ব্লগিং করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস হল অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম। বর্তমানে বেশিরভাগ ব্লগার প্রফেশনাল ব্লগিং এর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে থাকে। ওয়ার্ডপ্রেস নির্ভর সাইটে ভালো ট্রাফিক আনতে সাইটের নান্দনিক ডিজাইন এবং এসইও যেমন গুরুত্বপূর্ন তেমনি সাইটের লোডিং স্পিড ভিজিটরদের আকর্ষন করতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে। কারন কোন ভিজিটর যখন প্রথম আপনার সাইটে ভিজিট করবে তখন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার দৃষ্টি আকর্ষন করাটা অত্যন্ত জরুরি নতুবা ভিজিটর আপনার সাইটে দীর্ঘ সময়ের জন্য অবস্থান করবে না এবং বাউন্স করে অন্য সাইটে চলে যাবে। শুধুমাত্র সাইটের ভিজিটর বাউন্স নয় গুগল সার্চ র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে সাইটের পেইজ লোড স্পিড অনেক গুরুত্বপূর্ন। সুতরাং সাইটের লোডিং স্পিডের প্রতি যদি আজই সচেতন না হন তবে আপনি ভিজিটর হারানোর পাশাপাশি সাইটের এসইও এর মাধ্যমে যে দীর্ঘমেয়াদি সুফল ভোগ করতেন সেখান থেকেও বঞ্চিত হবেন।
নিম্মে ১০টি সহজ ট্রিকস শেয়ার করা হল যেগুলোকে ফলো করে আপনি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের স্পিড অনেকাংশে বাড়াতে পারবেনঃ
১। ভাল হোস্ট নির্বাচন করাঃ ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য ভাল হোস্ট নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। অনেকে তার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য শেয়ার্ড হোস্ট ব্যবহার করে থাকে যার ফলে সীমিত ব্যান্ডউইথের কারনে সাইটে বেশি ট্রাফিক হলে সাইট ডাউন হয়ে যায়। সুতরাং সাইটের স্পিড বৃদ্ধির জন্য শেয়ার্ড হোস্ট পরিহার করা উচিত।
২। সলিড ফ্রেময়ার্ক অথবা থিম নির্বাচন করাঃ আপনি শুনে অবাক হবেন ওয়ার্ডপ্রেসের ডিফল্ট থিমগুলো বিশেষ করে টুয়েন্টি টেন অথবা টুয়েন্টি ইলেভেন ফ্রেময়ার্কগুলোতে সাইট কিছুটা দ্রুত লোড নেয় কারন এগুলো লাইট ফ্রেমওয়ার্ক।
৩। কার্যকরী ক্যাশ প্লাগিন ব্যবহারঃ ওয়ার্ডপ্রেসের প্লাগিনগুলো মোটামুটি বলতে গেলে ভালই কাজ করে তবে ক্যাশ প্লাগিনগুলো সবচেয়ে বেশি কাজ করে বিশেষ করে W3 Total Cache প্লাগিনটি পেজের লোড টাইম কমানোর ক্ষেত্রে অনেক ভাল কাজ করে। WP.org তে এ ধরনের অনেক ফ্রি প্লাগিন আছে যেগুলো ব্যবহার অনেকটা সহজ।
৪। কন্টেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক বা CDN ব্যবহার করাঃ কন্টেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক বা CDN হল এক ধরনের থার্ড পার্টি সিস্টেম যার মাধ্যমে সাইটের সেসব স্টাটিক ফাইলগুলো মেইন্টেইন করে যেগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাইটের পেজের লোডিং টাইম বাড়িয়ে দেয়।
৫। ইমেজ অপ্টিমাইজ করাঃ সাইটের ইমেজের সাইজ বেশি হলে পেজের লোডিং স্পিড কমে যায়। Smush.it নামে Yahoo এর একটি সাইট আছে যেটি ইমেজের অরজিনাল মান অক্ষুণ্ণ রেখে ইমেজের সাইজ কমিয়ে দেয়।এছাড়াও WP-SmushIt নামে ওয়ার্ডপ্রসের ফ্রি প্লাগিন আছে যেটি অটোমেটিকালি সাইটের ইমেজ অপ্টিমাইজ করে থাকে।
৬। সাইটের হোমপেইজ অপ্টিমাইজ করাঃ মানুষ সাধারনত হোম পেইজে বেশি ল্যান্ড করে তাই সাইটের লোডিং স্পিড কমানোর জন্য হোম পেইজ অপ্টিমাইজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। হোম পেইজ অপ্টিমাইজ মূলত কয়েকটি উপায়ে করা যায়ঃ
৭। ওয়ার্ডপ্রেস ডাটাবেইজ অপ্টিমাইজ করাঃ ওয়ার্ডপ্রেস ডাটাবেইজ অপ্টিমাইজ করার জন্য আমার জানামতে WP-Optimize প্লাগিনটা অনেক ভাল। এছাড়াও WP-DB Manager প্লাগিনটা ভাল কাজ করে। মূলত এই প্লাগিনটা ডাটাবেইজ অপ্টিমাইজ করার জন্য ডেট সিডিউল করে রাখে।
৮। কন্টেন্টের হটলিংকিং এবং লিচিং ডিসাবল করাঃ সাধারনত এই সমস্যাটা তখনই উদ্ভব হয় যখন অন্য সাইটগুলো তাদের আর্টিকেলের ইমেজের মাধ্যমে ডাইরেক্ট আপনার সাইটে লিঙ্ক হয় এবং সার্ভার লোড করে দেয়। সুতরাং আপনার সাইটে নিয়মিত যদি কাস্টম ইমেজ তৈরি করেন সেক্ষেত্রে সাইটের লোডিং স্পিড অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
৯। অধিক পরিমানে পোস্ট ড্রাফট পরিহার করাঃ আমরা যখন কোন পোস্ট লিখি তখন লেখার মাঝখানে বিরতি নিলে অথবা লেখাটা শেষে রিভিশন দেওয়ার জন্য পোস্ট ড্রাফট করে রাখি। কিন্তু যে পোস্ট সম্পূর্ন লিখা শেষ হওয়ার পর পাবলিশ হয়ে গিয়েছে তা ড্রাফট হিসেবে থাকলে সাইটের লোডিং স্পিড কমিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে Revision Control প্লাগিনটা ভাল কাজে দেয় পোস্ট ড্রাফট কন্ট্রোল করার জন্য।
১০। ইমেজের জন্য LazyLoad অ্যাড করাঃ LazyLoad হল এক ধরনের প্রসেস যেটি পোস্টের ইমেজ লোড করে তখনই যখন ভিজিটর সেই পোস্টটি স্ক্রল ডাউন করে দেখে অথবা সাইট লোডের সময় প্রথম দিকের পোস্ট দেখালে। LazyLoad প্রসেস মূলত একসাথে সব পোস্টের ইমেজ লোড করে না তাই সাইটের লোডিং স্পীড বেড়ে যায়। এই কাজটি অটোমেটিকালি করার জন্য jQuery Image Lazy Load প্লাগিনটা ব্যবহার করতে পারেন।
আশা করি আজকের লেখাটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
নিম্মে ১০টি সহজ ট্রিকস শেয়ার করা হল যেগুলোকে ফলো করে আপনি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের স্পিড অনেকাংশে বাড়াতে পারবেনঃ
১। ভাল হোস্ট নির্বাচন করাঃ ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য ভাল হোস্ট নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। অনেকে তার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য শেয়ার্ড হোস্ট ব্যবহার করে থাকে যার ফলে সীমিত ব্যান্ডউইথের কারনে সাইটে বেশি ট্রাফিক হলে সাইট ডাউন হয়ে যায়। সুতরাং সাইটের স্পিড বৃদ্ধির জন্য শেয়ার্ড হোস্ট পরিহার করা উচিত।
২। সলিড ফ্রেময়ার্ক অথবা থিম নির্বাচন করাঃ আপনি শুনে অবাক হবেন ওয়ার্ডপ্রেসের ডিফল্ট থিমগুলো বিশেষ করে টুয়েন্টি টেন অথবা টুয়েন্টি ইলেভেন ফ্রেময়ার্কগুলোতে সাইট কিছুটা দ্রুত লোড নেয় কারন এগুলো লাইট ফ্রেমওয়ার্ক।
৩। কার্যকরী ক্যাশ প্লাগিন ব্যবহারঃ ওয়ার্ডপ্রেসের প্লাগিনগুলো মোটামুটি বলতে গেলে ভালই কাজ করে তবে ক্যাশ প্লাগিনগুলো সবচেয়ে বেশি কাজ করে বিশেষ করে W3 Total Cache প্লাগিনটি পেজের লোড টাইম কমানোর ক্ষেত্রে অনেক ভাল কাজ করে। WP.org তে এ ধরনের অনেক ফ্রি প্লাগিন আছে যেগুলো ব্যবহার অনেকটা সহজ।
৪। কন্টেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক বা CDN ব্যবহার করাঃ কন্টেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক বা CDN হল এক ধরনের থার্ড পার্টি সিস্টেম যার মাধ্যমে সাইটের সেসব স্টাটিক ফাইলগুলো মেইন্টেইন করে যেগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাইটের পেজের লোডিং টাইম বাড়িয়ে দেয়।
৫। ইমেজ অপ্টিমাইজ করাঃ সাইটের ইমেজের সাইজ বেশি হলে পেজের লোডিং স্পিড কমে যায়। Smush.it নামে Yahoo এর একটি সাইট আছে যেটি ইমেজের অরজিনাল মান অক্ষুণ্ণ রেখে ইমেজের সাইজ কমিয়ে দেয়।এছাড়াও WP-SmushIt নামে ওয়ার্ডপ্রসের ফ্রি প্লাগিন আছে যেটি অটোমেটিকালি সাইটের ইমেজ অপ্টিমাইজ করে থাকে।
৬। সাইটের হোমপেইজ অপ্টিমাইজ করাঃ মানুষ সাধারনত হোম পেইজে বেশি ল্যান্ড করে তাই সাইটের লোডিং স্পিড কমানোর জন্য হোম পেইজ অপ্টিমাইজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। হোম পেইজ অপ্টিমাইজ মূলত কয়েকটি উপায়ে করা যায়ঃ
- হোম পেইজে সম্পূর্ন পোস্ট দেখানোর পরিবর্তে Excerpt ব্যবহার করা।
- হোম পেইজে ৫-৭ টা পোস্টের বেশি পোস্ট রাখা বাঞ্চনীয় নয়।
- অপ্রয়োজনীয় শেয়ারিং উইজগেড না ব্যবহার করা।
- অপ্রয়োজনীয় প্লাগিন রিমুভ করে দেওয়া।
- হোমপেইজটাকে Minimal করে রাখা কারন পাঠকরা আপনার ব্লগে লেখা পড়তে আসবে, হাজারটা উইজগেড এর জন্য আপনার ব্লগে আসবে না।
৭। ওয়ার্ডপ্রেস ডাটাবেইজ অপ্টিমাইজ করাঃ ওয়ার্ডপ্রেস ডাটাবেইজ অপ্টিমাইজ করার জন্য আমার জানামতে WP-Optimize প্লাগিনটা অনেক ভাল। এছাড়াও WP-DB Manager প্লাগিনটা ভাল কাজ করে। মূলত এই প্লাগিনটা ডাটাবেইজ অপ্টিমাইজ করার জন্য ডেট সিডিউল করে রাখে।
৮। কন্টেন্টের হটলিংকিং এবং লিচিং ডিসাবল করাঃ সাধারনত এই সমস্যাটা তখনই উদ্ভব হয় যখন অন্য সাইটগুলো তাদের আর্টিকেলের ইমেজের মাধ্যমে ডাইরেক্ট আপনার সাইটে লিঙ্ক হয় এবং সার্ভার লোড করে দেয়। সুতরাং আপনার সাইটে নিয়মিত যদি কাস্টম ইমেজ তৈরি করেন সেক্ষেত্রে সাইটের লোডিং স্পিড অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
৯। অধিক পরিমানে পোস্ট ড্রাফট পরিহার করাঃ আমরা যখন কোন পোস্ট লিখি তখন লেখার মাঝখানে বিরতি নিলে অথবা লেখাটা শেষে রিভিশন দেওয়ার জন্য পোস্ট ড্রাফট করে রাখি। কিন্তু যে পোস্ট সম্পূর্ন লিখা শেষ হওয়ার পর পাবলিশ হয়ে গিয়েছে তা ড্রাফট হিসেবে থাকলে সাইটের লোডিং স্পিড কমিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে Revision Control প্লাগিনটা ভাল কাজে দেয় পোস্ট ড্রাফট কন্ট্রোল করার জন্য।
১০। ইমেজের জন্য LazyLoad অ্যাড করাঃ LazyLoad হল এক ধরনের প্রসেস যেটি পোস্টের ইমেজ লোড করে তখনই যখন ভিজিটর সেই পোস্টটি স্ক্রল ডাউন করে দেখে অথবা সাইট লোডের সময় প্রথম দিকের পোস্ট দেখালে। LazyLoad প্রসেস মূলত একসাথে সব পোস্টের ইমেজ লোড করে না তাই সাইটের লোডিং স্পীড বেড়ে যায়। এই কাজটি অটোমেটিকালি করার জন্য jQuery Image Lazy Load প্লাগিনটা ব্যবহার করতে পারেন।
আশা করি আজকের লেখাটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.