Si.SanGram

This is my Personal blog site.

ইতিহাসের সরণি ধরে ভোপাল-ভীমবেটকা-সাঁচি-উদয়গিরি-বিদিশা (Madhya Pradesh-India)

August 02, 2019
 মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল। শহর জুড়ে নানা আকর্ষণ। তা ছাড়া এখান থেকে ঘুরে নিতে পারেন ইতিহাস বিখ্যাত বেশ কয়েকটি জায়গা, যেমন সাঁচি, ভীমবেটকা ইত্যাদি। তাই নিজের মতো একটা সূচি বানিয়ে ঘুরলে সুবিধা। ভোপালের জন্য দু’দিন রাখতেই হবে, তার সঙ্গে আরও দিন তিনেক বাকি জায়গাগুলি দেখার জন্য।
কিংবদন্তি এবং ইতিহাস, মিলেমিশে তৈরি হয়েছে ভোপাল শহরের গোড়াপত্তনের কাহিনি। বলা হয় ১১ শতকে পারমার রাজ ভোজ-এর হাতে পত্তন। তাঁর চর্মরোগ সারানোর জন্যে তৈরি হয় জলাশয়, যার জলে স্নান করে রাজা সুস্থ হন। তাই ভোজ-পাল (পাল অর্থাৎ বাঁধ) নাম থেকেই নাম হয়েছে ভূপাল বা ভোপাল। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এখন সেই লেক ‘আপার লেক’ বা ‘বড়া তালাও বা ‘ভোজ তাল’ নাম পরিচিত।
অনেকে বলেন মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর তাঁর সৈন্যদলের সদস্য দোস্ত মহম্মদ খান আধুনিক ভোপালের পত্তন করেন। তার আগে এখানে গোন্ড আদিবাসীদের রাজত্ব ছিল। ১৮১৯ থেকে ১৮২৬ ভোপালের লাগাম ছিল ‘নবাব বেগম অব ভোপাল’-দের হাতে।

আপার লেক

আপার লেকের সঙ্গে সেতুর সাহায্যে যোগাযোগ রয়েছে লোয়ার লেকের বা ছোট তালাওয়ের। এই লেকটি অবশ্য অতটা সুন্দর বা পরিচ্ছন্ন নয়। মন্ত্রী ছোটে খানের হাতে ১৭৯৪ সালে তৈরি হয় এই লেক।
আপার লেকের পাড়ে রাজা ভোজের মূর্তি বসেছে। এখান থেকেই শুরু করতে পারেন ভোপাল ভ্রমণ।
লেকের ধারে টিলার উপর গড়ে উঠেছে চিড়িয়াখানা এবং সাফারি পার্ক। নাম বনবিহার জাতীয় উদ্যান। পার্কে ঢোকার দু’টি গেট— লেক ভিউ রোডের দিকে চিকু দ্বার আর ভদভদা ব্রিজের দিকে রামু দ্বার। তবে শহরের স্থানীয় বাস কিন্তু এই পার্ক অব্দি যায় না। তাই সরাসরি গাড়ি বা অটোরিকশা ভাড়া করে যাওয়া সুবিধাজনক। সবুজে ঘেরা প্রায় ৫০০ হেক্টর জায়গা জুড়ে তৈরি পার্ক ঘুরে দেখতে সময় লাগে, হেঁটে ঘুরতে গেলে পায়ের জোরও চাই। অবশ্য নিজের গাড়ি নিয়ে ঘুরে দেখা যেতে পারে কিংবা সাইকেল ভাড়াও নিতে পারেন। সাধারণত সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা অব্দি খোলা থাকে পার্ক, তবে সিজন অনুযায়ী সময়ের রদবদল ঘটে। এখানকার মুখ্য আকর্ষণ হল বাঘ, সাদা বাঘ, সিংহ, লেপার্ড, ভল্লুক, নীলগাই, শম্বর, নানা ধরনের হরিণ ইত্যাদি। আছে মস্ত পাখিরালয় আর সর্প উদ্যান। মাথাপিছু প্রবেশমূল্য ছাড়াও গাড়ির জন্য আলাদা টিকিট লাগে।
একই সফরে দেখে নিতে পারেন ভারত ভবন। স্থপতি চার্লস কোরিয়ার নকশায় তৈরি শিল্পকলা চর্চার এক বিশাল কেন্দ্র। নাচ-গান-কবিতা-চারুকলা নিয়ে চলছে নানা কর্মকাণ্ড। একটু খোঁজ নিয়ে গেলে হয়তো কোনও নাচগানের অনুষ্ঠান ও দেখার সুযোগ হয়ে যেতে পারে।

ইন্দিরা গাঁধী রাষ্ট্রীয় মানব সংগ্রহালয়
আপার লেকের পাড়ে শ্যামলা পাহাড়ের এক কোণে অবস্থিত ইন্দিরা গাঁধী রাষ্ট্রীয় মানব সংগ্রহালয়। সোমবার ও জাতীয় ছুটির দিন বাদে সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি (মার্চ থেকে অগস্ট, বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা)। নানা প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে মানুষের বিবর্তনের ইতিহাস, শিল্পকলা এবং জাতীয়তাবোধ। ইন্ডোর এবং আউটডোর, দু’রকম প্রদর্শনীই আছে। মাথাপিছু প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা (অগস্ট ২০১৮), বড় দল এবং ছাত্রদের জন্য ছাড় মেলে।

ইন্দিরা গাঁধী রাষ্ট্রীয় মানব সংগ্রহালয়

তবে ভোপালের কোনও মিউজিয়াম দেখুন বা না দেখুন, ট্রাইবাল মিউজিয়াম বা জনজাতীয় সংগ্রহালয়টি অবশ্যই দেখবেন। শ্যামলা হিলস-এর স্টেট মিউজিয়ামের কাছেই অবস্থিত এই ট্রাইবাল মিউজিয়াম শুধু যে স্থানীয় জনজাতীয় জীবনকে তুলে ধরেছে তাই নয়, যে ভাবে সেটি উপস্থাপনা করেছে, ভারতবর্ষে তার জুড়ি মেলা ভার। আদিবাসী জীবনযাত্রা, তাদের ধর্মবিশ্বাস, ঘরবাড়ি, শিল্পকলা ইত্যাদি নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। সোমবার এবং সরকারি ছুটির দিন বাদে দুপুর ১২টা থেকে খোলে, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি সন্ধ্যে ৭টা অব্দি খোলা থাকে এবং বাকি মাসগুলি রাত ৮টা অব্দি খোলা থাকে। মাথাপিছু প্রবেশমূল্য ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ১০ টাকা। ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা পিছু ৫০ টাকা।

বিকেল থাকতেই ফিরে আসুন আপার লেকের ধারে। উইন্ডস অ্যান্ড ওয়েভস রেস্তরাঁটি একদম লেকের উপরেই অবস্থিত। চাইলে বোটিং করতে পারেন আপার লেকে। সন্ধ্যে হলে লেকের উপর আলোর মালা জ্বলে ওঠে, চালু হয় রঙিন ফোয়ারা। আলোর মালায় সাজানো বিশাল অক্ষরে ইংরেজিতে লেখা ‘সিটি অব লেকস’ ঝকমক করে রাতের অন্ধকারে।

তাজ-উল-মাসাজিদ
ভোপালের ইসলামীয় স্থাপত্য দেখার মতো। প্রথমেই চলুন তাজ-উল-মাসাজিদ দেখতে। বেগম শা জাহান (১৮৬৮-১৯০১) এর সূত্রপাত করেন, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ হয় ১৯৭১ সাল নাগাদ। ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ মসজিদ। ঘিঞ্জি চকবাজারে অবস্থিত প্রথম নবাব বেগম খুদসিয়া-র পৃষ্টপোষকতায় তৈরি জুমা মসজিদ, ১৮৩৭ সালে। কাছেই রয়েছে তাঁর কন্যার তৈরি মতি মসজিদ। চক এলাকাতেই রয়েছে শওকত মহল ও সদর মঞ্জিল। বলা হয়, ফরাসি বুরবোঁ বংশের কোনও রাজপুরুষের নকশায় তৈরি শওকত মহল। সদর মঞ্জিলে নবাব বেগমদের সঙ্গে প্রজাদের দরবার।

তাজ-উল-মাসাজিদ

শহরের একদম শীর্ষে অবস্থিত বিড়লা মন্দির ও মিউজিয়াম। লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির প্রাঙ্গন থেকে পাখির চোখে দেখে নিতে পারেন ভোপাল শহর।
বেড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে ভোপালের খাবারের স্বাদ নিতে ভুলবেন না। এখানকার জনপ্রিয় প্রাতরাশ পোহা-জালেবি। মিষ্টি ভাল লাগলে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন রাবড়ি-জালেবি। পুরনো ভোপাল কিছুটা ঘিঞ্জি হলেও এখানেই পাবেন মুসলিম রান্নার স্বাদ। এখানকার পায়া স্যুপ এবং নাল্লি নিহারি এবং নানা ধরনের কাবাব বেশ ভাল। যদি বাছবিচারের বালাই না থাকে, তা হলে টি টি নাগার-এর হাকিম হোটেলে ঢুঁ মারতে পারেন। শহরের দুই বিখ্যাত হেরিটেজ হোটেল, নুর উস সাবা এবং জেহান নুমা— সেখানেও ভোপালের খাবারের স্বাদ নিতে পারেন। স্ট্রিট ফুডের জন্য যেতে হবে শাহপুরা। আর সব শেষে ভোপালি পানের কথা ভুললে চলবে না। চুন-খয়ের-সুপুরির সঙ্গে নানা ধরনের ড্রাই ফ্রুটের বাহার।

ভীমবেটকা
ভোপাল থেকে এক দিনেই ঘুরে আসা যায় ভোজপুর এবং ভীমবেটকা। ভোপাল থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে বেতোয়া নদীর তীরে ভোজপুর। গাড়িতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। এখানেও রাজা ভোজকে ঘিরে নানা কাহিনি| বলা হয় রাজা ভোজ বেতোয়া নদীকে কাজে লাগিয়ে দু’টি বাঁধ তৈরি করেছিলেন এখানে। পরবর্তীকালে মালোয়া-র রাজা হোসাঙ্গ শাহ একটি বাঁধ কেটে দেন প্রজাদের অনুরোধে।

ভোজপুরের প্রধান আকর্ষণ ভোজেশ্বর মন্দির। কোনও অজ্ঞাত কারণে মন্দিরটি সম্পূর্ণ হয় নি। মন্দিরের গায়ে রয়েছে বেশ কিছু কারভিং। ভেতরে রয়েছে বিশাল এক শিবলিঙ্গ। একটি পাথর কেটে তৈরি ১৮ ফুট উঁচু আর প্রায় সাড়ে-৭ ফুট ব্যাস। দূর-দূরান্ত থেকে পুজো দিতে আসেন লোকজন। কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধীন এই মন্দির।
এখান থেকে আরও ২৫-২৬ কিমি গিয়ে ভীমবেটকা। প্রস্তরযুগ-এর গুহা-চিত্রের জন্য বিখ্যাত। গাড়ি নামিয়ে দেবে সামান্য দূরে। সেখান থেকে হেঁটে পৌঁছন প্রায় ৩০ হাজার বছরের পুরনো এই গুহাগুলির কাছে।
গুহায় ছবির সন্ধান মিলেছেসঙ্গে গাইড নিলে ভাল। কারণ প্রায় সাড়ে সাতশো গুহা আছে এখানে, যার মধ্যে প্রায় পাঁচশোটি গুহায় ছবির সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু সব গুহা তো ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। তাই গাইড আপনাকে নির্দিষ্ট পথে নিয়ে গিয়ে বাছাই করা কিছু গুহা দেখাবেন যাতে আপনি ছবির বিবর্তন পরিষ্কার বুঝতে পারেন। বেশ কিছু উঁচু-নিচু পথে হাঁটতে হবে তাই সেইমতো জুতো পরবেন। ২০০৩ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা পায় এই রক শেল্টার। এখানে প্রবেশমূল্য লাগে।
ভীমবেটকা থেকে ভোপালের দূরত্ব মোটামুটি ৫০ কিমি, সময় লাগে ঘণ্টা দেড়েক। ভোপাল ফিরে যদি হাতে সময় থাকে তা হলে কিছু কেনাকাটা সেরে নিতে পারেন। একাধিক আধুনিক শপিং মল তো আছেই, আর দরদাম করে কিনতে চাইলে ফিরে যান চক বাজারে। যেতে পারেন ভোপালের নিউ মার্কেটে অথবা হাবিবগঞ্জ মার্কেটে।
হাতে কী রকম সময় নিয়ে ঘুরছেন তার উপর নির্ভর করবে ভীমবেটকা দেখে ভোপাল ফিরে আসবেন না কি সোজা চলে যাবেন সাঁচি। ভীমবেটকা থেকে সাঁচীর দূরত্ব প্রায় ৯০ কিমি, সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। ভোপাল থেকে সাঁচির দূরত্ব প্রায় ৫০ কিমি, সময় লাগে এক ঘণ্টার সামান্য বেশি।

সাঁচির প্রবেশপথ
সাঁচি বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক সুদৃশ্য তোরণ আর মহাস্তূপের ছবি। বৌদ্ধ সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত সাঁচি ১৯৮৯ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি পায়। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় বা প্রথম শতাব্দী থেকে প্রায় দ্বাদশ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এখানে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচলন ছিল। এখন বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রাচীন স্তূপ, প্রাসাদ, মন্দির, মূর্তি, তোরণ, স্তম্ভের ধ্বংসাবশেষ। প্রত্যেকটি নিয়ে রয়েছে নানা তথ্য। সরকার স্বীকৃত গাইড নিয়ে ঘুরে দেখলে ভাল লাগবে অথবা বই নিয়ে নিজে ঘুরে দেখে নিতে পারেন। মহাস্তূপটির উচ্চতা ৪২ ফুট এবং ব্যাস ১০৬ ফুট। তোরণের গায়ে জাতকের কাহিনি দেখানো হয়েছে। সাঁচি কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থিত মিউজিয়ামটি শুক্রবার বাদে বাকি দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা অব্দি খোলা।
তবে মনে রাখবেন, বিশাল প্রাঙ্গণ, সবটাই খোলা আকাশের নীচে। তাই দুপুরে রোদ্দুরে ঘুরতে কষ্ট হতে পারে, বিশেষ করে সঙ্গে বাচ্চা বা বয়স্ক লোক থাকলে। তাই সকালে বা বিকেলের দিকে ঘুরে দেখতে পারেন। সঙ্গে অবশ্যই টুপি বা ছাতা এবং পানীয় জল রাখবেন। মধ্যপ্রদেশ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের টুরিস্ট লজে দুপুরের খাওয়া সারতে পারেন।
সাঁচিকে কেন্দ্র করে ঘুরে নিতে পারেন বিদিশা, উদয়গিরি এবং গৈরাসপুর। সাঁচি থেকে বিদিশা ১০ কিমি, বিদিশা থেকে উদয়গিরি আরও ৬ কিমি। এখান থেকে সাঁচি প্রায় ৯ কিমি। সাধারণত সাঁচি থেকে এই দু’টি জায়গা দেখেই ইতি টানেন পর্যটকেরা। তবে হাতে বেশ কিছুটা সময় থাকলে ঘুরে নিতে পারেন গৈরাসপুর, সাঁচি থেকে প্রায় ৫০ কিমি এবং বিদিশা থেকে ৪০ কিমি।
কবি জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন কবিতাটি অনেকের পড়া না থাকলেও, বাঙালি মাত্রেই একটা লাইনের সঙ্গে অবশ্যই পরিচিত— চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা। প্রাচীনকালে নাম ছিল বেসনগর। রামায়ণে উল্লেখ আছে বিদিশা-র, উল্লেখ আছে কবি কালীদাসের মেঘদূত কাব্যে। বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি ছিল বিদিশার। এখানকার এক ধনী ব্যবসায়ীর কন্যাকে বিবাহ করেন ভবিষ্যতের সম্রাট অশোক। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বৌদ্ধ স্তূপ। আছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে একাদশ শতাব্দীর মন্দির। কিছুটা দূরে আছে হেলিওডোরাস পিলার, স্থানীয়রা বলেন খাম্বা বাবা। বলা হয়, কোনও এক গ্রিক নাগরিক এই পিলারটি তৈরি করেন ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশে। হাতে সময় থাকলে মিউজিয়ামটি ঘুরে দেখে নিতে পারেন।

উদয়গিরি
উদয়গিরি-র খ্যাতি তার গুহামন্দিরের জন্য। পাহাড় কেটে চতুর্থ থেকে পঞ্চম শতাব্দীর মধ্যে তৈরি। এখানকার সবচেয়ে বিখ্যাত কারভিং হল বরাহ অবতাররূপী বিষ্ণুর পৃথ্বীকে হিরণ্যাক্ষ রাক্ষসের থেকে রক্ষা করার দৃশ্যটি। কুড়িটির মতো গুহামন্দির যাচ্ছে এখানে।
গৈরাসপুরে আছে একাধিক প্রাচীন স্থাপত্য— নবম শতাব্দীর মালাদেবী মন্দির, হিন্দোল তোরণ, আটখাম্বা ও চৌখাম্বা নামের পিলার সমূহ, বৌদ্ধস্তূপ ইত্যাদি।
ইতিহাস, স্থাপত্য নিয়ে ঘোরাঘুরি করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন? তবে চলুন হালালি ড্যাম-এর ধারে জিরিয়ে নিতে। চাইলে ট্যুরিস্ট লজে দু’টি রাত কাটিয়েও নিতে পারেন। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার মন ভাল করে দেবে। ইচ্ছেমতো ভেসে পড়ুন নৌকো চেপে লেকের জলে। সাঁচি থেকে হালালির দূরত্ব প্রায় ২৫ কিমি এবং ভোপাল থেকে ৪০ কিমি। তাই মনে রাখবেন ছুটির দিনে, বিশেষ করে পর্যটক মরসুমে ভিড় হতে পারে হালালি-তে।

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Emoticon
:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget