What to do with Fever, Cough and Throat pain?


জ্বর, কাশি ও গলাব্যথাতে করণীয়

অনেকেই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন। সর্দি তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে গেলেও কাশি কিন্তু সহজে ভালো হতে চায় না। সমস্যা হলো—জ্বর নেই, কফ বের হওয়া নেই, বুকে ঘড়ঘড় নেই, কিন্তু খুকখুক কাশি। বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক একটি ব্যাপার। কাশির সঙ্গে কখনো কফ বেরোয় না, কিন্তু একটা অস্বস্তি গলায়-বুকে লেগেই থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কিছুই পাওয়া যায় না। কেননা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই বারবার শুকনো কাশির কারণ ফুসফুসে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা ইত্যাদি নয়, বরং অন্য কিছু। তবে কারণ যা হোক শীতে ঠান্ডা লাগলে এর তীব্রতা কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে। অনেক সময় কাশতে কাশতে গলায়, বুকে ব্যথা হয়ে যায়।
গলাব্যথা মানেই টনসিলের সমস্যা, এটা সব সময় ঠিক নয়। তবে একবার ঠান্ডা লাগলে তা সারতে অন্তত এক সপ্তাহ লাগবে। আর কাশি তো আরও বেশ কয়েক দিন থাকতে পারে, এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
ভাইরাস সংক্রমণ-পরবর্তী কাশি
ভাইরাস জ্বরের পর জ্বর-সর্দি ভালো হয়ে গেলেও সাধারণত কাশি ভালো হতে চায় না বা কয়েক সপ্তাহব্যাপী কাশি লেগেই থাকে। হাঁপানি, অ্যালার্জি বা সাইনোসাইটিস না থাকলেও এমনটি ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। অনেক সময় এমনিতেই কাশি সেরে যায়।
অ্যালার্জির কারণে খুসখুস কাশি
কাশিটা কি নতুন, না এর আগেও ছিল। মৌসুমের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে কি না। এমন যদি হয় যে শীতে, ঠান্ডায়, গরমে, বর্ষায় বা ধুলাবালিতে এর প্রকোপ বেড়ে যায়, তবে ধরে নিতে পারেন যে এটি অ্যালার্জিজনিত। বাড়িতে বা কাজের পরিবেশে এমন কিছু আছে কি না, যা অ্যালার্জির প্রকোপ বাড়ায়। যেমন: হয়তো ধুলোমাখা কার্পেট, আলো-বাতাসহীন ভ্যাপসা ঘর, এমনকি পোষা প্রাণী, পাখি বা ফুলগাছের রেণু।
হয়তো ঘরের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রই আপনার সহ্য হয় না, অথবা সইতে পারেন না বেশি গরম ও ঘাম। শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ায় অনেকের কাশি বাড়ে। এসবের যেকোনো কিছুই কাশির জন্য দায়ী হতে পারে। পরিবারে বা বংশে হাঁপানি বা অ্যালার্জির ইতিহাস এ ধারণাকে মজবুত করবে। এক ধরনের হাঁপানিই আছে, যেখানে শ্বাসকষ্ট না হয়ে স্রেফ খকখক কাশি দেখা যায়; একে বলে কফ-ভ্যারিয়েন্ট অ্যাজমা। ধুলাবালি বা ঠান্ডা এড়িয়ে চলা, অ্যালার্জির ওষুধ বা ইনহেলার নেওয়া—এই হলো এর চিকিৎসা।
নাক ও সাইনাসের অসুখের কারণে কাশি
নাকের প্রদাহ ও সাইনুসাইটিস (সাইনাসের প্রদাহ) পোস্টনাজাল ড্রিপের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। ফলে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা সর্দিঝরা থাকলেও এ ক্ষেত্রে মূল উপসর্গ হিসেবে খুঁজে পাওয়া যায় কাশি। এই রোগের আরেকটি কারণ হচ্ছে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস।
খুসখুস কাশি যখন ধূমপানে
খুসখুসে কাশির একটি অন্যতম প্রধান কারণ হলো ধূমপান করা। তাই যদি খুসখুসে কাশিতে আক্রান্ত রোগী হন তাহলে আজই ধূমপানকে না বলুন। ওষুধ কোনো কাজেই আসবে না যদি ধূমপান না ছাড়েন। ধূমপায়ীদের স্মোকার কফ হয়। তামাক শ্বাসঝিল্লিকে ক্রমাগত ব্যাহত করছে বলেই কাশি উঠছে। শীতকালে তীব্রতা বেড়ে যায়।
অন্যান্য কারণে কাশি
গ্যাসট্রিকের কারণেও অনেক সময় কাশি হয়। পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপর দিকে উঠে এলে কাশি উঠতে পারে। যাঁদের সব সময় সর্দি লেগে থাকে, তাঁদের নাকের পেছন দিকে ইরিটেশন হয় বলে কাশি হতে পারে। এ ছাড়া কিছু ওষুধ অনেক সময় কাশির জন্য দায়ী হতে পারে। হৃদ্রোগের কারণেও অনেক সময় কাশি হয়।
শীতে নাক বন্ধ থাকলে কী করবেন?
সমস্যা নেই। বড় একটি পাত্রে ফুটন্ত পানি ঢেলে, তাতে মেনথল দিয়ে দিন। তারপর মুখ নিচু করে এবং অবশ্যই খোলা রেখে সেই পানির ভাপ নিন কয়েক মিনিট। দিনে কয়েকবার এই ভাপ নেবেন।
সর্দি, কাশি ও গলাব্যথায় কী করবেন?
সর্দি, কাশি বা সামান্য গলাব্যথা এমন কোনো বড় ব্যাপার নয়। তবে একবার ঠান্ডা লাগলে, তা সারতে অন্তত এক সপ্তাহ লাগবেই। আর কাশি তো আরও বেশ কয়েক দিন থাকতে পারে, এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এ ধরনের কাশি একটি নির্দিষ্ট সময় পর আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়। তবে কাশির সঙ্গে যদি জ্বর হয়, তাহলে কিন্তু গুরুত্ব দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই শ্রেয়। দীর্ঘস্থায়ী কাশির ক্ষেত্রে প্রথমেই খুঁজে বের করতে হবে কাশির অন্তর্নিহিত কারণ। ঠান্ডা লাগলে কাশি বাড়ে। তাই ঠান্ডা পরিহার করতে হবে। বাইরে বেরোলে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম কাপড় পরুন। মাথায় টুপি বা মাফলার পরতে ভুলবেন না। ধুলোবালি এড়িয়ে চলুন। বাইরে গেলে মাস্ক পরে নিন। কুসুমগরম পানি দিয়ে গোসল করুন। খুব ভোরে বা বেলা পড়ে গেলে গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার খাবেন না। কুসুমগরম পানি পান করতে পারলে ভালো হয়।
কাশি যে কারণেই হোক, এর কারণ নির্ণয় জরুরি। তাই শুকনো কাশিকেও গুরুত্ব দিন। কাশি দীর্ঘমেয়াদি হলে, ঘুম ভেঙে গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.

[blogger]

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget