কেমন করে কয়লার সৃষ্টি হয়েছিল?
সচারচর জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত কয়লা উত্তলিত হয় কয়লার খনি থেকে। কয়লার এই সব খনি চওড়ায় অনেক মাইল পর্যন্ত হয়। খনির ভিতর পুরু ও চ্যাপ্টা কয়লার স্তর দেখতে পাওয়া যায়। ঐ সব স্তরের পুরুত্ব কয়েক সেন্টিমিটার থেকে শুরু করে কয়েক মিটার পর্যন্ত হতে পারে। হাজার হাজার শ্রমিক ও প্রকৌশলী যন্ত্রপাতির সহযোগে রাতদিন ধরে এই সব খনিতে কাজ করে। তোমরা কী জান –কেমন করে এই কয়লার সৃষ্টি হয়েছিল ?
কয়লার সৃষ্টি প্রথম শুরু হয়েছিল প্রায় ২৫০ মিলিয়ন (২৫ কোটি) বছর আগে।ঐ যুগটা কে বলা হত অঙ্গার-উৎপাদী কাল(carboniferous period)। তখন আমাদের পৃথিবীতে ছিল অনেক জলাভূমি। দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ, বৃহৎ বৃহৎ হৃক্ষ, র্ফান প্রভৃতি জন্মেছিল ঐ সব জলাভূমিতে। কাল ক্রমে ঐ সব গাছপালা মরে গিয়ে শান্ত জলাভূমির জলে পতিত হয়। যথেষ্ট পরিমাণ বাতাস সেখানে না থাকায় গাছপালা গুলো সম্পৃর্ণ রুপে পচে যায় নি। ব্যাকটেরিয়া গাছের বিভিন্ন অংম পিট (peat) নাম এক প্রকার আঁঠাল পদার্থে পরিণত করেছিল। শতাব্দীর পর ধরে বালি-মাটি জমা হয়ে হয়ে এই পিটকে চাপ দিতে থাকে। তাপ ও ভূ-স্তরের চাপের ফলে পিট-আস্তরণ প্রথমে লিগনাইটে (Lignite) রূপান্তরিত হয় এবং শেষ পর্যন্ত, রূপান্তর ঘটে তার শক্ত কয়লায়। এমনি করে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ভাঁজে ভাঁজে অসংখ্য কয়লার স্তর সৃষ্টি হয়েছিল। আজকের দিনে কয়লা পেতে হলে আমাদের কে মাটি খুঁড়ে অনেক গভীরে যেতে হয়।
কয়লার সৃষ্টি প্রথম শুরু হয়েছিল প্রায় ২৫০ মিলিয়ন (২৫ কোটি) বছর আগে।ঐ যুগটা কে বলা হত অঙ্গার-উৎপাদী কাল(carboniferous period)। তখন আমাদের পৃথিবীতে ছিল অনেক জলাভূমি। দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ, বৃহৎ বৃহৎ হৃক্ষ, র্ফান প্রভৃতি জন্মেছিল ঐ সব জলাভূমিতে। কাল ক্রমে ঐ সব গাছপালা মরে গিয়ে শান্ত জলাভূমির জলে পতিত হয়। যথেষ্ট পরিমাণ বাতাস সেখানে না থাকায় গাছপালা গুলো সম্পৃর্ণ রুপে পচে যায় নি। ব্যাকটেরিয়া গাছের বিভিন্ন অংম পিট (peat) নাম এক প্রকার আঁঠাল পদার্থে পরিণত করেছিল। শতাব্দীর পর ধরে বালি-মাটি জমা হয়ে হয়ে এই পিটকে চাপ দিতে থাকে। তাপ ও ভূ-স্তরের চাপের ফলে পিট-আস্তরণ প্রথমে লিগনাইটে (Lignite) রূপান্তরিত হয় এবং শেষ পর্যন্ত, রূপান্তর ঘটে তার শক্ত কয়লায়। এমনি করে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ভাঁজে ভাঁজে অসংখ্য কয়লার স্তর সৃষ্টি হয়েছিল। আজকের দিনে কয়লা পেতে হলে আমাদের কে মাটি খুঁড়ে অনেক গভীরে যেতে হয়।
কয়লার মধ্যে ফার্ণের (fern) ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। ফার্ণের ঐ ছাপের উপর ভিত্তি করেই কয়লা সৃষ্টির উপরোক্ত মতবাদটি প্রদত্ত হয়েছে। কখন কখন গাছের ছালের নমুনাও দেখা গেছে। তার থেকে এটা আবার প্রমাণিত হয় যে লক্ষ লক্ষ বছর আগে উদ্ভিদ, গাছ-গাছালি, লতা-গল্ম প্রভৃতি ধ্বংসাবশেষ থেকেই কয়লার সৃষ্টি হয়েছে।
কয়লার খনির খননকার্য এক দুরুহ ব্যাপার । প্রথমতঃ জমাকৃত কয়লার উপর থেকে সকল প্রকার ময়লা দূরীভূত করা হয়। তারপর কয়লার স্তর যখন বেরিয়ে আসে তখন তাকে ছোট ছোট টুকরায় ভাঙ্গায় জন্য বিস্ফোরন ব্যবহার করা হয়। বস্তুতঃপক্ষে, সমস্ত খননকার্যটি চলে যন্ত্রপাতি আর বিস্ফোরকের মাধ্যমে। এমনি করে প্রাপ্ত কয়লা কে ওয়াগনে বোঝাই করে উপরে তোলা আনা হয়। খননকারীরা উল্লম্ব(shaft) মধ্য দিয়ে চলাচলকারী লিফটের সাহায্যে খনিতে নামে কিংবা খনি থেকে বেরিয়ে আসে। কয়লার খনিতে সহজে আগুন ধরে। কয়লার খনিতে আগুন লাগলে তা নেভানো অত্যন্ত কষ্টকর। তাই খনির বাকী অংশে যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য ঐ অংশটি কে সব দিক দিয়ে বিচ্ছিন্ন বা আলাদা করে রাখা হয়।
আমাদের দেশে কয়লার খনি আছে অন্ধ্রপ্রদেশে, বিহারে, পশ্চিমবাংলায়, রাজস্থানে, মহারাষ্ট্রে উড়িষ্যায়, আসামে, জম্মুতে ও মধ্যপ্রদেশে। সমগ্র পৃথিবীতে খনি থেকে প্রতি বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন টন (৩০০০ মিলিয়ন বা ৩ কোটি) কয়লা উত্তোলিত হয়। ভারতে প্রতি বছর খনি থেকে উত্তোলিত কয়লার পরিমাণ হল ১০০ মিলিয়ন টন বা (১০ কোটি টন)।
কয়লার খনির খননকার্য এক দুরুহ ব্যাপার । প্রথমতঃ জমাকৃত কয়লার উপর থেকে সকল প্রকার ময়লা দূরীভূত করা হয়। তারপর কয়লার স্তর যখন বেরিয়ে আসে তখন তাকে ছোট ছোট টুকরায় ভাঙ্গায় জন্য বিস্ফোরন ব্যবহার করা হয়। বস্তুতঃপক্ষে, সমস্ত খননকার্যটি চলে যন্ত্রপাতি আর বিস্ফোরকের মাধ্যমে। এমনি করে প্রাপ্ত কয়লা কে ওয়াগনে বোঝাই করে উপরে তোলা আনা হয়। খননকারীরা উল্লম্ব(shaft) মধ্য দিয়ে চলাচলকারী লিফটের সাহায্যে খনিতে নামে কিংবা খনি থেকে বেরিয়ে আসে। কয়লার খনিতে সহজে আগুন ধরে। কয়লার খনিতে আগুন লাগলে তা নেভানো অত্যন্ত কষ্টকর। তাই খনির বাকী অংশে যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য ঐ অংশটি কে সব দিক দিয়ে বিচ্ছিন্ন বা আলাদা করে রাখা হয়।
আমাদের দেশে কয়লার খনি আছে অন্ধ্রপ্রদেশে, বিহারে, পশ্চিমবাংলায়, রাজস্থানে, মহারাষ্ট্রে উড়িষ্যায়, আসামে, জম্মুতে ও মধ্যপ্রদেশে। সমগ্র পৃথিবীতে খনি থেকে প্রতি বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন টন (৩০০০ মিলিয়ন বা ৩ কোটি) কয়লা উত্তোলিত হয়। ভারতে প্রতি বছর খনি থেকে উত্তোলিত কয়লার পরিমাণ হল ১০০ মিলিয়ন টন বা (১০ কোটি টন)।
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.
EmoticonClick to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.