অন-পেজ অপটিমাইজেশনের সময় যে ১০ জিনিস অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে.! (On Page SEO)


কোন সাইটকে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো অবস্থানে নিয়ে আসার জন্য আপনাকে অন-পেইজ অপটিমাইজেশন করতেই হবে। আর এ অন-পেজ অপটিমাইজেশনের বেস্ট প্র্যাকটিসগুলো ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন। তবে কাজের সময় যেন কোন অন-পেইজ অপটিমাইজেশন পয়েন্ট বাদ না পড়ে যায় সেজন্য আমি একটি চেকলিস্ট করার চেষ্টা করেছি আপনাদের জন্য। কাজের সময় এ লিস্টটি আশা করছি আপনাদের উপকারে আসবে।



পোস্ট টাইটেল: একটি লেখাকে জীবন্ত করে তোলে লেখাটির শিরোনাম। লেখাটিকে আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য তাই পোস্টের টাইটেলে বেশ গুরুত্ব দিতে হবে। এমনভাবে টাইটেলটি লিখতে হবে যেন পাঠক লেখাটির প্রতি আকৃষ্ট হয়, এটি পড়তে চায় এবং সামাজিক যোগাযোগ সাইটে শেয়ার করতে চায়। আর এসইও ভ্যালু পাওয়ার জন্য টাইটেল ৭০ অক্ষরের মধ্যে রাখতে হবে। আর টাইটেলের মধ্যে আপনার কিওয়ার্ডটি ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করুন। এতে প্রতিযোগি সাইটগুলোর চেয়ে একটু বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। পোস্ট টাইটেলে যাতে “STOP Word” না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগ: সার্চ ইঞ্জিনে রেজাল্ট পেজ থেকে যাতে ভিজিটর আপনার পোস্টের প্রতি ভাল ধারনা পায় সেভাবেই মেটা ডেসক্রিপশন টা লিখতে হবে। আর মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগ আপনি ১৫৫ থেকে ১৬০ অক্ষর ভিতর রাখবেন। অবশ্যই মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগের কনটেন্ট পোস্ট থেকে কপি-পেস্ট করে বসাবেন না। পুরো পোস্টের একটি ছোট্ট ১৬০ অক্ষরের মধ্যে লেখার চেষ্টা করুন। মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগে কোন কোটেশন বা নন-আলফাবেটিক ক্যারেকটার ব্যবহার করা উচিত না। মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগে মূল কি-ওয়ার্ডের প্রাধান্য থাকা উচিত।

মেটা কিওয়ার্ড ট্যাগ: একটা সময় ছিল যখন মেটা কি-ওয়ার্ড ট্যাগ সার্চ ইঞ্জিনে বেশ গুরুত্ব পেত। গুগলের সাম্প্রতিক কিছু আপডেটে মেটা কি-ওয়ার্ড ট্যাগ-কে প্রায় মূল্যহীন করে দিয়েছে বলতে গেলে। এ বিষয়টিতে এখন তাই খুব গুরুত্ব না দিলেও চলবে। অনেকে বেশি বেশি মেটা কিওয়ার্ড ব্যবহার করেন। এটি কোনভাবেই করা যাবেনা! সাবধান!!
তবে চাইলে এক থেকে দুটি মেটা কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন, তবে সেটি পোস্টের সঙ্গে অবশ্যই সংগতিপূর্ন হতে হবে।

কনটেন্ট লেখার আগে!: গুগলের সর্বশেষ পাণ্ডা আপডেটে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে কনটেন্টের উপর। সাইটের কনটেন্ট হতে হবে ইউনিক এবং সাইটের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। আপনার যদি একাধিক পেজ থাকে আর সেই সব পেজের কনটেন্ট যদি একই থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনি পেনাল্টি খাবেন।
মনে রাখতে হবে, সার্চ ইঞ্জিনকে খুশি করার জন্য কন্টেন্ট লিখবেন না। লিখবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত ভিজিটরের কথা মাথায় রেখে যাতে সে উপকৃত হয়। কন্টেন্টকে সহজ এবং সরল রাখুন যাতে ভিজিটর খুব সহজেই বুঝতে পারে। কনটেন্ট যাতে ৪৫০ শব্দের বেশি হয় সেই দিকে খেয়াল রাখুন।

কিওয়ার্ড ডেনসিটি: কনটেন্টের মাঝে টার্গেটেড কিওয়ার্ডের ব্যবহার বাড়াতে হবে। কনটেন্টের মোট ক্যারেকটারের ১.৫ থেকে ২ শতাংশ হবে টার্গেটেড কিওয়ার্ড। অর্থাৎ আপনার যদি ৫০০ শব্দের কনটেন্ট হয় তাহলে আপনাকে (৫০০*১.৫/১০০=৭.৫) ৭ অথবা ৮ বার কিওয়ার্ডটি পোস্টের বিভিন্ন স্থানে রাখতে হবে।

হেডার ট্যাগ: লেখার মধ্যে অবশ্যই হেডার ট্যাগের ব্যবহার করতে হবে। পোস্টের ভিতরে বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ লাইন বা টাইটেল গুলোতে এই <H2> ও <H3> ট্যাগ ব্যবহার করে টার্গেটেড কিওয়ার্ডকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে হাইলাইট করতে পারেন। এজন্য এ ট্যাগগুলোতে কিওয়ার্ডের উপস্থিতি থাকাটা বাঞ্চনীয়। অতিরিক্ত হেডার ট্যাগ ব্যবহার করা স্প্যামিংয়ের পর্যায়ে পড়ে। এজন্য ২ বার <H2> ও ২ বার <H3> ট্যাগের বেশি ব্যবহার করবেন না।


ইন্টারনাল/এক্সটারনাল লিংক: প্রচুর পরিমাণে ইন্টারনাল লিংক বাড়াতে হবে। কারণ ইন্টারনাল লিংক সাইটের লিংক জুস বাড়াবে, সাইটের পেজ র‍্যাংক বাড়াতে ইন্টারনাল লিংকের কোন জুড়ি নেই। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, ইন্টারনাল লিংকিং করতে হবে আপনার ভিজিটর যাতে উক্ত বিষয় নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে পারে সে বিষয়টি মাথায় রেখে। অর্থ্যাৎ, আপনি লিখছেন মার্সিডিজ বেঞ্জ সি ক্লাসের গাড়ি নিয়ে। এখন মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ির জন্য কিছু রিলেভেন্ট কনটেন্টের ইন্টারনাল লিংকিং করতে পারেন। এখানে কোনভাবেই নন-রিলেভেন্ট (যেমন: লেবার ম্যানেজমেন্ট!) পোস্টের ইন্টারনাল লিংকিং করবেন না। আর এক্সটারনাল লিংকের ব্যাপারে বলবো, এক্সটারনাল লিংক যত কম পারা যায় ততই ভাল। অবশ্যই এক্সটারনাল লিংকে নোফলো HTML কোড ব্যবহার করুন।


ছবি: ছবি ব্যবহারে একটু সতর্ক হওয়া দরকার। কারো কপিরাইটেড ছবি ব্যবহার করবেন না। ছবি আপলোডের পর তাতে Image ALT Tag ব্যবহার করুন। ছবিটা কি সম্পর্কিত তা অল্প শব্দের ভিতর বোঝাতে হবে।

বোল্ড/ইটালিকঃ পোস্টের গুরুত্বপূর্ন অংশ গুলো বোল্ড করুন মাঝে মাঝে ইটালিক করুন। যাতে ভিজিটরের দৃষ্টি আর্ষন করাতে পারেন। মনে রাখবেন অতিমাত্রায় বোল্ড ও ইটালিক ব্যবহার করা স্প্যামিং এর সামিল।

পার্মালিংকঃ পোস্টের পার্মালিংক খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পার্মালিংক স্ট্রাকচার %পোস্ট নেম% থাকা ভাল। তবে পোস্ট পাবলিশড করার সময় যদি পার্মালিংক অনেক বড় হয়ে যায় তাহলে তা পাবলিশড করা পূর্বেই এডিট করে ছোট করে নিন। খেয়াল রাখবেন ছোট করতে গিয়ে যাতে লিংকের অর্থ না হারিয়ে যায়।
July 30, 2019
Labels:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.

[blogger]

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget