখন জ্বলতে শুরু করে এবং তাপ ও আলো উৎপন্ন হয়।
মোম হল একটি যৌগিক হাইড্রকার্বন যার মধ্যে হাইড্রজেন ও কার্বন বিদ্যমান।প্রজ্বলনকালে বাতাসের অক্রিজেনের সাথে কার্বন সংযুক্ত হয় তৈরী হয় কার্বন-ডাই-অক্রাইড।মোমর হাইড্রজেনের সাথে বাতাসের অক্রিজেন মিলে তৈরী হচ্ছে জ্বলীয় বাষ্প।উক্ত দুই রাসায়নিক বিক্রিয়ায় মোম ব্যায়িত হয় এবং তার ফলে মোমবাতির আকার ছোট হতে থাকে।যদি আমরা কার্বন-ডাই-অক্রাইড ও জ্বলীয়বাষ্প সংগ্রহ করে ওজন করি তাহলে দেখবে যে মূল মোমবাতির থেকে ওদের ওজন বেশি।
কার্বন ও হাইড্রজেনের সাথে অক্রিজেন সংযুক্তিই হল অতিরিক্ত ওজনের কারণ।সুতরাং,আমরা দেখতে পাই যে মোমবাতি যখন জ্বলে তখন তার মোম ধ্বংস হয় না,কবেলমাত্র কার্বন-ডাই-অক্রাইড আর জলীয়বাষ্পেই তার রূপান্তর ঘটে।


কেমন করে কয়লার সৃষ্টি হয়েছিল?

সচারচর জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত কয়লা উত্তলিত হয় কয়লার খনি থেকে। কয়লার এই সব খনি চওড়ায় অনেক মাইল পর্যন্ত হয়। খনির ভিতর পুরু ও চ্যাপ্টা কয়লার স্তর দেখতে পাওয়া যায়। ঐ সব স্তরের পুরুত্ব কয়েক সেন্টিমিটার থেকে শুরু করে কয়েক মিটার পর্যন্ত হতে পারে। হাজার হাজার শ্রমিক ও প্রকৌশলী যন্ত্রপাতির সহযোগে রাতদিন ধরে এই সব খনিতে কাজ করে। তোমরা কী জান –কেমন করে এই কয়লার সৃষ্টি হয়েছিল ?
কয়লার সৃষ্টি প্রথম শুরু হয়েছিল প্রায় ২৫০ মিলিয়ন (২৫ কোটি) বছর আগে।ঐ যুগটা কে বলা হত অঙ্গার-উৎপাদী কাল(carboniferous period)। তখন আমাদের পৃথিবীতে ছিল অনেক জলাভূমি। দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ, বৃহৎ বৃহৎ হৃক্ষ, র্ফান প্রভৃতি জন্মেছিল ঐ সব জলাভূমিতে। কাল ক্রমে ঐ সব গাছপালা মরে গিয়ে শান্ত জলাভূমির জলে পতিত হয়। যথেষ্ট পরিমাণ বাতাস সেখানে না থাকায় গাছপালা গুলো সম্পৃর্ণ রুপে পচে যায় নি। ব্যাকটেরিয়া গাছের বিভিন্ন অংম পিট (peat) নাম এক প্রকার আঁঠাল পদার্থে পরিণত করেছিল। শতাব্দীর পর ধরে বালি-মাটি জমা হয়ে হয়ে এই পিটকে চাপ দিতে থাকে। তাপ ও ভূ-স্তরের চাপের ফলে পিট-আস্তরণ প্রথমে লিগনাইটে (Lignite) রূপান্তরিত হয় এবং শেষ পর্যন্ত, রূপান্তর ঘটে তার শক্ত কয়লায়। এমনি করে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ভাঁজে ভাঁজে অসংখ্য কয়লার স্তর সৃষ্টি হয়েছিল। আজকের দিনে কয়লা পেতে হলে আমাদের কে মাটি খুঁড়ে অনেক গভীরে যেতে হয়।
কয়লার মধ্যে ফার্ণের (fern) ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। ফার্ণের ঐ ছাপের উপর ভিত্তি করেই কয়লা সৃষ্টির উপরোক্ত মতবাদটি প্রদত্ত হয়েছে। কখন কখন গাছের ছালের নমুনাও দেখা গেছে। তার থেকে এটা আবার প্রমাণিত হয় যে লক্ষ লক্ষ বছর আগে উদ্ভিদ, গাছ-গাছালি, লতা-গল্ম প্রভৃতি ধ্বংসাবশেষ থেকেই কয়লার সৃষ্টি হয়েছে।
কয়লার খনির খননকার্য এক দুরুহ ব্যাপার । প্রথমতঃ জমাকৃত কয়লার উপর থেকে সকল প্রকার ময়লা দূরীভূত করা হয়। তারপর কয়লার স্তর যখন বেরিয়ে আসে তখন তাকে ছোট ছোট টুকরায় ভাঙ্গায় জন্য বিস্ফোরন ব্যবহার করা হয়। বস্তুতঃপক্ষে, সমস্ত খননকার্যটি চলে যন্ত্রপাতি আর বিস্ফোরকের মাধ্যমে। এমনি করে প্রাপ্ত কয়লা কে ওয়াগনে বোঝাই করে উপরে তোলা আনা হয়। খননকারীরা উল্লম্ব(shaft) মধ্য দিয়ে চলাচলকারী লিফটের সাহায্যে খনিতে নামে কিংবা খনি থেকে বেরিয়ে আসে। কয়লার খনিতে সহজে আগুন ধরে। কয়লার খনিতে আগুন লাগলে তা নেভানো অত্যন্ত কষ্টকর। তাই খনির বাকী অংশে যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য ঐ অংশটি কে সব দিক দিয়ে বিচ্ছিন্ন বা আলাদা করে রাখা হয়।
আমাদের দেশে কয়লার খনি আছে অন্ধ্রপ্রদেশে, বিহারে, পশ্চিমবাংলায়, রাজস্থানে, মহারাষ্ট্রে উড়িষ্যায়, আসামে, জম্মুতে ও মধ্যপ্রদেশে। সমগ্র পৃথিবীতে খনি থেকে প্রতি বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন টন (৩০০০ মিলিয়ন বা ৩ কোটি) কয়লা উত্তোলিত হয়। ভারতে প্রতি বছর খনি থেকে উত্তোলিত কয়লার পরিমাণ হল ১০০ মিলিয়ন টন বা (১০ কোটি টন)।


