ইমাম বোখারী (রঃ)
(৮১০-৮৭০খ্রিঃ)
যারা হাদিস শাস্ত্রে অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন, হাদিস সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যারা শত শত মাইল দুর্গম পথ পদব্রজে গমন করেছিলেন, নির্ভুল হাদিস সমূহকে কষ্টিপাথরে যাচাই বাছাই করে গ্রন্থাকারে একত্র করার মত অসাধ্য কাজ সাধন করেছিলেন যারা, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সাধনার বিনিময়ে মুসলিম জাতি রাসূলুল্লাহ (সা:) এর নির্ভূল হাদিস সমূহ গ্রন্থাকারে পেয়ে সত্যের সন্ধান লাভ করতে পেরেছে ইমাম বোখারী(রঃ) তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য । হাদিস শাস্ত্রে তাঁর পান্ডিত্য ও সাধনার কারণে তিনি হাদিস শাস্ত্রে ‘বিশ্ব সম্রাট’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন । ইমাম বোখারী(রঃ) এর ডাক নাম ছিল আবু আবদুল্লাহ । তাঁর আসল এবং পূর্ণ নাম হল, আবু আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে ইব্রাহীম ইবনে মুগীরা । তিনি ইমাম বোখারী নামেই সর্বাধিক প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন ।১৯৪ হিজরীর ১৩ শাওয়াল মোতাবেক ৮১০ খ্রিস্টাব্দে শুক্রবার, জুমার নামাজের পর বর্তমান উজবিকিস্তানের বোখারা নামক শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতার নাম ছিল ইসমাঈল । তিনিও হাদিস শাস্ত্রে পন্ডিত ছিলেন । ইমাম বোখারীর পূর্ব পুরুষগণ ছিলেন অগ্নিপূজক এবং পারস্যের অধিবাসী । পূর্ব পুরুষদের মধ্যে মুগীরা’ই প্রথম ইসলাম কবুল করেন এবং পারস্য হতে বর্তমান উজবিকিস্তানের বোখারা নামক শহরে এসে বসবাস শুরু করেন । এখানেই ইমাম বোখারী(রঃ) জন্ম লাভ করেন । বাল্যকালেই তাঁর পিতা মারা যান এবং মাতার নিকট লালিত পালিত হন । উল্লেখ্য যে, বাল্যাবস্থায়ই তিনি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন; সে জন্যে মাতা নিজের এবং সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে খুব চিন্তিত থাকতেন এবং রাত দিন আল্লাহর দরবারে সন্তানের মঙ্গলের জন্যে দোয়া করতেন । একদিন মাতা আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে যখন ঘুমিয়ে পড়লেন; তখন মাতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে স্বপ্নে দেখলেন যে, তিনি যেন বলছেন, “হে পূণ্যবতী মহিলা, তোমার কান্নাকাটির দরুন আল্লাহ তোমার সন্তানের চক্ষু ভাল করে দিয়েছে ।” নিদ্রা ভঙ্গের পর তিনি দেখলেন ইমাম বোখারী (রঃ) এর চোখের অন্ধত্ব দূর হয়ে গেছে ।
ইমাম বোখারী(রঃ) এর স্মরণ শক্তি ছিল অসাধারণ । তিনি ১০ বছর বয়স পর্যন্ত বোখারার নিকটস্থ মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন । এরপর তিনি হাদিস শেখার জন্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েন । ইমাম বোখারী (রঃ) এর বর্ণনা থেকে জানা যায়, হাদিস শিক্ষার জন্যে তিনি মক্কা, মদীনা, সিরিয়া, বসরা, মিসর, কুফা, বাগদাদ, আল জামিয়াত, হেজাজ, নিশাপুর, এবং দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে হাদিসের শত শত সাক্ষাৎদাতার দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছেন । তিনি এক হাজার ৮০ জন শায়খের নিকট হতে হাদিস সংগ্রহ করে তার সনদ ও মতনসহ মুখস্ত করেন । আল্লাহপাক তাঁকে অসাধারণ মেধা ও স্মরণ শক্তির দান করেছিলেন । মাত্র ১৮ বছর বয়সেই তিনি বিবিধ গ্রন্থ রচনায় ব্যাপৃত হন এবং হাদিসের জগদ্বিখ্যাত কিতাব ‘বোখারী শরীফ’ সব বহু গ্রন্থ রচনা করেন ।
‘বোখারী শরীফ’ এর আসল নামে প্রসিদ্ধ না হয়ে রচনাকারীর নামে প্রসিদ্ধ হয়েছে । ‘বোখারী শরীফ’ কিতাবের আসল নাম হচ্ছে, ‘আল জামেউছ ছহীহুল মুসনাদু’ । সংক্ষিপ্ত নাম ‘ছহীহে বোখারী অর্থাৎ ইমাম বোখারীর ছহীহ । সাধারণত সবাই একে ‘ছহীহ বোখরী’ বা ‘বোখারী শরীফ’ বলে । ছিহাহ ছিত্তার অন্যান্য কিতাবগুলোও অনুরূপভাবে রচনাকারীর নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে । ইমাম বোখারী (রঃ) তাঁর অন্যান্য সহপাঠীদের সাথে একদিন ওস্তাদ ইমাম ইসহাক ইবনে রাওয়াই(রঃ) এর নিকট হাদিস শুনছিলেন । ওস্তাদ বললেন,“হায়! কেউ যদি কেবলমাত্র ছহীহ হাদিসগুলোকে একত্রে সাজিয়ে লিপিবদ্ধ করে দিত ।” ইমাম বোখারী (রঃ) বর্ণনা করেন, এরপর একদিন আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমার সামনে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) উপবিষ্ট । আমি হাতে পাখা নিয়ে তাঁর পবিত্র শরীর মোবারকে বাতাস করে মশা মাছি তাড়াচ্ছি । এরপর একজন স্বপ্নেও তা’বীর বর্ণনাকারীর নিকট স্বপ্নটি ব্যক্ত করলে তিনি আমাকে বললেন, “আপনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদিস সমূহ হতে মিথ্যার জঞ্জালকে অপসারিত করবেন ।” ইমাম বোখারী(রঃ) বলেন, এরপর ছহীহ হাদিসের একটি কিতাব লেখার জন্যে আমার মনে প্রেরণা জাগে এবং ‘ছহীহ বোখারী’ লিপিবদ্ধ করি ।
ইমাম বোখারী(রঃ) মক্কা, মদীনা, বোখরা ও বসরায় বসে বোখারী শরীফ বিষয়ে প্রায় সবাই একমত যে তিনি মক্কায় হেরেম শরীফে বসে এ কিতাবের ভূমিকা লিপিবদ্ধ করেন । এছাড়া মদীনায় বিশ্বনবী (সাঃ) এর রওজা পাকের নিকটবর্তী স্থানে বসে অধিকাংশ হাদিস লিপিবদ্ধ করেছেন এবং কিতাবের পরিচ্ছেদসমূহ এখানে বসেই সাজিয়েছেন । অতঃপর মদীনার মসজিদে নববীতে বসে উহার চূড়ান্ত রূপ দান করেন । ইমাম বোখারী(রঃ) বোখারী শরীফ লিপিবদ্ধের ক্ষেত্রে এত সতর্কতা অবলম্বন করেছেন যে, প্রতিটি হাদিস লিপিবদ্ধ করার পূর্বে তিনি আল্লাহ প্রদত্ত স্বীয় ক্ষমতা, এলম ও অভিজ্ঞতার দ্বারা প্রতিটি হাদিসের সনদ ও মতন কে সূক্ষ্মভাবে যাচাই বাছাই করেছেন এবং আল্লাহর সাহায্যে কামনা করেছেন । তিনি নিজেই লিখেছেন, “আমি এ কিতাবের প্রতিটি হাদিস এবং পরিচ্ছদ লেখার পূর্বে দু’রাকাত নফল নামাজ আদায় করেছি এবং দোয়া করেছি,“ হে আল্লাহ, তুমি মহাজ্ঞানী আর আমি মূর্খ । আমার হৃদয়ে জ্ঞানের আলো জ্বেলে দাও । আমি যেন হাদিস লিপিবদ্ধ করতেন । এভাবে তিনি সুদীর্ঘ ১৬ বছরে কঠোর পরিশ্রম করে তাঁর সংগৃহীত ও কন্ঠস্থ ছয় লক্ষের অধিক হাদিস থেকে বাছাই করে তাকরার সহ ৭৩৯৩ টি এবং তাকবার বাদে ২৭৬৯ টি হাদিস এ কিতাবে স্থান দেন । এ সকল কারণে পবিত্র কোরআনের পরই বোখারী শরীফ নির্ভূল গ্রন্থের স্থান দখল করেছে এবং সমগ্র বিশ্বে এত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে যে, শুধুমাত্র তাঁর নিকটই ৯০ হাজারেরও অধিক লোক এ কিতাবের হাদিস সমূহ শিক্ষা লাভ করেছেন । আজ মুসলিম বিশ্বের এমন কোন নেই যেখানে বোখারী শরীফ শিক্ষা দেয়া হয় না ।
ইমাম বোখারী (রঃ) পিতার নিকট থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রচুর ধন সম্পদ পেয়েছেন; কিন্তু তিনি তা নিজে ভোগ করেন নি । তিনি তাঁর প্রায় সমস্ত ধন সম্পদই শিক্ষার্থী, দরিদ্র ও অসহায় লোকদের মধ্যে বিতরণ করে দিয়েছিলেন । তিনি ভোগ বিলাস পচ্ছন্দ করতেন না । সাধারণ পোশাক ও সামান্য আহারেই তিনি সন্তুষ্ট থাকতেন । তিনি দৃঢ় ভাবে মনে করতেন যে, অতিরিক্ত ভোগ বিলাস মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি তাকওয়া (ভয়) কমিয়ে দেয় । তিনি যদি ভোগ বিলাস ও আরাম আয়েশে কাটাতেন তাহলে হাদিস শাস্ত্রে ও অসাধ্য সাধন করতে পারতেন কিনা সন্দেহ । ইমাম বোখারী(রঃ) এর অক্লান্ত পরিশ্রম, সাধনা ও অবদানের কারণেই মুসলিম জাতি আজ বোখারী শরীফের মত একটি বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ পেয়ে সত্যের সন্ধান লাভ করেছে । কথিত আছে, তিনি একাধারে ৪০ বৎসর পর্যন্ত রুটির সাথে কোন তরকারি ব্যবস্থার করেননি । কোন কোন দিন তিনি মাত্র ৩/৪ টি বাদাম বা খেজুর খেয়ে দিন কাটিয়েছেন । এমন কি হাদিস চর্চায় ও গবেষণায় তিনি এতই নিবৃত্ত থাকতেন যে, কোন কোন দিন খাওয়ার কথাই ভুলে যেতেন । হাদিস শাস্ত্রে অগাধ পান্ডিত্যের কারণেই তিনি হাদিস শাস্ত্রে ‘বিশ্ব সম্রাট’ উপাধিতে ভূষিত হন । ইমাম বোখারী(রঃ) এর জনৈক ছাত্র বর্ণনা করেছেন, “আমি একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে স্বপ্নে দেখলাম । তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কোথায় যাচ্ছ ? উত্তরে বললাম, ইমাম বোখারীর নিকট যাচ্ছি । রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, তাঁকে আমার ছালাম দিও ।” প্রিয় পাঠক, বিশ্বনবী (সাঃ) যার নিকট ছালাম পৌছান তাঁর মর্যাদা যে কত উর্দ্ধে হতে পারে তা সহজেই বোধগম্য ।
ইমাম বোখারী (রঃ) এর বয়স যখন ৫৫ বছর তখন তিনি নিশাপুরে ছিলেন এবং সেখানে তিনি হাদিস শিক্ষা দান করতেন । ইমাম বোখারী(রঃ) এর নাম যখন সমগ্র মুসলিম জাহানে ছড়িয়ে পড়ে তখন নিশাপুরের এক শ্রেণীর লোক ঈর্ষান্বিত হয়ে ওঠে । এতে তিনি নিশাপুর ত্যাগ করে মাতৃভূমি বোখারায় চলে আসেন এবং লোকদের হাদিস শিক্ষাদানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন । পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা যায়, এ ধরা পৃষ্ঠে যুগে যুগে যত মনীষীর আগমন ঘটেছে তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই তৎকালীন জালেম সরকার ও স্বজাতি কর্তৃক নিপীড়িত ও নির্যাতিত হয়েছেন । তাঁরা হাজারো লাঞ্চনা-গঞ্জনার মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছেন । এমন কি মাতৃভূমি ও নিজ বংশের লোকেরাও তাঁদেরকে যথাযোগ্য সম্মান দেয়নি । বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) নিজ বংশ কুরাইশদের বিরোধিতা ও অত্যাচারের কারণেই নিজ মাতৃভূমি মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেছিলেন । হাদিস শাস্ত্রের ‘বিশ্ব সম্রাট’ ইমাম বোখারী(রঃ) ও তৎকালীন জালেম সরকারের ষড়যন্ত্র ও রোষানলে পতিত হয়েছিলেন ।
ইমাম বোখারী (রঃ) নিজ মাতৃভূমি বোখারার জনগণের নিকট যথেষ্ট সম্মান পেলেও তৎকালীন জালেম সরকার তাঁকে মাতৃভূমিতে থাকতে দেয়নি । তিনি দেশ থেকে বিতাড়িত হলেন । ইমাম বোখারী (রঃ) ও তাঁর রচিত ‘সহী বোখারী’ এর সুনাম যখন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ল তখন বোখারার তৎকালীন শাসনকর্তা খালেদ বিন আহমদ ইমাম বোখারী(রঃ) এর নিকট এ বলে সংবাদ পাঠালেন যে, তিনি এবং তাঁর সন্তানদের ‘আল জামেউছ ছহীহ’ অর্থাৎ সহী বোখারী অধ্যয়ন করতে ইচ্ছুক । কিন্তু তাঁরা অন্যদের সাথে ইমাম বোখারীর নিকট তা অধ্যয়ন করতে রাজি নন । কাজেই ইমাম বোখারী যেন শাসনকর্তার এ সংবাদ শুনে ইমাম বোখারী(রঃ) পরিষ্কার ভাবে দিলে “ লক্ষ লক্ষ গরীব শিক্ষার্থীদের উপেক্ষা করে আমি হাদিসে রাসূলকে বেইজ্জত করতে পারি না । এ এলম ধনী-গরীব, রাজা-প্রজা সকলের জন্যেই সমান । আমি হাদিসে রাসূলকে রাজা-বাদশাদের দরওয়াজার প্রত্যাশী বানাতে পারি না । যদি কারোর এ এলম হাসিল করার প্রকৃতই ইচ্ছে থাকে তাহলে তিনি যেন এখানে এসে তা শিক্ষা লাভ করে যান। আর যদি তিনি আমার এব্যবস্থা অবলম্বনে অসন্তুষ্ট হন তাহলে আমার কিছুই করার নেই ।”
শাসনকর্তা খালেদ বিন আহমদ ইমাম বোখারী(রঃ) এর উত্তর শুনে অসন্তুষ্ট হন এবং সম্পূর্ণ অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে তাঁকে মাতৃভূমি বোখারা ত্যাগ করার নির্দেশ দেন । ইমাম বোখারী(রঃ) বোখারা ছেড়ে প্রথমে ‘বাইকান্দ’ ও ‘সমরকান্দ’ এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন । সমরকন্দ এর নিকটবর্তী ‘খরতঙ্গ’ নামক গ্রামে গিয়ে জানতে পারলেন যে, ‘সমরকন্দ’ এর অধিবাসীগণ বিপদাশঙ্কায় ইমাম বোখারীকে সেখানে আশ্রয় দিতে রাজি নয় । এ সংবাদ শুনে ইমাম বোখারী(রঃ) অত্যন্ত দুঃখিত হন এবং তাহাজ্জুদ নামাজের পর এ বলে দোয়া করলেন, “হে আল্লাহ, এ বিশাল পৃথিবী আমার জন্যে সংকীর্ণ হয়ে উঠেছে । তুমি আমাকে তোমার দরবারে উঠিয়ে নাও ।” আল্লাহ পাক তাঁর দোয়া কবুল করলেন এবং এর কয়েক দিনের মধ্যেই ২৫৭ হিজরী মোতাবেক ৮৭০ খ্রিস্টাব্দের ঈদুল ফিতরের রজনীতে হাদিস শাস্ত্রের এ মহান পন্ডিত পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে চলে যান ।
তাঁর মৃত্যুর সংবাদ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে মানুষ শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে । ঈদের দিন জোহর নামাযের পর তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং হাজার হাজার লোক তাঁর জানাজায় শরীক হয় । সমরকন্দের অন্তর্গত ‘খরতঙ্গ’ নামক গ্রামে তাঁর সমাধি রয়েছে । ‘খরতঙ্গ’ গ্রামের অধিবাসী গালেব ইবনে জিব্রিল বর্ণনা করেছেন, “ইমাম বোখারী(রঃ) কে কবরের মধ্যে রাখা মাত্রই কবরের চতুস্পার্শে এত সুঘ্রাণ ছড়াতে লাগল যে, বিভিন্ন দেশের লোকজন কবর জিয়ারতের জন্যে এসে তথাকার মাটি নিতে আরম্ভ করল । অবশেষে আমরা ঐ কবরকে বেষ্টনী দ্বারা রক্ষা করতে বাধ্য হলাম । ঐ সুঘ্রাণ দীর্ঘদিন স্থায়ী ছিল ।
ইমাম বোখারী(রঃ) আজ আর নেই; কিন্তু হাদিস শাস্ত্রে তিনি যে সুবিশাল গ্রন্থ ‘সহী বোখারী শরীফ’ লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন তাতে মুসলিম বিশ্বে তিনি চির অমর হয়ে আছেন ।
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.