বৃষ্টিপাতের পরিমাপ কেমন করে নির্ণয় করা হয়?

বৃষ্টিপাতের পরিমাপ নির্ণয় করতে যে যন্ত্রের ব্যবহার করা হয় তাকে বলা হয় “রেইন গেজ” বা “বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র ”(Rain-gauge)। প্রত্যেক দেশের আহবিদ্যা বিভাগ (meteorological Department) বিভিন্ন স্থানের বৃষ্টিপাতের পরিমাপ নির্ণয় করতে বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্রের ব্যবহার করে থাকে। ইঞ্চি অথবা মিলিমিটারেই কোন স্থানের বৃষ্টিপাতের পরিমাপ মাপা হয়।
আজকের দিনে বিভিন্ন প্রকার বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্রের ব্যবহার করা হয়। সাধারণ বৃষ্টিপরিমাপক যন্ত্রে থাকে একটি দাগ কাটা কাচেঁর বোতল। বোতলটি রাখা হয় লোহার তৈরী একটি সিলিন্ডারের মধ্যে। বোতলের মুখে লাগানো থাকে একটি ফানেল।ফানেলের মুখটি বোতলের ব্যাসের ১০ গুন। যন্ত্রটিকে সাধারণতঃ রাখা হয় উন্মক্ত ও নিরাপদ জায়গায়, যাতে গাছপালা কিংবা দালান কোঠা কতৃর্ক কোন গোলমাল বা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়। বৃষ্টির জল ফানেলের মুখে পড়ে বোতলে গিয়ে জমা হয়। প্রতি ২৪ ঘন্টা অন্তর আবহ-বিদ্যা বিভাগের কর্মচারীরা বোতলের জমাকৃত জলের পরিমাপ মাপে।বোতলের জমাকৃত জলের উচ্চতার দশ ভাগের এক ভাগই হল ঐ স্থানের ২৪ ঘন্টায় প্রকৃত বৃষ্টিপাতে পরিমাপ। বোতলের গায়ে যদি দাগ কাটা না থাকে, তাহলে বৃষ্টিাতের পনিরমাপ নির্ণয় করতে পরিমাপক (Measuring jar) অথবা পরিমাপক দন্ড (Measuring stick)ব্যবহার করা হয়।
আবহ-বিদ্যা বিভাগ সারা বছর ধরে বিভিন্ন স্থানের বারিপাতের তালিকা সংগ্রহ করে এবং তার থেকে সেই সব স্থানে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমান নির্ণয় করে। আজকের দিনে এমন যন্ত্রের উদ্ভাবন করা হয়েছে যা আপনা থেকেই বৃষ্টির পরিমাণ নির্ণয় করতে পারে।
যে সব স্থানে বছরেবৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৫৪ থেকে মিলিমিটারের (১০ ইঞ্চি) কম সে সব স্থানে মরুভূমি বলা হয়। বছরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৫৪ থেকে ৫০৮ মিলিমিটারের (১০ থেকে ২০ ইঞ্চি) মধ্যে হলে সেখানে কিছু সবুজ গাছপালা জন্মে। তবে কৃষিকার্যের জন্য বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হওয়া দরকার বছরে ৫০৮ মিলিমিটার (২০ ইাঞ্চ) বেশী।


অধিকাংশ পণ্যে ছোট্ট সিলিকার ব্যাগ দেওয়া হয় !! কিন্তু কেন দেয়া হয় জানেন?

সিলিকা (আগ্নেয় ধাতব পদার্থবিশেষ) সর্বসাধারণের কাছে খুব বেশি পরিচিত না। তবে সিলিকার তৈরি ব্যাগ সম্বন্ধে কম-বেশি সবাই জানে। অধিকাংশ পণ্য কেনার পর দেখবেন এর মধ্যে ছোট একটি ব্যাগ আছে। কেনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যাগটি ফেলে দেই। অথচ ওই ছোট্ট সিলিকা ব্যাগটি আপনার পছন্দের পণ্যটিকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে। কারণ এটি বাতাসের আর্দ্রতা শোষণ করে। আর এই ব্যাগের ওপর বড় করে লেখা থাকে ‘ডু নট ইট’ অর্থ্যাৎ ‘দয়া করে খাবেন না’।
এখন থেকে কোনো পণ্যের মধ্যে এই ব্যাগ পেলে ভুলেও ফেলে দেবেন না। কারণ সিলিকা ব্যাগ দৈনন্দিন জীবনে আরো অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়, আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন-
  • পানিতে ফোন পরে গেলে সেটা আর ফিরে পাওয়ার কোনো আশাই থাকে না। কিন্তু সিলিকা ব্যাগ সে আশা জিইয়ে রাখে। একটি বাটির মধ্যে অনেকগুলো সিলিকা ব্যাগ রেখে এর মধ্যে পানিতে ভেজা ফোনটি রেখে দিন। দেখবেন, ফোনের সব পানি শুকিয়ে যাবে এবং ফোনটি নষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে যাবে।
  • পাউডার ধরনের মেকআপের (কমপ্যাক্ট পাউডার, আইশ্যাডো, ফেস পাউডার) মধ্যে একটা-দুইটা সিলিকা ব্যাগ রেখে দিন। এতে এগুলো বহুদিন ভালো থাকবে।
  • অনেক সময় বৃষ্টিতে ভেজার পর ছাতা ব্যাগে রাখা সম্ভব হয় না। আবার বাইরে রাখলে হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। এ ক্ষেত্রে ছাতার প্যাকেটের মধ্যে কয়েকটি সিলিকা ব্যাগ রেখে ছাতাটা ঢুকিয়ে রাখুন। দেখবেন, খুব কম সময়ের মধ্যে ছাতাটা শুকিয়ে যাবে।
  • ভেজা জুতাকে দ্রুত শুকিয়ে ফেলে সিলিকা ব্যাগ। এমনকি জুতার স্যাঁতস্যাতে ভাবও দূর হয় সহজেই।
  • স্টিলের কাটলারি সেট খুব পরিষ্কার করে সিলিকা ব্যাগ। এই ব্যাগ দিয়ে পরিষ্কার করলে কাটলারি সেটে মরিচা ধরে না।
  • অনেকদিন ব্যবহারের পর তোয়ালে যখন তুলে রাখবেন তখন এর ভাজে ভাজে সিলিকা ব্যাগ দিয়ে রাখবেন। কয়েকদিন পর দেখবেন এটি নতুনের মতোই সতেজ রয়েছে।
  • জিমে গেলে ঘামের কারণে পোশাক ভিজে যায়। এগুলো যখন ব্যাগে করে আনা হয় তখন গন্ধ হয়ে যায়। জিমের এই ব্যাগে কয়েকটি সিলিকা ব্যাগ ছড়িয়ে রাখুন। ভেজা পোশাকে আর গন্ধ হবে না।
  • পুরোনো ছবিগুলো নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে চাইলে ছবির ভাজে ভাজে সিলিকা ব্যাগ রেখে দিন। এভাবে দীর্ঘদিন ছবি ভালো থাকবে।
  • গয়না ভালো রাখতে চাইলে গয়নার বাক্সের মধ্যে কয়েকটি সিলিকা ব্যাগ ছড়িয়ে রাখুন।


কাঁচা মরিচ সংরক্ষণের সহজ তিনটি উপায়

.কাঁচা মরিচের ঝাল অনেকের প্রিয়। সকালের পান্তা ভাতে কিংবা গরম-গরম ভাজা মাছে কাঁচা মরিচে দু-চার কামড় দিয়ে ঝালে উহ্‌-আহ্‌ করার মজাই আলাদা। কাঁচা মরিচ ভিটামিনের এক চমৎকার উৎস। রয়েছে নানা পুষ্টিগুণও। আধা কাপ পরিমাণ কুচি কাঁচা মরিচে প্রায় ৮০০ ইউনিটের বেশি ভিটামিন এ রয়েছে। আর ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া ভিটামিন কে রয়েছে এতে। সব ধরনের মরিচেই আছে ক্যাপসেইসিন নামের একটি উপাদান।
এই ক্যাপসেইসিন প্রদাহ ও বাতের ব্যথা কমায়, ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আমেরিকার ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চ বলছে, টাটকা সবুজ কাঁচা মরিচে যে ক্যাপসেইসিন আছে, তা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। তাই কাঁচা মরিচে কেবল ঝালই নেই, আছে নানা উপকারও।
গবেষকেরা বলছেন, কাঁচা মরিচের ভিটামিন সি তাপ, অতিরিক্ত আলো ও বাতাসের কারণে একটু একটু করে হারায়। তাই তাজা কাঁচা মরিচ না খেতে পারলে তা ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় সংরক্ষণ করুন। এ জন্য বাজার থেকে আনা তাজা কাঁচা মরিচ জিপার ব্যাগে মুখ আটকে ফ্রিজে রাখুন এবং তিন-চার দিনের মধ্যেই শেষ করতে চেষ্টা করুন।
কাঁচা মরিচের দাম হুটহাট করে বেড়ে যায় বলে অনেকেই ভাবেন, কীভাবে তা বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায়। কারণ, কাঁচা মরিচ কিনে বাড়িতে এনে ঠিকমতো রাখা হয় না বলে তা পচে গন্ধ হয়। কিন্তু কাঁচা মরিচ সহজে ও কম খরচে সংরক্ষণ করে রাখার কয়েকটি পদ্ধতি আছে।
জিপার লক
পচে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই অল্প করে কাঁচা মরিচ কেনেন। যাঁরা এক সপ্তাহ পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে চান, তাঁরা জিপ লক ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা মরিচ বেশি দিন সংরক্ষণ করে রাখতে চাইলে বাতাস চলাচল করে না—এমন জিপার লক ব্যাগ দারুণ কার্যকর। তবে এতে মরিচ রাখার আগে অবশ্যই বোঁটা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর তা জিপার লক ব্যাগে ভরে রাখতে হবে। এরপর সেই ব্যাগ রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। সেখান থেকে প্রয়োজনমতো সময়ে বের করে ব্যবহার করতে পারবেন। এভাবে সংরক্ষণ করলে কাঁচা মরিচ এক সপ্তাহের বেশি সতেজ থাকে।
বায়ুরোধী পাত্র
কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন? রেফ্রিজারেটরে রাখা মরিচ পচে যাওয়া ঠেকাতে বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। বায়ুরোধী পাত্রের মধ্যে দুই স্তরে কিচেন টাওয়েল (কিচেন টাওয়েল কিছুটা পেপার ন্যাপকিনের মতো, যেটি রোল করা অবস্থায় কিনতে পাওয়া যায়) রাখুন। মরিচের বোঁটা ছাড়িয়ে এর ভেতর রাখুন। এর ওপরে আরেক স্তরের কিচেন টাওয়েল রাখুন। এরপর ভালো করে পাত্রের মুখ আটকে দিন। মরিচের আর্দ্রতা শুষে নেবে টাওয়েল। এতে মরিচ দীর্ঘদিন সতেজ থাকবে। এভাবে ২০ থেকে ২৫ দিন মরিচ সংরক্ষণ করা যায়।
অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল
কাঁচা মরিচ পচে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন। একটি প্লেটে কাঁচা মরিচ রাখুন এবং পুরো প্লেট ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে ফ্রিজে রাখুন। ছয় থেকে সাত ঘণ্টা রাখার পর তা বের করে এনে হিমায়িত মরিচগুলো বায়ুরোধী কোনো পাত্রে রেখে দিন। ওই পাত্র রেফ্রিজারেটরে রাখুন। এভাবে মরিচ দুই মাস পর্যন্ত সতেজ রাখতে পারবেন।


কাঁচা পেঁপে খান, তিনটি সমস্যা দুর করুন, পেঁপের গুনাগুন ও উপকারিতা

পেঁপে শুধু সুস্বাদু খাবারই নয়, এটি অত্যন্ত পুষ্টিকরও বটে। পেঁপে দেহের বহু স্বাস্থ্য সমস্যা উপশম করতে সহায়তা করে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো পেঁপের তেমন কিছু গুণের কথা:
হজমে সহায়তা
পেঁপের মধ্যে রয়েছে পাপাইন যা, হজমে সহায়তা করে এবং এর স্যলুবল ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে রক্ষা করে।
কোলেস্টেরল দূর
পেঁপে দুটি উপায়ে রক্তের কেলেস্টেরল দূর করে। প্রথমত, পেঁপের ফাইবার শিরা উপশিরার গা থেকে কলেস্টোরল দূর করে এবং দ্বিতীয়ত, পেঁপের এনজাইম ফ্যাট কোষগুলোকে অক্সিডেশনের মাধ্যমে শিরা উপশিরা বল্ক করতে বাঁধা প্রদান করে।
কোলনের ইনফেকশন দূর করে
পেঁপে অত্যন্ত কার্যকরভাবে কোলন পরিষ্কার করে। বিশেষ করে পেঁপের জুস কোলনের মিউকাস দ্রুত দূর করে কোলন পরিষ্কার করে ইনফেকশন দূর করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
প্রচুর ভিটামিন ও নিউট্রিয়েন্টসে ভরপুর পেঁপে অল্প পরিমাণে খেলেই পেট ভরে যায় এবং ক্ষুধার উদ্রেক হয় না। এতে করে অস্বাস্থ্যকর খাবার কম খাওয়া হয় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বমি ভাব দূর করে
সকালে ঘুম থেকে উঠলে যাদের বমি ভাব হয় এবং অসুস্থতা ভর করে তারা পেঁপে খেলে বা পেঁপের জুস তৈরি করে খেলে এর থেকে মুক্তি পাবেন সহজেই।
পাকা পেঁপে অনেকে পছন্দ করলেও কাঁচা পেঁপে অনেকে খেতে চান না। কিন্তু এ ফলের রয়েছে বহুমাত্রিক পুষ্টিগুণ। পেঁপে স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি। কিন্তু আপনি কি জানেন, কাঁচা পেঁপে খেলে কোন তিনটি শারীরিক সমস্যা দূর হয়?
পুরো শরীরের জন্যই কাঁচা পেঁপে উপকারি ফল। কাঁচা পেঁপে দিয়ে নানারকম তরকারি রান্না করা যায়। সবুজ পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস বাড়ানো খুব জরুরি। সবুজ পেঁপে তিনটি শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
কেউ যদি ডায়াবেটিসে ভোগেন, তবে কাঁচা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস শুরু করুন। কাঁচা পেঁপের জুসও খেতে পারেন। কাঁচা পেঁপে বা এর জুস রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। এটি শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়।
কাঁচা পেঁপে খাওয়া দরকার আরো একটি কারণে। এটি আঁশযুক্ত ফল, যা পাচন প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারী। স্বাস্থ্যকর হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে এ ফল। আর এ কারণে পাকস্থলিতে গ্যাস বা এসিডিটি তৈরি হতে দেয় না কাঁচা পেঁপে। অথচ আমরা বেশিরভাগ মানুষই এ রোগে ভুগি!
কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ ও ‘ই’। আর এ উপাদানগুলো কিডনির সমস্যা দূর করতে খুব উপকারি। তাই কাঁচা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলে এই তিন রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।
সতর্কতা
গর্ভবতী নারীরা পেঁপে দূরে থাকবেন। কারণ এটি গর্ভাবস্থায় নানা জটিলতা তৈরি করতে পারে। এটি এমনকি গর্ভপাতেরও কারণ হতে পারে।

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget